আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

২০০৯-২০১০ সালে নাস্তিকেরা যা যা করেনি – ০৩


নাস্তিক মানেই তার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র - এ কথা ভেবে নেয়ার কোনও ভিত্তি নেই। খুনি, অপরাধী, বদমাশ, লম্পট ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে যেমন আছে, আছে নাস্তিকদের মধ্যেও। 

তবে এমন কিছু অপরাধ, কুকীর্তি আছে, যেগুলো নাস্তিকদের পক্ষে করা সম্ভব নয় বাই ডেফিনিশন। কারণ সেসব করতে গেলে অনিবার্যভাবে প্রয়োজন ধর্ম- ও ঈশ্বরবিশ্বাসের। 

এই জাতীয় কাজের ফিরিস্তিওয়ালা একটি নিবন্ধ বাংলায় ভাবানুবাদ করেছেন ধর্মকারীর স্বেচ্ছাঅনুবাদকগোষ্ঠীর একজন একলা চলো। খবরগুলো পুরনো হলেও বড়োই কৌতূহলোদ্দীপক। পড়েই দেখুন না!

> ৪৫ বছর বয়স্ক গান্থার লিঙ্ক লিফটে আটকা পড়েছিলেন, মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি দৌড়ে গির্জায় যান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে, ঈশ্বর তাকে ৪০০ কেজি ওজনের পাথরের বেদীর তলায় ফেলে ধন্যবাদের জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এক ধরনের ঐশী রসিকতা। নাস্তিক হলে ধন্যবাদ জানাতো সে প্রকৃত রক্ষাকারীকে এবং প্রাণেও বেঁচে যেতো।

> ১১৭ জন, যাদের মধ্যে ৪৭ জন শিশু, পবিত্র পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে, পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। নিশ্চয়ই যারা অসুস্থ হয়েছে তারা ঘোর পাপী, নয়ত মনে মনে নাস্তিক ছিল, এই জন্যেই “পবিত্র পানির” ধকল সহ্য করতে পারেনি।

> নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাদের পুরস্কৃত করেন, যারা পর্দা পালন করে। সেটাই, বোধহয়, করেছেন তিনি। সিডনিতে একজন মহিলা গো কার্ট গাড়ি নেকাব পড়ে চালাচ্ছিলেন, আল্লাহ্‌ এই পর্দানশীন মহিলাকে শ্বাসরোধ করে পুরস্কৃত করেন।

> পাকিস্তানে ব্ল্যাসফেমি আইনের আওতায় ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আবেদন করেছে কয়েকজন আইনজীবী, কারণ জুকারবার্গ “মোহাম্মদকে আঁকো প্রতিযোগিতা” পেজটা বন্ধ করছেন না। নিশ্চই জুকারবার্গের উচিৎ কোন পেজটা কার অনুভূতিতে আঘাত করল এটা দেখে বেড়ানো আর ব্যাবস্থা নেয়া, বিশেষ করে পেজটা যদি হয় শান্তির ধর্মের বিরুদ্ধে।

> হাইতিতে ভূমিকম্পের এক মাস পরে এক জুটি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, তারা ভুডু নিয়ম অনুসারে বিয়ে করেন, তাদের বিয়েতে বেশ সাহায্য করে স্থানীয় ইভ্যাঞ্জেলিক খ্রিষ্টানেরা (নাস্তিকেরা নয়)... পাথর নিক্ষেপ ক'রে। ভুডু বিয়ের নিয়মই হয়ত পাথর নিক্ষেপ করা, কারণ ধার্মিক লোকজন তো আর কাউকে আহত করার জন্য কিছু করবে না, ধর্মগ্রন্থে তো তা-ই লেখা আছে।

> দক্ষিণ আফ্রিকাতে জাগ্রত জনতা নয় সদস্যের এক পরিবারকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বাড়ীটা পুড়িয়ে দিয়েছে, কারণ ওই বাড়ীর লোকজন নাকি ডাকিনীবিদ্যা চর্চা করছিল। পরিবারটি বাড়ী হারিয়ে খাদ্য ও বস্ত্রহীন অবস্থায় একটি আশ্রমে অবস্থান করছিল। জাগ্রত জনতার মধ্যে ক'জন নাস্তিক ছিল জানতে ইচ্ছা হয়।

> ইহুদি লোকজন ইসরায়েলে ইন্টেল কোম্পানির কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে, কারণ কারখানাটা ধর্মীয় রীতিমাফিক বিশ্রামের দিনেও (ইহুদি ধর্মমতে, এদিন কোনো ধরনের কাজ করাই পাপ) চালান হচ্ছিল, তারা গাড়ী ভাঙচুর ও থুতু নিক্ষেপ করে। বিশ্রামবারে বিক্ষোভ করাটা কাজের পর্যায়ে পড়ে নাকি গবেষণা করা দরকার।

> জন স্মিথের বাবা মার নিশ্চয় কল্পনাশক্তির অভাব ছিল, কিন্তু জন স্মিথের তার অভাব নেই। সম্প্রতি তিনি গর্ভবতী অবস্থার জেমি হার্মসকে বরখাস্ত করেছেন। কারণ জেমির গর্ভের শিশু নাকি তার খারাপ শক্তি বিকিরন করছিল। জনের গুনিনও এই ব্যাপারে মোটামুটি নিঃসংশয়। একান্ত উপায়হীন হয়ে নিজেকে বাঁচানোর আর কোন উপায় না পেয়েই তিনি জেমিকে বরখাস্ত করেন।

> নাইজেরিয়াতে তিন দিন খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গাতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মনে হচ্ছে, কাদের ঈশ্বর বেশি দয়াময়, তা নিয়ে বিবাদ হচ্ছিল। সাম্প্রতিককালে নাস্তিকদের এক দাঙ্গায় ... ইয়ে মানে... এটা কখনো হয়নি।

> ৭২ জন হুরের কথা অনেকেই জানেন, কিন্তু ইসরায়েলি ত্রাণকর্তার ৭২ জনের দরকার নেই, ১৭ জন নিয়েই তিনি খুশি। অবশ্য সংখ্যাটা ৩০-ও হতে পারে, যা-ই হোক না কেন, বউয়ের সংখ্যা ১৭ হোক আর ৩০ হোক অথবা সন্তানসংখ্যা ৬০ নাকি কতো, তার গোনাগুনির সময় নেই। তিনি বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কানুন তৈরিতে ব্যস্ত।

> দ্রুত উত্তর দিন:
গির্জা বলছে আপনার মা একজন ডাইনী, আপনি কী করবেন
১) যে বলেছে তাকে পেটাবেন (সে যাজক হলেও)। 
২) গির্জার নামে মামলা করবেন। 
৩) চুপ করে থাকবেন (পাগলের প্রলাপে কান দেয়ার কোনো মানে নেই)। 
৪) মার গলা কেটে ফেলবেন (কারন যেহেতু গির্জা বলেছে এটা মিথ্যা হতেই পারেনা)। 
একজন খ্রিষ্টান সুসন্তান কোনটি বেছে নিয়েছে, আন্দাজ করতে পারবেন? 

পোপ বলেছেন, আফ্রিকাতে কনডম ব্যবহারের কারণে এইডস এর প্রকোপ বাড়তে পারে কারণ... আরে! পোপ বলেছেন, আবার কারণ-টারণ লাগে নাকি? ধুর! 

> খ্রিষ্টান যাজকরা যে হরদম শিশুদের যৌনহয়রানি করে চলছে, এটা কাদের দোষ? আমার আগেও সন্দেহ ছিল, এখন তা আরো দৃঢ় হল, দোষটা সমকামীদের, শিশুকামিদের নয়। বাঙালির তিন হাত: ডান হাত, বাঁ হাত আর অজুহাত। খ্রিষ্টান যাজকদের আছে শুধুই অজুহাত।

> জুম্মাবারে নামায পড়তে হয়, প্যারিসে শুক্রবারে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে তাই, দোকান ও বসতবাড়ির সামনে গালিচা বিছিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। মাত্র আড়াই ঘণ্টা ব্যবসা না করলে কিংবা বাড়ী থেকে বের না হলেই হয়, কিন্তু বেরসিক দোকানদার আর বাড়ীর বাসিন্দারা আবার এটা নিয়ে নালিস করছে বলছে এটা নাকি আইনত অবৈধ, আবার গণমাধ্যমের লোকজন আসছে ক্যামেরা নিয়ে, শান্তিতে নামায পরার জন্য তাই মুসল্লিদের “দারোয়ান” নিয়োগ করতে হয়েছে।

শান্তির ধর্মের একজন একটি লোককে মেরে চোয়াল ভেঙ্গে দিলো, আপনি বিচারক হলে কি করতেন? 
১) জেলে পাঠাতেন (নিঃসন্দহে লোকটি যা করেছে তা ভুল)। 
২) জরিমানা করতেন (যার চোয়াল ভেঙ্গেছে তার চিকিৎসার অর্থের জন্য)। 
৩) দুটোই। 
৪) বেকসুর খালাস (নিশ্চয়ই চোয়ালটি বৃহত্তর শান্তি অর্জনের উদ্দশ্যেই ভাঙা হয়েছিলো)। 

> আপনি যদি শান্তির ধর্মের কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে ফুটবল খেলা দেখা ছেড়ে দিন, কারণ আপনার আপন পরিবার আপনাকে হত্যা না করলেও ধর্ম-পুলিশরা ঠিকই করবে। তবে আপনি নাস্তিক হলে এ ধরনের কোনো বিধিনিষেধ নেই আপনার জন্য।

> জুলিয়া ফেইথমোরের ছয় মাসের শিশুসন্তান লভ ফেইথমোর কিছুতেই কান্না থামাচ্ছিল না। তাকে শান্ত করার জন্য জুলিয়া তার মুখে বাইবেলের পাতা ছিঁড়ে ভরে দিতে থাকে। লভ কান্না থামিয়ে দেয়, চিরদিনের জন্যই, বাইবেলের পাতাগুলো তার দম আটকে দিয়েছিল। যখন সামাজিক কর্মীরা এসে পৌঁছায়, তারা দেখতে পায়, তার বাবা শিশুটির মধ্য থেকে শয়তানকে তাড়ানোর চেষ্টা করছে। ধর্মগ্রন্থ তথা ধর্ম কোথাও শান্তি আনে বা এনেছে, এই জিনিসটা এখন দেখার আছে আমার। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন