আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১

সচিত্র হা-হা-হাদিস – ২৩


ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যাসহ বিজ্ঞানের নানান বিষয় বিষয়ে প্রায়-অজ্ঞ (যদিও দাবি করা হয়, সর্বজ্ঞ) আল্লাহর পেয়ারে বান্দাও যে মহামুরুক্ষ হবে, তাতে তো অবাক হবার কিছু নেই! 
হাদিসেই বলছে, সূর্যগ্রহণ দেখে ইসলামের নবী কেয়ামত শুরু হয়ে যাচ্ছে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে লাফ দিয়ে উঠতেন 


প্রাসঙ্গিক হাদিস: 

Bukhari vol. II, No. 167 
The sun eclipsed and the Prophet jumped up, terrified that it might be the Hour [of Judgment].

রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১১

বিগ ব্যাং-এর ভিডিও


কার্টুন সিরিজ ফ্যামিলি গাই-এর একটি হাহাপগে অংশ।


অনাবৃত মাংস ও মুসলিম বেড়াল


নারীর শরীর আপাদমস্তক আবৃত করে তাকে বস্তাবন্দী করার ইসলামী রীতির সপক্ষে ইসলামবাজদের দেয়া যুক্তি বরাবরই এরকম হয়ে থাকে: "অনাবৃত মাংস রাস্তায়, ফুটপাতে, বাগানে বা পার্কে ফেলে রাখলে বেড়াল যদি তা খেয়ে ফেলে, সেটা কি বেড়ালের দোষ?" 

"মাংস" সংরক্ষণের আদর্শ ইছলামী পদ্ধতি

আচ্ছা, ধরে নিই, দোষ অনাবৃত মাংসের। তাহলে মিসরের ৮৩ শতাংশ মেয়ে যৌননিপীড়নের শিকার হয় কেন?

যথাযোগ্য স্থানে




এক খ্যাপা নাস্তিক পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে কী কাণ্ড করেছে, ভিডিওতে দেখুন।



নির্ধার্মিকদের বিশ্বাস


নির্ধার্মিকদের সম্পর্কে বদনাম আছে: তারা কিছুতেই বিশ্বাস করে না। কথাটা একদমই ভুল। সুইডিশ ব্যান্ড Colony 5 উত্তর দিচ্ছে তাদের গানে। নব্বই দশকে প্রচলিত টেকনো ধাঁচে গাওয়া এই গানটির নাম Future। 

ভিডিওতে এই গান "গাইতে" দেখা যায় Richard Dawkins, Sam Harris, Christopher Hitchens, Daniel Dennett, Ayaan Hirsi Ali, Michael Shermer, Steve Pinker, PZ Myers, Neil deGrasse Tyson, Lawrence Krauss, Carolyn Porco, Steven Weinberg, Carl Sagan, ZOMGitsCriss, thunderf00t, xxxThePeachxxx, patcondell, FactVSReligion এবং gogreen18-কে।

লিরিকস দেয়া হলো ভিডিওর নিচে।


Tragedies and suffering 
I hear them scream 
screaming for help 
The prophets preach 
the end of the world 
only fools believe their words 

We want to love 
we want to breathe 
we want to be 
Rebuild the world 
with the knowledge 
we retrieve 

We want to feel 
we want to live 
we want to see 
seek the wisdom 
from the future 
and believe

No truth without evidence 
it's easy to lie 
who can seek the answers 
who can see through the sky 
Such a great temptation 
who can carry such a quest 
and gain that information 
we don't need no god 

We don't need no god no more 
We don't need a tyrant 

We want to love 
we want to breathe 
we want to be 
Rebuild the world 
with the knowledge 
we retrieve 

We want to feel 
we want to live 
we want to see 
seek the wisdom 
from the future 
and believe

শনিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১১

শৃঙ্গার: তাবলিগী স্টাইল


লিখেছেন চন্দন 

হলে প্রায়ই দেখি একদল ছাত্র অদ্ভূত পোশাক প'রে আর লম্বা লাইন ধ'রে কক্ষ থেকে কক্ষে গমন করতে থাকে। এই সকল অদ্ভূত পোশাক পরা ছাত্রদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য কেউ কেউ কম্পিউটারের পর্দায় নগ্ন বা অর্ধনগ্ন রূপসীর ছবি ঝুলিয়ে দেয়, কেউবা উচ্চস্বরে গান শুনতে থাকে, কেউ কেউ উনাদের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই দ্রুত কক্ষ থেকে প্রস্থান করে। কিন্তু যদি কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে ধরা পড়ে, তাহলে সমস্ত কথায় "ইনশাল্লা ইনশাল্লা" বলে চালিয়ে দেয়।

এমনি কোনো একদিন অদ্ভূত পোশাকওয়ালাদের একজন একটি কক্ষে প্রবেশ করেন (বাকিরা লাইন ধ'রে বাইরে দাঁড়িয়ে)। তিনি কক্ষে প্রবেশ করেই আস্‌সালামালাইকুম দিয়ে বলেন:
- আমরা মসজিদ থেকে আসছি দাওয়াত নিয়ে।
উত্তরে নীরবতা।

এবার তিনি ছাত্রটির দিকে কিছুটা এগিয়ে আসেন এবং ছাত্রটির হাতটি নিজের হাতে কোমলভাবে চেপে ধরেন এবং দাওয়াত দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর তিনি নিজের হাত দিয়ে ছাত্রটির হাত বোলাতে থাকেন এবং বেহেস্তের দাওয়াত দিতে থাকেন।

নীরবতা ভেঙে এবার ছাত্রটি বলে ওঠে: 
- আপনি যেসব কথা বলছেন আর যেভাবে আমার হাতটি বোলাচ্ছেন, তাতে আমার সেক্স উ'ঠে যাচ্ছে।

এবার অন্যপাশে গভীর নীরবতা নেমে আসে...

প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ৩১


ইসলামী জঙ্গিবাদের সামনে কি ক্রমশ নতজানু হয়ে পড়ছে ইয়োরোপ?

নিম্ননেটস্পিডাক্রান্তদের জন্য অডিও ডাউনলোড লিংক


ডাউনলোড লিংক (২৩ মেগাবাইট)

বোরিং বিধাতা



ইসলাম সম্পর্কে ইমামের সত্যকথন


ইসলাম সম্পর্কে যে-কথাগুলো বলে আমরা মুসলিমদের ঘৃণার্হ হচ্ছি অহরহ, সে কথাগুলোই কি বললেন না প্যারিসের এক ইমাম? নিকাব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি যে মন্তব্যগুলো করলেন, তাতে তাঁর ফতোয়াপ্রাপ্তি সুদূরপরাহত নয় বলেই মনে হচ্ছে:

... This is an individual thing. I am talking about France. Secondly, what is our role, as Muslims, in this country? Is it to protect tolerance and openness of Islam, or something else? 

... But to wear a piece of cloth on her face, terrifying others? The French are scared. We should consider the perspective of the others. They view us with disgust. Unfortunately, we have become a religion  of extremism, which denies women their right. 

ভিডিওতে দেখুন:

ডাউনলোড লিংক (৮ মেগাবাইট)

নামাজনামা – ০৫ (আপডেটেড)


নামাজনামা – ০৫ নামের পোস্টে প্রকাশিত ছবিটি ফোটোশপাক্রান্ত সন্দেহ করে দু'জন পাঠক মেইল করেছিলেন আমাকে। প্রবল পরাক্রম ফোটোশপের অপার ক্ষমতার কথা জানি বলে সন্দেহটি আমি উড়িয়ে দিতে পারিনি। তবে আজ নেটচারিতার সময় পেয়ে গেলাম যা খুঁজে পেলাম, তা, মনে হয়, সন্দেহটি দূর করবে।


এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নেহাতই তুচ্ছ আমরা - ০৫


কার্ল সেগান-এর Pale Blue Dot: A Vision of the Human Future in Space মানের বই থেকে উদ্ধৃত করা একটি অংশ অবলম্বনে তৈরি ভিডিও। ব্যবহৃত কণ্ঠ কার্ল সেগান-এর নিজের। মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো, দেখার মতো। ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য নহে। কারণ খোলা মনে শুনলে ধর্মমোহ কেটে যেতে পারে। 


বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১

ব্ল্যাসফিমেরিকপাঠের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


লিখেছেন কৌস্তুভ

ব্লাসফিমেরিক পড়ে পড়ে ধর্মানুনুভূতি উত্তেজিত হয়ে উঠছিল। ফলে ঈমান উত্থিত হয়ে পড়ে এইটি নির্গত হল। বা বলা যায়, ছড়াপাত হলো।

আজি এসেছেন তিন সে ম্যাজাই, অতিশয় তাঁরা প্রাজ্ঞ;
চোখটি বুজেই নিয়েছেন দেখে দীন-দুনিয়ার ভাগ্য –
যুক্তি এবং বিশ্বাসে সেথা সদা লেগে রবে বিরোধ;
বলছেন তাই, “ও জোসেফ-মেরী,
হল কী মোদের নয় মাস দেরি?
আনিতেছিলাম বিবাহোপহার – সুগন্ধী কিছু নিরোধ...”


বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ – ০১


বিকিনিবহুল সমুদ্রতীর বা অন্যান্য রৌদ্রস্নানস্থলে বোরখাপরিহিতার অবস্থান বড়োই বেমানান, অশোভন, দৃষ্টিকটু এবং অশালীনও বটে। সেখানে তোলা কিছু ছবি ও প্রাসঙ্গিক কার্টুন সংকলন "বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ" ("বিচ" বানান কিন্তু beach। খিয়াল কৈরা!)।

আজ চারখানা।





ধর্মবিধ্বংসী বিবর্তনবাদ


ধর্মগুলোর ধড়িবাজির ধরন ও যাবতীয় জুরিজারি ফাঁস হয়ে গেছে আসলে ডারউইনের বিবর্তনবাদী প্রমাণিত তত্ত্বের কারণে। কিন্তু ধর্মবাজেরা তো "চোখ থাকিতেও অন্ধ" এবং অনুসারীদেরকে অন্ধকারে ধরে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টায় তারা বিনাযুদ্ধে নাহি দিবে সূচাগ্র মেদিনী। তারা অবতারণা করেছে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ও সৃষ্টিতত্ত্ববাদ নামের সারশূন্য, তথ্য-প্রমাণ-ভিত্তিহীন রূপকথার। আমেরিকার শিক্ষাকার্যক্রমে বিবর্তনবাদের পাশাপাশি তাদের কু-রূপকথা অন্তর্ভুক্ত করার নানান ফন্দি-ফিকির করা হয়েছে এবং হচ্ছে। উদ্যোগটির নাম দেয়া হয়েছে: Teach the controversy। ব্যাপারটা যেন এরকম:


এ প্রসঙ্গে It's Not a Controversy নামের দু'মিনিট পঞ্চাশ সেকেন্ডের অতীব চমৎকার একটি ভিডিও মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। 


ইসলামী জঙ্গিবাদের ব্যবচ্ছেদ



খ্রিষ্টানী ধৃষ্টতার দৃষ্টান্ত


১.
বোস্টনে সরকারপক্ষের এক উকিল সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন ১১৭ ধর্মযাজকের তালিকা, যারা ৭৫০ জনেরও বেশি শিশুর ওপরে যৌননিপীড়ন চালিয়েছে। শুধু ভেবে দেখুন, একটি শহরেই এই অবস্থা! 

২. 
ডালাসের এক ধর্মযাজক তারই চার্চ-অনুসারী একজনের বাড়িতে ঢুকে দশ হাজার ডলারেরও বেশি মূল্যের মালামাল চুরি করেছে।
(সংবাদের লিংক পাঠিয়েছেন suirauqa)

৩. 
ধর্মভূতাক্রান্ত এক মহিলা তার nephew-র এক বছর বয়সী কুকরকে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মেরে মেলেছে। তার মতে, সেটি ছিলো "কুকুররূপী শয়তান", কারণ কুকুরটি তার বাইবেল খেয়ে ফেলেছিল। চাইলে প্রাসঙ্গিক সংবাদ-ভিডিও দেখে নিন।


বৃষবিষ্ঠা বা বল্দার্গু – ১০


(ধর্মের সঙ্গে আপাত সম্পর্কহীন এই সিরিজটি ধর্মকারীতে প্রকাশের কারণ একটিই: তথ্য-প্রমাণহীন যে কোনও বিশ্বাসের প্রচার ও প্রসার ক্ষতিকারক। ধর্মসহ এই জাতীয় যাবতীয় অপবিশ্বাস থেকে মুক্ত হতে পারলেই নিজেকে প্রকৃত মুক্তমনা বলা যেতে পারে। তার আগে নয়।)

Penn & Teller জুটির উপস্থাপিত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপবহুল ব্যাশিং টিভি-সিরিজ "বুলশিট"-এর এই পর্বের (তিরিশ মিনিট) বিষয়বস্তু: স্বর্গ থেকে আসা সংকেত। ক্রন্দনরত মেরি মাতার মূর্তি, টোস্টের ওপর যিশুর ছবি, আমের আঁটিতে "আল্লাহ" খোদাই করা... ইত্যাকার বুলশিট এই পর্বে আলোচিত।

 

* বুলশিটের বাংলা প্রতিশব্দ দু'টি বের করেছেন ব্লগার হিমু (হাঁটুপানির জলদস্যু)

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১১

আদমচরিত ০০৯


লিখেছেন মুখফোড়

আদম ক্রোধান্ধ হুহুঙ্কার ছাড়িতে ছাড়িতে ঈশ্বরের দরবারে প্রবেশ করিলো। 

দ্বারপথে জনৈক স্বর্গদূত তাহার আইডেন্টিটি কার্ড দেখিতে চাহিয়াছিলো। কহিয়াছিলো, "ডান্ডি কার্ড হায় কেয়া?"

আদমের মেজাজ অদ্য দুরস্ত নাই, সে দন্ত খিঁচাইয়া কহিলো, "কদ্দিন আগেই না সেজদা দিয়ে পায়ের গোদে চুমাচাট্টি খাইলি? ভুলে গেলি এর মধ্যেই? আমার আবার ডান্ডি কার্ড কিসের র্যা?" এই বলিয়া সে প্রহরী স্বর্গদূতের হাতের লাঠি কাড়িয়া লইয়া এক অনর্থ কর্ম করিলো। তারপর হনহন করিয়া গিয়া হাজির হইলো আরশে আসীন ঈশ্বর বাহাদুরের সামনে।

ঈশ্বরের কোন ভাবান্তর নাই, তিনি নির্বিকার মুখে বসিয়া রহিলেন।

আদম কুর্ণিশ করিয়া কহিলো, "হে পিতা ঈশ্বর, ঈভ মাগীকে অতি সত্বর শায়েস্তা করতে হবে। মাগী রোজ আমাকে ঘ্যাম যৌন নির্যাতন করে চলছে মাইরি।"

ঈশ্বর স্মিতমুখে বসিয়া শুনিতে লাগিলেন, কোনরূপ উত্তর করিলেন না।

আদম কহিলো, "বহুকষ্টে মাগীকে সেদিন রাজি করিয়েছি ইয়ে করার জন্য। তার সেই এক গোঁ, আমাকে নিষিদ্ধ ফল গিলতে হবে, তারপর রীতিমতো উত্থান নিয়ে তার কাছে যেতে হবে। যতই বলি এইসব কেমিক্যাল খাওয়া স্বর্গে নিষিদ্ধ, ঈশ্বর নিজে নিষেধ করেছেন, বলেছেন কখনো খেতে দেখলে পোঁদে লাথি মেরে বার করে দেবেন, সে ততই বলে, তাহলে যাও, এইসব ইয়ে তোমার ঈশ্বরের সাথে গিয়ে করো! আমার কাছো আসো কেন? মাগীর আস্পদ্দা চিন্তা করে দেখুন! আর কী অশ্লীল সব কথাবার্তা! বলে কি না ... যা-ই হোক!"

ঈশ্বর প্রশান্ত মুখে বসে রইলেন।

আদম বকিয়া চলিলো, "মাগীর উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে সেদিন গিবরিলকে ঘুষ দিলাম, একটি স্বর্গবেশ্যাদের সচিত্র পত্রিকা, মাসিক কামরশ্মির অক্টোবর সংখ্যাটি, বস আপনি দেখেছেন কি না জানি না, প্রচ্ছদেই সেরকম রগরগে সব ছবি, গিবরিল আমাকে কড়ার করলো সে আমাকে একটা নিষিদ্ধ ফল সেদিন সন্ধ্যায়ই যোগাড় করে দেবে। ... আমি জানি, আপনি শুনলে রাগ করবেন, কিন্তু মা কসম ঠাকুর, সত্যি কথা বলছি!"

ঈশ্বর বাধা দিলেন না আদমকে, শুনিয়া যাইতে লাগিলেন।

আদম কহিলো, "সন্ধ্যাবেলা গিবরিল এসে হাজির, হাতের পোঁটলায় ফল। আমি তো তখনই ঘরে সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে, একটা পরিষ্কার হাফপ্যান্ট পড়ে, চুল আঁচড়ে, ঈভের দরজায় টোকা দিয়ে দাঁড়ালাম ফল হাতে করে। মাগী দরজা খুলে প্রথমেই ছোঁ মেরে ফলটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে শুঁকে দেখলো, তারপর এক কামড় খেয়ে বলে কী শুনবেন? বলে, এটা আসল নিষিদ্ধ ফল না। এটা রেপ্লিকা। যাও ভাগো!"

ঈশ্বর কিছু কহিলেন না।

আদম ফুঁসিতে লাগিলো, "ভেবে দেখুন গিবরিলের হারামিপনাটা! আস্ত একটা ন্যাংটা কাগজ দিলাম, আর সে কি না আমাকে একটা নকল ফল এনে দিলো! কোন মানে হয়? ইস, কত কষ্ট হয়েছে হাফপ্যান্টটা পরার সময়!"

ঈশ্বর নিরুত্তর শুনিতে লাগিলেন প্রসন্ন বদনে।

আদম কহিলো, "তারপর মাগীর কান্ডটা শুনুন! শুনলে আপনারও গায়ের পশম খাড়া হয়ে যাবে! আমার মুখের ওপর দরজাটা গদাম করে লাগিয়ে দিলো! বলে কি না, আগে দাঁড়া করাও তারপরে এসো! ... আপনিই বলুন, এ অপমান সহ্য হয়? আমি যত বলি আরে দরজা খোলো, আসো একটু রোমান্স করি, একটু জাবড়াজাবড়ি চুমাচুমি করলে আর নিষিদ্ধ ফল লাগবে না, বাৎস্যায়নশাস্ত্র থেকে কোট করলাম, দরজার ওপাশ থেকে বলে কি, তাহলে বাৎস্যায়নের সাথে গিয়ে এইসব করো, আমার সাথে কী?"

ঈশ্বর চুপচাপ শুনিয়া যাইতে লাগিলেন।

আদম দন্ত কিড়মিড় করিয়া কহিলো, "আমি কিছুক্ষণ ছটফট করলাম, মাসিক কামরশ্মির নভেম্বর সংখ্যাটি উল্টেপাল্টে দেখলাম, কিন্তু লাভ হলো না। আবার গিয়ে ঈভের দরজায় টোকা দিলাম, কোন সাড়া নাই। তখন মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে, বললাম, তবে রে মাগী, এইভাবে এই ফাল্গুন মাসটা নষ্ট করবি? দাঁড়া দেখাচ্ছি! ... বলে লাথি মেরে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকলাম। ঢুকে দেখি, ঈভ বিছানার ওপর শোয়া, পরনে শুধু একটা ফিনফিনে কাঁচুলি আর একটা একরত্তি জাঙ্গিয়া! দু'টোই গোলাপি রঙের! আমার তো দেখে মাথা গরম হয়ে গেলো, ঝাঁপিয়ে পড়লাম ওর ওপর!"

ঈশ্বর কোন মন্তব্য করিলেন না।

আদম রোষতপ্ত কণ্ঠে কহিলো, "মিনিট পনেরো বাদে হুঁশ হতে খেয়াল করে দেখি কী শুনবেন? ওটা ঈভ ছিলো না, ছিলো ঈভের রেপ্লিকা! মাগী নিজের একটা রেপ্লিকা বানিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে! ... কেমন লাগে বলুন? এমন একটা বউ দিলেন পাঁজরের একটা হাড্ডি খরচা করে, যে কিনা কোন কাজেই আসে না, খালি পেরেশানি দেওয়া ছাড়া! আর মাথায় খালি নিষিদ্ধ ফল, নিষিদ্ধ ফল! আর কোন চিন্তাই নাই তার মাথায়! কত আদর করে ডাকি, সোনা মানিক বলে, বলি আয় একটু হয়ে যাক, মাগী এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বার করে দেয়! আরে, এই তল্লাটে আর কোন মরদ আছে নাকি ওর জন্য যে এতো বাছাবাছি করে, য়্যাঁ?"

ঈশ্বর কোন উত্তর দিলেন না।

আদমের এইবার একটু সন্দেহ হয়, সে বলে, "বস? আপনি শুনছেন তো আমার কথা?"

ঈশ্বর নিরুত্তর রহিলেন।

আদম আগাইয়া গিয়া দেখিলো, সমস্যা গুরুতর। কে বা কাহারা যেন আরশের উপর ঈশ্বরের একটি রেপ্লিকা গড়িয়া রাখিয়া দিয়া গেছে ...।

* আগে সচলায়তন-এ প্রকাশিত।

মডারেট মুসলিম ধোলাই


ইসলামের নামে গুচ্ছের অপকর্ম সাধিত হচ্ছে প্রাত্যহিকভাবে। তারা নীরব। কিন্তু যেই কোনও পত্রিকা প্রকাশ করে নবীজির কার্টুন, অমনি তারা ইছলামী জোশে বলীয়ান হয়ে মুখর এবং ক্ষেত্রবিশেষে ধ্বংসাত্মক প্রতিবাদে মেতে ওঠে। মডারেট মুসলিম হিসেবে পরিচিত এই গোষ্ঠীর এমন ভণ্ডামিকে অ্যায়সা ধোলাই দিলেন উদারপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও রেডিও উপস্থাপক Neil Boortz! এক মুসলিম ফোন করেছিল তাঁর অনুষ্ঠানে, তাঁর ইসলামবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে।

এবং কী ধরাটাই না সে খাইলো! না শুনলে পুরাই মিস!

সাড়ে সাত মিনিটের অডিও ও ভিডিও এমবেড করলাম।





ধর্মীয় বিবর্তন



ঈশ্বরের প্রেস কনফারেন্স








প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেন ঈশ্বর।


ডিজাইনারের কী জানি হইসে


ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার সাহেব কি গঞ্জিকাসক্ত হয়ে উঠেছেন? নইলে কেন হরদম চোখে পড়ে প্রবল ত্রুটিসম্পন্ন নানাবিধ ডিজাইন? নাকি মাঝেমধ্যে ইমপ্রোভাইজ করার প্রবণতা জেগে ওঠে তাঁর? নাকি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট ঘরানার শিল্প রচনায় উদ্যোগী হন তিনি থেকে থেকে? 

নইলে ডিজাইনার সাহেবের প্রিয় অঞ্চলে তাঁর প্রিয় প্রাণীর ডিজাইনেও এমন ভয়াবহ গাফিলতি কেন? 


বিস্তারিত খবর এখানে

ক্রিয়াকাণ্ডক্ষম ক্রিস্টোফার হিচেন্স


ক্যান্সারাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী ক্রিস্টোফার হিচেন্স অবাক করেই চলেছেন সবাইকে। অনিবার্য মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েও তিনি আগের মতোই যুক্তিবাদে অটল, অবিচল ও দৃঢ়, মেজাজে রসিক। গত ১৪ তারিখে রেকর্ডকৃত ৫৩ মিনিট দীর্ঘ তাঁর একটি সাক্ষাৎকার দেখুন। এতে তিনি দু'-দু'বার বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন। 



সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১১

অগণন নিদর্শনের একটি


বেশ আগে ছড়া লিখেছিলাম একখানা। তেমন পদের কিছু নয়, তবে এই পোস্টে তা প্রাসঙ্গিক হবে ভেবে তুলে দিচ্ছি:

মধুর স্বরে ঢালছে কানে কত্তো গুজুর-গুজুর
কাজ না হলে ভয় দেখাবে ইসলামী সব জুজুর
সুর করে বিসমিল্লা প'ড়ে
ছাত্রী-শিশুর* কোমর ধ'রে
বসায় নিজের কোলের ওপর আরবি পড়ার হুজুর

(* "ছাত্র-শিশুর"ও বলা যেতে পারে। বিশেষ করে নিচের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে।)

একেবারে মসজিদের ভেতরে বারো বছর বয়সী এক বালককে ধর্ষণ করেছে বেয়াল্লিশ বছর বয়সী ইমাম। ছেলেটি তার কাছে আসতো সন্ধ্যাকালীন ধর্মশিক্ষার ক্লাসে। ক্লাস শেষে ইমাম ছেলেটিকে নানান ছুতোয় থেকে যেতে বলতো।

ছেলেটির পনেরো বছর বয়সী cousin-কেও ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে ইমাম সাহেব। 

কিন্তু সে কি আসলে দোষী? হয়তো সে এই পৃথিবীকেই বেহেশত ভেবে নিয়ে বালকদের গেলমান জ্ঞান করেছে। অথবা এমনও তো হতে পারে, পরকালে বেহেশতেবাসের ইহকালীন রিহার্সেল দিচ্ছিলো সে!

২০০৯ সালে নাস্তিকেরা যা যা করেনি – ০২


নাস্তিক মানেই তার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র - এ কথা ভেবে নেয়ার কোনও ভিত্তি নেই। খুনি, অপরাধী, বদমাশ, লম্পট ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে যেমন আছে, আছে নাস্তিকদের মধ্যেও। 

তবে এমন কিছু অপরাধ, কুকীর্তি আছে, যেগুলো নাস্তিকদের পক্ষে করা সম্ভব নয় বাই ডেফিনিশন। কারণ সেসব করতে গেলে অনিবার্যভাবে প্রয়োজন ধর্ম- ও ঈশ্বরবিশ্বাসের। 

এই জাতীয় কাজের ফিরিস্তিওয়ালা একটি নিবন্ধ বাংলায় ভাবানুবাদ করেছেন ধর্মকারীর স্বেচ্ছাঅনুবাদকগোষ্ঠীর একজন একলা চলো। খবরগুলো পুরনো হলেও বড়োই কৌতূহলোদ্দীপক। পড়েই দেখুন না!

৩৫ জন ইসলামী পণ্ডিত ঘোষণা করেছে, মহিলাদের চেহারা যে কোনো গণমাধ্যমে দেখানো নাজায়েজ - না টেলিভিশনে, না খবরের কাগজে। একজন মহিলা সাংবাদিক টেলিভিশনে শুধু চেহারা দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি, তিনি আবার সেক্স নিয়ে কথা বলেছেন, সুতরাং তাকে ৬০টি দোররা মারার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামী আদালত। বাচ্চা, বুড়ো, পশুদের সাথে সেক্স করতে বাধা নেই, কিন্তু সেক্স নিয়ে কথা বলা যাবেনা।

পৃথিবীর মানুষের অত্যাচারে জর্জরিত, দিন দিন বাড়ছে জনসংখ্যা, যেখানে বিভিন্ন দেশ নবদম্পতীদের জন্মনিয়ন্ত্রনে উৎসাহিত করছে (এমনকি বাংলাদেশও), সেখানে একজন এক বই লিখেছে যার নাম বাংলায় অনুবাদ করলে হতে পারে “খৃষ্টান বিবাহে জন্মনিয়ন্ত্রন পাপ এবং এটি ঈশ্বরকে সম্ভাব্য যাজক পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছে”।

ইলিনয়ের এর কিছু খ্রিষ্টান “ইলিনয় পারিবারিক সংস্থা” নামের এক প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে, তারা একজন স্কুলশিক্ষককে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে, কারণ তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে “The Friendly Atheist” নাম নিয়ে নাস্তিকতা সম্পর্কিত একটি ব্লগ চালান। এখানে বলে রাখা ভাল তার ব্লগটি সম্ভবত সব থেকে আস্তিক-বান্ধব নাস্তিক ব্লগ। (এখানে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, আমি যখন “The Friendly Atheist” সাইটটি ভিজিট করতে যাই, তখন নরটন ইন্টারনেট সিকিউরিটি আমাকে সাবধান করে “সাইটটি ক্ষতিকর”)।

মিনিয়াপলিসের এক পাদ্রী তার অনুসারীদের বলেছে, ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে লুথেরানদের প্রতি ঈশ্বর প্রেরিত শাস্তি, কারণ তারা সমকামীদের যথেষ্ট পরিমাণ ঘৃণা করে না। কথা সত্যি হলে হতেও পারে, যীশুকে তো বাতাস নিয়ন্ত্রন করতে দেখা গেছে, আর মনে হয় ঘূর্ণিঝড়ে তার অনুসারীদের কোন ক্ষতি হয় না।

মুসলিম মহিলাদেরও নিশ্চয়ই অধিকার আছে বোরখার নিচে হলেও আবেদনময়ী হওয়ার, হোক না তা শুধু স্বামীর জন্য। তাই অনেক গবেষণা করে বানানো হয়েছে এমন এক বোরখা যা ব্যায়ামাগারের যন্ত্রপাতিতে আটকে যাবেনা।

সমকামিতা ইসলামে হারাম (খ্রিষ্টান ধর্মেও)। শিশুকামে অবশ্য কোন সমস্যা নেই, তা ছেলে হোক কি মেয়ে। এটা অবশ্য আশ্চর্য হওয়ার বিষয় নয় কারন তাদের গুরুই যে ছিল শিশুকামি।

দক্ষিন আফ্রিকায় চারজন লোক ডুবে মারা গেছেন, ব্যাপ্টাইজড হবার সময়। মাঝে মাঝে এরা মনে হয় ভুলে যায়, ঈশ্বরের হয়ত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয় না, কিন্তু মানুষের নিতে হয়। 

অ্যামেরিকান মুসলিম বাবারা মেয়ে বেশী পশ্চিমা হয়ে গেলে কী করে? তাকে ও তার বন্ধুকে গাড়ি চাপা দেয়। (আমি ভাবি পশ্চিমা মেয়েরা বেশী “পুর্বী” হয়ে গেলে তাদের বাবারা কি করে?)। আর সোমালিয়ায় কোনো মেয়ে ছেলেবন্ধুর সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করলে তাকে মাটিতে অর্ধেক পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে ১২ বছরের এক ছেলে তার বন্ধুকে নিয়ে ঘণ্টাখানেক লাইব্রেরীতে পালিয়ে থাকে, সে রমজান মাসে দুপুরের খাবার হিসেবে হ্যাম স্যান্ডুইচ নিয়ে এসেছিল। একে তো রমজান মাসে খাওয়া-দাওয়া করার চেষ্টা, তার ওপর হ্যাম? মুসলিম ছাত্রদের বিষয়টা পছন্দ হয়নি, তারা প্রথমে শান্তিপূর্ণ ভাবে ছেলেটিকে না খেয়ে থাকার আহ্বান জানায়, মেনে না নেয়ায় তাকে শান্তিপূর্ণ ভাবেই তারা ধাওয়া করে, তাকে ধরতে পারলে নিশ্চই শান্তিপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নিতো।

কেনিয়াতে এখনো চলছে ডাইনী অপবাদ দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার রীতি, বাদ জাচ্ছে না বাচ্চা কিংবা বুড়ো কেওই।

"যিহোভার সাক্ষী" খ্রিষ্টান ধর্মের একটি সম্প্রদায়, তারা ক্যাথলিকদের দিকে সব দিক থেকেই আলাদা, মিল শুধু একটাই: শিশুকামীদের রক্ষা করা। ভিডিও দেখুন। 


জার্মানিতে উপন্যাস, কবিতা, গল্প, নাটক এবং অবশ্যই কার্টুন প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো, কারণ যদি শান্তির ধর্মের কারুর ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে?

নাইজেরিয়াতে ১৫ বছরের এক মেয়েকে পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে, জাগ্রত (মতভেদে উচ্ছৃঙ্খল) জনতা তাকে খুন করার উদ্দেশে তাড়া করছিল, তাদের দাবি, তারা মেয়েটিকে প্রথমে বিড়াল এবং পরে আবার মেয়ে হয়ে যেতে দেখেছে। 

এক পাদ্রী ও তার ১৪ অনুসারির বিশাল দল কিছু বই পোড়ানোর পাঁয়তারা করছিল, তারা যে শুধু নাস্তিক লেখকদের বই পোড়াচ্ছিল তাই নয়, তারা পোড়াচ্ছিল খ্রিষ্টান লেখকদের বইও, যাদের মতবাদের সঙ্গে তাদেরটা মেলে না, এমনকি কিং জেমস অনুমোদিত বাইবেল ছাড়া বাকি সব বাইবেল পোড়ানোরও পরিকল্পনা ছিলো তাদের।


ভিন্নমত ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রসঙ্গে


ফরাসী লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছিলেন: I disagree with your opinion, but I'll defend to the death your right to say it.
এই বাণীর রিমেইক... 


শখ কতো!


ইছলামীরা স্বপ্ন দেখছে, তারা অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামের শাসন কায়েম করবে। এখনই তারা সরকার ও পার্লামেন্টকে পদত্যাগ করে ইছলামীদের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করতে আহ্বান জানাচ্ছে। 

সংগঠনটির নাম Sharia4Australia। তাদের দম্ভমাখা কিছু উক্তি শুনুন:

অস্ট্রেলিয়ায় একদিন শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত হবেই, এটা অনিবার্য। তারা (অস্ট্রেলীয়রা) তা গ্রহণ করবে কি না, সেটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। ... আর এটাও অনিবার্য যে, অস্ট্রেলিয়ায় একদিন যুদ্ধ (struggle) হবে ইসলামের জন্যে।

শরিয়া আইনের বিচারে শাস্তি হিসেবে হাত কেটে ফেলতে বলা হলে সেটাকে আমরা সুসংবাদ বলবো। শরিয়া আইন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকলে আপনি বুঝবেন, হাত কেটে ফেলার অর্থ সেই লোকটির প্রতি করুণা প্রদর্শন। 

এর পরে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে, হাত কেটে ফেলার অর্থ -  তাকে ইহজীবনেই পাপমুক্তির সুযোগ করে দিয়ে করুণা প্রদর্শন করা, যাতে তাকে গোরআজাব থেকে শুরু করে দোজখের আগুনে অনন্তকাল ধরে পুড়তে না হয়।

এবারে ভিডিওতে দেখুন এক ব্রিটিশ মোল্লার জিহাদী বক্তব্য। লক্ষ্য করুন, তার খায়েশ কতোটা বিস্তৃত ও ব্যাপৃত। 


পর্ন-জিসাস

অসংখ্য ইয়ে-টাইপ ছবি দিয়ে বানানো মোজাইক। ক্লিক করে পূর্ণ আকারে দেখুন। ইমোটা খিয়াল কৈরা! 


পৃথিবীতে নারীঅধিকার লঙ্ঘনের প্রধান কারণ - ধর্ম


পৃথিবীতে নারীঅধিকার লঙ্ঘনের প্রধান কারণ - ধর্ম। জানাচ্ছেন, জিমি কার্টার। বলে রাখা প্রয়োজন, তথ্যটি তাঁর মনগড়া নয়, এক বছরের পর্যবেক্ষণ, গবেষণা ও বিশ্লেষণের ফলাফল।


ইতর ইহুদি মোল্লা


প্রায় যে-কোনও ধর্মবিশ্বাসীই মনে করে, তার ধর্মটিই সবশ্রেষ্ঠ। তারা, খুব সম্ভব, ভেবে দেখে না, বা দেখার প্রয়োজনও বোধ করে না: একেবারেই ঘটনাচক্রে হিন্দু/মুসলিম/খ্রিষ্টান/বৌদ্ধ/ইহুদি পরিবারে জন্ম নিয়ে সেই ধর্মটিকে শ্রেষ্ঠ গণ্য করার ভিত্তি ও যুক্তি কোথায়? দাবিটা অনেকটা এরকম: আমার ধর্মই সর্বশ্রেষ্ঠ, কারণ আমার জন্ম হয়েছে এই ধর্মানুসারীদের পরিবারে। কী অকাট্য যুক্তি, তাই না? অথচ অথর্ব এই যুক্তিই ধর্মবিশ্বাসীদের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি।

শ্রেষ্ঠত্ববোধের এই ভিত্তিহীন, ভুয়া ও ভেজাল গর্বের উপর্যুপরি প্রকাশ লক্ষ্য করুন এক র‍্যাবাই-এর (ইহুদি মোল্লা) বক্তব্যে। ব্যাটা বলছে, অ-ইহুদির ডোনেট করা স্পার্ম ব্যবহার করে কোনও ইহুদি নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়া উচিত নয় - এমনকি যদি তা সর্বশেষ অপশনও হয়। কারণ হিসেবে সে বলছে, পিতা অ-ইহুদি হলে সন্তান হবে "বারবারিক" (বর্বর, অমার্জিত, অসভ্য, অসংস্কৃত)।

শালা জানেও না, তার এই বাণীই আসলে বর্বর, অমার্জিত, অসভ্য ও অসংস্কৃত!

ডারউইনের সৌন্দর্যতত্ত্ব


TED আয়োজিত আরও একটি অসাধারণ বক্তৃতা। সঙ্গে অসাধারণতর অ্যানিমেশন!

লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে।


ডাউনলোড লিংক (৭৫ মেগাবাইট)

রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১১

আল্লার উপ্রেও ভরসা করতারে না... হা হা হা


খোমাখাতায় Mickel Shimar বিশ্ব এজতেমার একটি ছবি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ নাস্তিক সংঘের পাতায়। ছবির নিচে লিখেছেন: Why police & RAB,Allah isn't enough?


ধর্ষিতা হবার "অপরাধে"


ধর্ষিতা হবার "অপরাধে" মেয়ের শাস্তি শুধু ইসলামী আইনেই সম্ভব। সৌদি আরবে ২৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে পাঁচজন পুরুষ ধর্ষণ করার পরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অপরাধ নিশ্চয়ই নারীর! আর তাই ন্যায়বাদী ইসলামী বিচারবিধান প্রয়োগ করে মেয়েটিকে এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এছাড়া সন্তান প্রসবের পর তাঁকে একশোবার বেত্রাঘাতও করা হবে।


উল্লেখ করা প্রয়োজন, বেত্রাঘাতের নির্দেশ সন্তানজন্মদানের পরে পালিত হবার মানবিক নিদর্শন স্থাপন করে গেছেন নবীজি স্বয়ং।

Imran b. Husain reported that a woman from Juhaina came to Allah’s Apostle (may peace be upon him) and she had become pregnant because of adultery. She said: Allah’s Apostle, I have done something for which (prescribed punishment) must be imposed upon me, so impose that. Allah’s Apostle (may peace be upon him) called her master and said: Treat her well, and when she delivers bring her to me. He did accordingly. Then Allah’s Apostle (may peace be upon him) pronounced judgment about her and her clothes were tied around her and then he commanded and she was stoned to death.

বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। 

নুহ-র নৌকা ও ন্যুনতম যুক্তিবোধ


নুহের মহাপ্লাবন বিষয়ক কু-রূপকথা নিয়ে আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গ-ভিডিও। আমার প্রিয় TheThinkingAtheist-এর বানানো বলেই শুধু নয়। সত্যি সত্যিই অবশ্যদ্রষ্টব্য 


বর্ণবাদী হিন্দুধর্ম


হিন্দুধর্মে প্রচলিত কুৎসিত বর্ণপ্রথা প্রাসঙ্গিক একটি খবর। "সংবাদ"-এ প্রকাশিত।

কেউ বলে মুচি, কেউ বলে চামার, কেউবা বলে চর্মকার, আবার অনেকেই বলে ঋিশি। নানা নামের আড়ালে মনুষ্যত্বের অধিকার বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই ঋিশি সম্প্রদায় বিভিন্ন হস্তশিল্প যেমন_ চামড়া, বাঁশ ও বেতের এবং বাদ্যযন্ত্র তৈরির কাজ করে বাঙালির ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে নিজ সংস্কৃতিতে। এই ঋিশিরা হিন্দু সমপ্রদায়ের তথাকথিত সবচেয়ে নিচু বর্ণের মানুষ! তাই, তাদের সঙ্গে কথিত উচ্চবর্ণের কেউ মিশতে চায় না। তাদের ছোঁয়াও যেন পাপ!


উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, এক সময় ঋিশি সমপ্রদায়কে দু'শ্রেণীতে বিভক্ত করা হতো। এর একটা বড় বেগী অন্যটা ছোট বেগী। যারা পরিচ্ছন্নভাবে পেশা পরিচালনা করত তাদের বলা হতো বড় বেগী আর যারা মরা গরুর চামড়া ছেলা বা ভক্ষণ করত তাদের বলা হতো ছোট বেগী। উপজেলার জাতপুর রিশি পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত গৃহবধূ কল্পনা রানী। ঝুড়ি, ডালা, কুলা, খারায়সহ বাঁশ দিয়ে তৈরি করে দৈনিক তার আয় হয় ৮০-১০০ টাকা। জানা যায়, সংস্কৃতিচর্চায় ঋিশিরা এগিয়ে থাকলেও হিন্দুদের পূজা এবং বিয়েতে এখন পর্যন্ত ঋিশিদের পূজাম-প বা বিয়ের আসর স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। এ জনগোষ্ঠী এখনো সামাজিকভাবে নিগৃহীত। এদের নিয়ে সমাজে অনেক কটুক্তিকর ভাষার চর্চা রয়েছে। জানা গেছে, ঋিশিদের মাঝে বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা প্রকট। সর্বক্ষেত্রে নারী ও শিশুরা বেশি অবহেলিত। এরা স্বাস্থ্যসেবা পায় না বললেই চলে, শিক্ষার হার খুবই কম। ভূমিহীনের সংখ্যাও বেশি। আর্থিক উন্নতির দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছে এ সম্প্রদায়। এরা এখনো অস্পৃশ্যতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। দিনের আলোতে ঋিশিরা উঁচু বর্ণের গ্রামে ঢুকতে পারে না, এমনকি হাটবাজার দোকানগুলোসহ শ্মশানে প্রবেশ করতে পারে না। বর্তমান ডিজিটাল যুগেও হস্তশিল্পের কাজে যাদের অবদান অনেক বেশি সেই ঋিশি সম্প্রদায় দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে। এদের মানোন্নয়নের জন্য দাতা সংস্থার সহযোগিতায় তালাস্থ বেসরকারি সংস্থা ভূমিজ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি নাস্তিক


গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে নাস্তিক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান Ricky Gervais একটি বাক্য বলে ধর্মবিশ্বাসীদের সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে পড়েছেন। পুরস্কার গ্রহণ করা সময় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়ার ঐতিহ্য বজায় রেখে তিনি বলেছিলেন, "Thank God For Making Me An Atheist."

সিএনএন-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর আচরণের সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বোকা বানিয়ে দিলেন আস্তিক উপস্থাপককে।



সুসংবাদ


যিশু আর মোহম্মদ নিয়ে করা কমিক সিরিজ জিসাস অ্যান্ড মো ২০১০ সালে যে-কোনও প্রচারমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত কমিকগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে পাঠকদের ভোটে। 

প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ওয়াশিংটন পোস্ট

সেই সাইট থেকে একটি কার্টুন:


আমাদের আত্মীয়েরা – ১৪


বহুভাষী বানরদের সঙ্গে পরিচিত হোন। আরও দেখুন, মানুষদের মতোই তারাও মিথ্যে কথা বলে 

ছয় মিনিটের ভিডিও।


শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১১

ধর্মানুনুভূতিতে আঘাত পেয়েছি: বিচার চাই



Cross-section of the Ka'ba

ধর্মানুনুভূতিতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। ব্লগারদের কাছে বিচার চাই। সাম্প্রদায়িক ও ইসলাম বিরোধী ব্লগার মহাপবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছে দেখুন- ( এই পোস্টের ১০০ নম্বর মন্তব্যের জবাবে)


ভাই কয় কি দেহেন, “যেহেতু কাবা'র কোন জানালা নেই এবং সব সময় বন্ধ থাকে, তাই ভিতরে যেন একটা গুমট গন্ধ না ছড়ায়”। কাবার ভিতর নাকি গন্ধ হবে!! খালেদা জিয়া ফালুকে সাথে নিয়া কাবার মধ্যে ঢুকতে দেইখ্যাও এমনটি বোধ করি নাই যা এই মন্তব্যের ফলে বোধ করছি (সিরিয়াসলি বলছি; নাস্তিকরা এটাকে নিয়ে ত্যানা পেঁচাতে পারে, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন)। (ওই নীলপদ্ম পবিত্র কোরবানীর ঈদের সময়ও এখানে-ওখানে পশু বলির ছবি দিয়া উহাই বোঝাতে চেয়েছিল যে বলি কোরবানী অপেক্ষা মানবিক। নাউজুবিল্লা!! )

সে নীল পদ্ম নাকি লাল পদ্ম নাকি াল পদ্ম তাহা দিয়া আমি কি করিব? আমার ঈমান ঠিক থাকিলেই হইবে। 

যাই হোক, ছোটবেলায় ভাবতাম, ওটা বায়তুল্লাহ - আল্লার ঘর তাই ঐ মহা-পবিত্র কাবাগৃহে আল্লাহ সুবহানুহু ওয়াতা’আলা থাকেন, কিন্তু এই ছোট্ট গৃহে তাঁর মত এত্ত বড় ও মহান সত্ত্বা কেমন করে জায়গা করে নিতে পারেন তাহা ভাবিয়া অধীর হইয়া উঠিতাম। অবশ্য যখন বুঝিতে পারিলাম যে তিনি অসীম হইলেও শূন্য মানে তাঁর কোনো আকার-আকৃতি নাই, তখন কিঞ্চিৎ বুঝিতে পারিয়াছিলাম বলিয়া মনে হইতেছিল। মস্তক নামক কিছু না থাকা সত্ত্বেও যার জ্ঞান অসীম, তিনি কোন দুঃখে দেহ ধারণ করিবেন? 

নীল-পদ্ম যে ভিডুর লিংক দিয়েছে উহা আমি অনেক কাল আগে ডাউনলোড করেছিলাম। ছোটবেলার মত মনে করি নাই যে ওখানে স্বয়ং পরম করুণাময়কে দেখতে পাব, কিন্তু কিঞ্চিৎ আশা ছিল অন্তত তাঁর নূরের ছোয়ায় কিছুটা হলেও সুখানুভূতি লাভ করিব। কিন্তু খালি ঘর দেখিয়া আমার ধর্মানুনুভূতি নেতিয়া পড়িলে নীল-পদ্মের মন্তব্যে উহা উত্থিত হইয়াছে। 

আমি সবার কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই। 

সকল ইসলাম বিরোধী শক্তির মহা-পতন ঘটুক, আমিন। 

পবিত্র কাবা নিয়ে ষড়যন্ত্র নতুন নয়: পবিত্র কাবা শরীফে এক সময় মক্কার কাফিররা ৩৬০ টা মূর্তি স্থাপন করিয়াছিল, আর শরমের কথা বলি, তখন কাফিররা উলঙ্গ হইয়া কাবার চারদিকে ঘুরত মানে তওয়াফ করত, কিন্তু আল্লার কি হেকমত দেখেন, মুসলমানদের পরীক্ষা করার জন্য তিনি নিজে কোনো ব্যবস্থা নেন নাই। পেয়ারা নবী অনেক কষ্ট করিয়া কাফিরদের কবল থাইক্যা পবিত্র কাবা-শরিফকে উদ্ধার করেন। এই কাবা আবার কাফিরদের অধীনে চলিয়া গিয়াছে, মুমিন-মুসলমান গণ জাগো; তরবারি, স্যরি, মহা-বিস্ফোরক লইয়া আগোয়ান হও। 

Historical view of the Ka'ba and al-Haram, in 1954

Floor plan of the Ka'ba- হাতিম আগে কাবাগৃহের অন্তর্ভুক্ত ছিল। উহাও ষড়যন্ত্র করে বাইরে নেয়া হয়েছে।

আহম্মকরা বলে থাকে, কাবা নাকি পেগানদের ধর্মমন্দির ছিল। তাহারা অনেক আগ হইতে ইহাতে মূর্তি-পূজা করিত। আর আমাদের পেয়ারা নবী উহা দখল করে মুসলমানদের উপাসনাস্থলে পরিণত করেন। আহম্মক নাস্তিকরা কিছু প্রশ্ন করে মহামূল্যবান ঈমান দুর্বল করিয়া দিতে চায়। তাহাদের উপযুক্ত জবাব এখানে দিয়ে দেয়া হইল যাতে তাহারা আর কোনো দিন এরকম প্রশ্ন করিতে না পারে-

১। মুহাম্মদ বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কাবার দিকে মুখ করিয়া নামাজ পড়ার নিয়ম কেমতে তৈরী করিলেন? মুহাম্মদের ইচ্ছার সাথে আল্লার ইচ্ছার চক্কর দিবার রহস্য কি?

>> দূর হও নাস্তিক! হজরতের ইচ্ছার সাথে সাথে আল্লাহ কোরানের আয়াত পর্যন্ত নাযিল করিতেন, আর এটা তো  কাবা।

২। শোনা যায়, কাবার সোজা উপরে নাকি সিদরাতুল মুনতাহা আর এর উপর নাকি আল্লার আরশ বা মহা রাজ-সিংহাসন। তাহা হইলে পৃথিবী ঘুরার সাথে উহাও কি ঘুরতে থাকে? 

>> এ ধরণের হাদিস যে বানোয়াট, তাহা নাস্তিকদের বুঝানোর দায়িত্ব কার? আমরা কোরান অনলি!!!

৩। পৃথিবী গোল। তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষ কি করিয়া এর দিকে চাহিয়া নামাজ পড়িতে পারিবেন? 

>> ছোট বেলায় একটা বড় আকৃতির বেলুন ফুলাইয়া উহা ভাবিয়া ঈমান হারাইতে বসিয়াছিলাম। দুই চাইরটা বই পড়েই কেউ নাস্তিক হইলে এমনই হয়, নাস্তিকদের বিদ্যার অভাব তাহাদের এসব আবালীয় প্রশ্নেই টের পাওয়া যায়।

৪। কাবা ছিল পেগানদের সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। সব গোত্ররাই তাদের নিজ নিজ দেবতার পূজা এখানে স্বাধীনভাবে করিতে পারিত। হুজুরে পাক আমাদের পেয়ারা নবী উহা যেভাবে দখল করিলেন, তাহা কি মানবিক হইয়াছে?

>> আহম্মক নাস্তিকরা, তোমরা মানবতার কি বুঝ? একদম –করিয়া ঠিক করিয়া দিলে মানবতা বুঝিতে পারিবে।

৫। “আল্লাহ” ছিল পেগানদের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনার ফসল। একে এভাবে হাইজ্যাক করে নেয়া কি উচিত হইয়াছে? মক্কার পেগানরা আল্লার পূজা করিত আর লাত, মান্নাত ও উজ্জাকে আল্লার কন্যা মনে করিত।

>> নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ, শুধু নাস্তিকরাই এরকম ভাবিতে পারে, নিঃসন্দেহে তাদের জন্য গরম পানি প্রস্তুত হইতেছে। 

৬। বছর বছর কাবায় গিয়া পদপিষ্ট হইয়া, তাবুতে আগুন ধরিয়া, গরমে ও ভিড়ে হার্ট এটাক করিয়া অনেক লোক মারা যায়। বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হইয়া অনেকেরই অবস্থা কাহিল হইয়া পড়ে, যে জন্য হাজীদের ঠিকা দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। আল্লাহ তো অন্তত এঁদের কেয়ার নিতে পারিতেন, কারণ এঁরা না তাঁর সম্মানিত মেহমান। পদপিষ্ট করিয়া মারিয়া আবার কোন ধরণের আতিথেয়তা? ছোট্ট একটা হিসাব

Recent disasters

2006: At least 362 pilgrims died in a stampede during the "stoning of the devil" ritual; a hostel collapsed in Mecca, killing at least 76 people. 

2004: Some 250 pilgrims died in a stampede during the "stoning of the devil" ritual. 

2001: 35 pilgrims crushed to death at Arafat. 

1998: 180 pilgrims crushed to death. 

1997: 350 pilgrims killed when in a fire started by a gas cooker swept through the tents at Mina. 

1994: 270 pilgrims crushed to death. 

1990: 1,400 pilgrims killed during a stampede in a pedestrian tunnel linking Mecca with Mount Arafat. The stampede is thought to have been caused by the great heat when a ventilation system in the tunnel broke down.

1987: More than 400 pilgrims died as a result of demonstrations.

>> যারা মারা যায়, তারা যে শহীদ, তা নাস্তিকদের উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। উহারা অন্ধ, আল্লাহ সকলকে সিরাত্বিম মুস্তাক্বিম দেখার সৌভাগ্য দেন না। আর হিন্দুরা যে তীর্থে গিয়া হাজারে হাজারে মরছে, সে হিসাব তোমরা রাখ? সাধে কি আর বলি, ব্লগের সকল নাস্তিকই আসলে মুসলিম বিদ্বেষী ছদ্মবেশী। 

আহম্মকরা জানে না, কাবা সর্বপ্রথম স্বয়ং ফেরেশতারা তৈরী করেছিলেন- যখন পৃথিবীতে কোনো মানুষ ছিল না। এরপর আদম-হাউয়া ও পরে ইব্রাহিম-ইসমাইলের কাহিনী সবাই জানেন। নাস্তিকরা হাসিয়া উড়াইয়া দিলে কি হইবে,উহাই তো বাস্তব, তাই না? দেখেন নাসারাদের কীর্তি

ভাইসব, দুঃখ কইরেন না। আল্লার উপর ভরসা রাখেন। আল্লাহ পাক আমাদের জন্য কি সুন্দর জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন, যেখানে আমরা পাপ কাটার পরপরই অনন্ত কালের জন্য দাখিল হইব আর কাফের-নাস্তিকরা বিশেষ করে ব্লগগুলার আহম্মক নাস্তিকরা বিনা হিসাবে জাহান্নামে অনন্ত কালের জন্য দাখিল হইবেক। তাই বন্ধুরা আমার, নাস্তিকদের কাছ থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকিবেন, উহাদের রচিত উলটাপালটা কিছু পড়িয়া ঈমানে বিঘ্ন ঘটিলে সোজা মসজিদে চলিয়া যাইবেন। ইহাতেও কাজ না হইলে তাবলীগ তো আছেই, আর হিজচুত, জেজে এম বি – জান্নাতের ১০০% গ্যারান্টি এগুলোও কি আমাকেই বলিয়া দিতে হইবে? জান্নাতে যেতে হলে কিছুটা মাথা খাটানো চাই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মাথা দিয়াছেন দুনিয়াতে তাহা খাটানোর জন্যই। 

মহা-পবিত্র কালো পাথর নিয়ে ঐতিহাসিক ষড়যন্ত্র: নাস্তিকরা বলে উহা নাকি উল্ক-পিণ্ড, উপর থেকে পড়ার পর অবুঝ পেগানরা না বুঝিয়া একে পূজা করিতে থাকে। নাস্তিকদের কথা বাদ দেই, এরা হেদায়াতের অযোগ্য। কালোপাথরের এরকম চেহারা আগে ছিল না-ভাল করে তাকিয়ে দেহেন একটু ইয়ের মত লাগে না (স্পষ্টভাবে বুঝিতে হইলে এইখানে ক্লিক করুন), উহা ইহুদি-নাসারা বান্ধব সৌদি সরকারের ষড়যন্ত্র। মুসলমানদের পদানত হইলে উহাকে আবার অরিজিনাল সাইজ দেয়া হইবেক।


এই পাথরটির বিশেষ গুণ হইল, তাহা গুণাহ শোষণ করিতে পারে। উহা প্রথমে ধবধবে সাদা ছিল আর মানুষের গুনাহ শোষণ করিয়া ক্রমান্বয়ে কালো হইয়া যায়। পাপের বর্ণ হইল কালো!! সুবানাল্লাহ!!!

কাবায় বন্যা: পানিতে ভাসিয়া যায় আমার ধর্মানুনুভূতি

এও ছিল কপালে? ১৯৪১ সালের ঘটনা। তখন প্রযুক্তিতে অনগ্রসর মুসলমানরা বুঝিতেই পারে নাই যে উহা ইহুদিদের ষড়যন্ত্র। ভিডু দেখার সাথে সাথে পড়তে থাকবেন- ত্বালাআ’ল বাদ্রু আ’লাইনা, মিন সানিয়াতুল ইদায়ি’, নাহলে ঈমান যাওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 


আর যাদের ঈমান বেশি দূর্বল তারা সূরা ফাতিহা পাঠের সাথে সাথে কাবার ডুবে যাওয়া দেখেন। সাথে আছে পাঁক-পবিত্র আরবি বান্ধব উর্দু ভাষায় তরজমা। 


কাবার করুণ দৃশ্য

হাদিসে আছে মুমিনদের অন্তর আল্লার আরশ। এই আল্লার আরশখানি পর্যন্ত যেখানে মাঝে মাঝে বিনা জলেই ভিজিয়া যায় সেখানে কাবা শরিফ ডুবিয়া গেলেই বা কি!! 

পরিশেষে- নাস্তিকদের এই মর্মে সতর্ক করা যাচ্ছে যে এখানে অহেতুক গোলমাল সৃষ্টি করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা আল্লাহই নিবেন আর নিঃসন্দেহে তাদের জন্য পরকালে রয়েছে লাঞ্ছনা ও পরম শাস্তি, আর নিশ্চয় তিনি যাহার ইচ্ছা এমনি করেই অজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া দেন। আর সুপ্রিয় আস্তিক বন্ধুরা, নাস্তিকরা যেহেতু অনন্ত কালের জন্য দোজখে যাত্রা করিতেছে তাই এদের কথায় দুঃখিত হয়ে লাভ নেই- এদেরকে বরং করুণা করাই উচিত। জান্নাত হইতে উঁকি মেরে আমরা যখন তাদের জিজ্ঞাসা করব কেমন লাগিতেছে তখন তাহারা কি উত্তর দিবে তাহা ভাবিয়া হাসিয়া অস্থির হইয়া গিয়াছি। আমি এখানে শুধু আমার ঈমানী দায়িত্ব পালন করিলাম। আর হ্যা, নিশ্চয়ই সাধু-চলিত মিশ্রনে কোনো প্রকার গুণাহের আশংকা নেই। মুমিন-মুসলমানরা চিরকালই বেচে থাকুক স্যরি শীঘ্রই জান্নাতে চলুক। আমিন!! ছুম্মা আমিন!!!

নাস্তিক্যবাদ কি "নিখুঁত" ও "নির্ভুল"?


লাস্যময়ী নাস্তিক ক্রিস্টির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে সে বোধহয় পারবে না (ক্রিস্টিভক্তরা কী বলেন?), তবে এই মেয়েটিও যথেষ্ট সুদর্শনা। ভিডিওতে খুব নতুন কিছু সে বলে না বটে, তবে তবে যা বলে, বলে স্পষ্টভাবে। বক্তব্যের বিষয়: নাস্তিক্যবাদ কি "নিখুঁত" ও "নির্ভুল"?
অন্তত তার মুখের দিকে তাকিয়ে কথা শুনতে খারাপ লাগে না 


চাপাভিত্তিক ধর্মগুলো



শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

ইছলামী বিজ্ঞানের বিকট আবিষ্কার


ইছলামী বিজ্ঞানের আলোড়ন সৃষ্টিকারী দু'টি আবিষ্কার: 
১. একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে নারীর শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (immune system) দুর্বল হয়ে পড়ে। 
২. শুয়োরের মাংস যারা খায়, তারা খুব কর্মঠ হয় বটে, তবে তাদের চিন্তাক্ষমতা থাকে না, তারা চিন্তাবৈকল্যে ভোগে। শুধু তা-ই নয়, দুর্বল হয়ে পড়ে তাদের আত্মগর্ববোধক্ষমতাও।


সম্পূর্ণ ইছলামী বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ শুনতে ভিডিও দেখুন, নয়তো ভিডিও-ট্র্যান্সক্রিপ্ট পড়ে নিন। 

ডাউনলোড লিংক (২৫ মেগাবাইট)

Interviewer: As you know, the West wants to shift the woman away from her purity, her chastity, and the holiness that Islam bestows upon her, to Western life, to lesbianism, to "How come women can't have multiple husbands?", to "Why can't a woman enjoy sexual liberty before she get married?", to "Why can't there be a focus on women, like in the West – so that women can be with women, without needing men, and men can be with men, without needing women?" These are very dangerous issues. Does science have anything to say about them? 

Jamal Al-Din Ibrahim: Regarding the question of the woman, even American society admits that women in America have lesser rights. Let me give you a clear example: When a woman gets married, she adopts her husband's surname, and gives up her maiden name. If she marries so-and-so, she becomes Mrs. So-And-So. She is attributed to him. Before the scientific revolution, and before there were machines, the woman would be a slave to her husband. She had no rights whatsoever. This was less than 250 years ago. 

The situation developed when women were needed to help the men in modern life. Consequently, women progressed in many aspects, but not with regard to the need to give up their maiden names. 

Secondly, women in America are exploited as merchandise. Women are viewed as merchandise. If a woman is pretty, she has a certain price and status in society. Even at university, the professor will give a beautiful girl better grades than a plain one. In ads, a girl with a nicer body will fetch a higher price. 

[...] 

When I was a student at university, in 1975-1977, they conducted a survey which showed that the female American student, who spends, an average, four years at university, has sexual intercourse with 200-300 guys during these four years. 

When a woman has sex with more than one man, it causes her a medical problem, because it weakens her immune system. 

Interviewer: How exactly? 

Jamal Al-Din Ibrahim: When a woman has sex with more than one man... When she has sex with the first man, her body tries to determine the identity of the man's sperm. 

Interviewer: Before the show, you explained the process of identification to me. 

Jamal Al-Din Ibrahim: Yes, there is a process of identification, and the sperm is registered in her body. It is like when a person enters somebody's home, he is identified, and something like an identity card is prepared... This man now has a special place. This process is conducted by the immune system. It is like when a man works for a certain company, the company makes a great effort to get to know who the person is, and to place him in the right post. After a while, the woman's body easily identifies that man's sperm, which has become part of the woman. Along comes another man and has sex with her. Now the immune system must go over the entire process again. 

Interviewer: The immune system undergoes much effort in the identification of the new guy. 

Jamal Al-Din Ibrahim: It is even more difficult when there are two men at the same time. These girls do that. They have one, two, or three lovers, plus a boyfriend. He may not even be a close friend, but she still has sex with him. This wears out the immune system. 

Interviewer: From having to conduct too many identification processes... 

Jamal Al-Din Ibrahim: It is busy with identification all the time as a result of all these sexual encounters. When the woman reaches her thirties or forties, after 15 years of [sex], she begins to develop breast cancer and uterine cancer, which are very common in America. 

Interviewer: What is the reason for this? 

Jamal Al-Din Ibrahim: The sexual contacts cause the woman's immune system to crash or to weaken. 

[...] 

Someone who eats pork can work hard, but cannot think. His thinking is impaired, because his stomach invests a great effort in breaking up such complex molecules. 

[...] 

It was discovered that pork eating weakens a person's ability to think, as well as his ability to take pride in himself. It abolishes his zeal. 

Interviewer: Is that a fact? 

Jamal Al-Din Ibrahim: It's true. 

Interviewer: A pork eater has no patriotism? 

Jamal Al-Din Ibrahim: This has been scientifically established. It lowers the body's level of serotonin, which generates activity and increases one's pride, and maybe even enhances one's happiness. When this hormone is secreted in the body, the person becomes happy, but pork reduces the level of serotonin. A pork-eater can put his muscles to work, but not his brain. 

[...] 

Several doctors have achieved excellent results in treating impotence by having their patients grow their beards long. 

Interviewer: Allah be praised! 

Jamal Al-Din Ibrahim: Beard-growing encourages the production of testosterone. When people who suffer from impotence and cannot get an erection grow beards, the level of [testosterone] rises... They measured it in micrograms, and found that the testosterone level rises among men who grow beards. 

Interviewer: Allah be praised!

প্রচারে বিঘ্ন – ১৩



যিশুভক্ত সুজির গল্প (আপডেটেড)


"যিশুভক্ত সুজির গল্প" নামে চমৎকার একটি ভিডিও-গল্প প্রকাশ করেছিলাম ঠিক প্রায় এক বছর আগে। অসাধারণ ভিডিওনির্মাতা TheThinkingAtheist-র ভক্ত হয়ে পড়েছিলাম এই ভিডিও দেখেই। ক্লাসিক এই ভিডিওটি সম্প্রতি নবায়ন করা হয়েছে। চিত্রনাট্যে কিছুটা অদলবদল আছে, গ্রাফিক হয়েছে উন্নততর। এখন তা HD resolution-এ। দেখা থাকলেও আবার দেখে নেয়া উচিত হবে। আর না দেখে থাকলে তো দেখাটা একেবারে ফরজে আইন!


বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

ইসলাম কি চুরি-বাটপাড়ির ধর্ম?


পশ্চিমাদের তথা অবিশ্বাসীদের অর্থ হাতিয়ে নেয়া ইসলামী মতে জায়েয। এবং তার একটি অংশ জিহাদের কাজে ব্যয় করা যাবে। কী চমৎকার বিধান, তাই না? অবশ্য ইসলামের লুটতরাজপ্রবণ নবীই এই পথ দেখিয়ে গেছেন।

ইয়েমেনী ইসলামবাজ Shaykh Anwar al-Awlaki লিখছেন The Ruling on Dispossessing the Disbelievers wealth in Dar al-Harb নামের একটি নিবন্ধে। নির্লজ্জ ইতরামির মাত্রা কতোদূর বিস্তৃত ও ব্যাপৃত, লেখাটি থেকে উদ্ধৃত কিয়দংশ না পড়লে অনুমানও করতে পারবেন না। অন্তত বোল্ড করা অংশগুলো পড়ে দেখুন:

All of our scholars agree on the permissibility of taking away the wealth of the disbelievers in dār al-ĥarb whether by means of force or by means of theft or deception.
Our scholars differ on how wealth taken by means of theft and deception should be divided. The majority believes it is ghanīmah. So one-fifth of it should be paid to the Amir to be spent on jihad. Alternatively, the Hanafi’s consider it to be a source of income that belongs in its entirety to the ones who seized it. Finally, there is a minority opinion that it is fai' and therefore should be distributed according to the discretion of the Amir. 


Implications on our present day work: Every Muslim who lives in dār al-ĥarb should avoid paying any of his wealth to the disbelievers whether it be in the form of taxes, duties, or fines. If a Muslim is allowed to deceive the disbelievers to appropriate their wealth then he is also allowed to deceive them to avoid paying them his wealth.

Even though it is allowed to seize the property of individuals in dār al-ĥarb, we suggest that Muslims avoid targeting citizens of countries where the public opinion is supportive of some of the Muslim causes. We therefore suggest that the following should be targeted:
Government owned property
Banks
Global corporations
Wealth belonging to disbelievers with known animosity towards Muslims

In the case of the United States, both the government and private citizens should be targeted. America and Americans are the Imam’s of kufr in this day and age. The American people who vote for war mongering governments are intent on no good. Anyone who inflicts harm on them in any form is doing a favor to the ummah.

Careful consideration should be given to the risk vs. Benefit (i.e., maslaĥa) of any specific operation. Because of the very negative implications of an operation that is exposed, it is important that the benefits outweigh the risks.

Dear brothers: Jihad heavily relies on money. In Qur’an, the physical jihad is associated with jihad with one's wealth in eight verses. In every verse but one, jihad with wealth preceded the physical jihad. That is because without wealth there can be no jihad. Our enemies have realized that. Therefore they are "following the money trail" and are trying to dry up all the sources of funding "terrorism".

Our jihad cannot depend wholly on donations made by Muslims. The Messenger of Allah (SAW) sent many armies for the sole purpose of raiding caravans of the disbelievers. Not only was jihad financed by booty but also throughout our early history them Islamic treasury itself was mostly dependent on income generated from jihad. A tax called kharaj was placed on land opened by Muslims, enslaved POWs would be sold, and the people of the book paid jizyah. All of these sources were generated through jihad. Zakah and Şadaqah represented only a small portion of the income of the Muslim government.