আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০৭

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

আসুন ভাই, জামাতের সহিত সবাই আরও একবার কোরানের নূরাণী আলোয় নিজেদের আলোকিত করি। স্যার আইজাক নিউটনের মত জ্ঞানের সমুদ্রতীরে আমরাও দুই-চাইরখান প্রস্তর-নুড়ি কুড়াই এবং সেগুলো দিয়ে ভিন্নধর্মীদের মস্তিষ্ক বিদীর্ণ করি। অনেক ফায়দা হবে। এখনও এই দুনিয়ায় অনেক কিছু আবিষ্কারের বাকি রহিয়াছে। জলদি জলদি কোরান পাঠ শেষ করিয়া আমরাও স্মরণীয়-বরণীয় আবিষ্কারকদের লিষ্টে নিজেদের নাম যুক্ত করি। আজকের কোরান পাঠের শেষের আয়াতটিতে আল্লাহ সাংকেতিক ভাষায় ব্যাংকিং নিয়েও আলোচনা করিয়াছেন। যদিও অনলাইন কিনা লেখা নাই, তবুও আপনাদিগকে এটি অনলাইন ব্যাংকিং হিসেবে ধরিয়ালইতে হইবে। তবে আসুন ভাই, ফাও প্যাচাল বাদ দিয়ে আর একবার নিজেদের আমল শক্ত করি এবং কোরান পাঠ শুরু করি। নিচের আয়াতগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ি।


১) সূরা: আল-ইমরান, আয়াত: ১৪: এখানে আল্লাহ মানবজীবনে কী কী ভোগ্যবস্তু আছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করিয়াছেন। এখানে আল্লাহ স্বর্ণ-রৌপ্য, গরু-ছাগল-ঘোড়া ও ক্ষেত-খামারের সাথে নারীকেও একই কাতারে ফেলিয়া সমগ্র নারীজাতিকে যার-পর-নাই সম্মানিত করিয়াছেন। এতেই কি প্রমাণিত হয় না যে, নিশ্চয় আল্লাহ অতীব মহান বিবেচনাকারী? আপনার অন্তরের নূরাণী আলোর তীব্রতা আরেকটু বাড়াইলেই দেখিতে পাইবেন, 'আকর্ষণীয় বস্তু-সামগ্রী' ও 'ভোগ্যবস্তু'র তালিকায় সর্বাগ্রে আসিয়াছে নারীর নাম। মার-হাবা, মার-হাবা।

২) সূরা: আল-ইমরান, আয়াত ৭৩: এখানে আল্লাহ ঈমানদারদের ধর্মানুভূতি নামক বিষফোঁড়াকে সাম্প্রদায়িকতা নামক সুঁচালো শলাকা দিয়ে উস্কে দিয়ে তাদের ঈমান পোক্ত করার প্রয়াস পাইয়াছেন। শুধুমাত্র অন্য ধর্মের অনুসারী হইবার কারণে ভিন্নধর্মীরা বিশ্বাসভাজন হইবার যোগ্যতা হারাইয়াছেন। চিন্তা করিয়া দেখেন জনাব, কাহাকে কতটুকু বিশ্বাস করিতে হইবে, তাহা পর্যন্ত ইসলাম তথা কোরান আপনাকে বলিয়া দিতেছে। এরপরও কি অস্বীকার করা যায় যে, কোরানই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান?

৩) সূরা: আল-ইমরান, আয়াত ৭৪: এখানে আল্লাহ তাঁর তথাকথিত ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহার করিবার কথা নির্দ্বিধায় বলিয়াছেন। কথা তো পুরোপুরিই সত্য। তিনি পেয়ারা নবীকে সাড়ে সাংঘাতিক ভালোবাসেন বলিয়াই তো নবীর কুদৃষ্টি যে নারীর উপর পড়িয়াছে, তাহাকেই নবীর বিছানায় আনিয়া দিবার জন্য আয়াত নাজিল করিয়াছেন। ইহাতেই তো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ মহাঅনুগ্রহশীল।

৪) সূরা আল-ইমরান, আয়াত ৮৫: এই আয়াতটিতেও সূরা: আল-ইমরান, আয়াত ৭৩-এর বাণীই প্রতিধ্বনিত হইয়াছে। অতএব ইহা লইয়া বেশী কিছু বলিবার নাই।

৫) সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩০: অত্র আয়াতে আল্লাহ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর লাইম লাইট ধরিয়াছেন। এইখানে ঈমানদারদেরকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাইতে নিষেধ করা হইয়াছে। তবে সরল হারে সুদ খাওয়া যাইবে কি না, তাহা উল্লেখ করা হয় নাই। ইহা তিনি ঈমানদারদের বিবেচনার উপর ছাড়িয়া দিয়াছেন, যাহাতে তাহারা নিজের সুবিধামত ইহার সদ্ব্যবহার করিতে পারে।

এতক্ষণ ধরিয়া অপরিসীম জ্ঞানার্জনের পর হঠাৎ মনে হইল, আমার কক্ষে এত আলো থাকিবার পরও এতক্ষণ ধরিয়া আল্লাহর নূরাণী আলো জ্বালাইয়া রাখিয়া অপচয় করিলাম না তো?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন