আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

স্ত্রী-প্রহারের ইসলামী তরিকাগুচ্ছ


স্বামীকে স্ত্রী-প্রহারের অধিকার দেয়া কোরানের আয়াতটি নিয়ে ইসলামবিদরা বরাবরই নাজুক অবস্থায় থাকে। তাই নানাবিধ জবড়জং যুক্তি, কাঁচুমাঁচু কৈফিয়ত ও বিবমিষা-উদ্রেককারী বিশ্লেষণের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় তারা। ফলে একজন ইসলামবাজের বক্তব্যের সঙ্গে অন্য একজনের বক্তব্যের ব্যাপক বৈসাদৃশ্য হাস্যরসের অবতারণা করে শুধু।

আল্লাহর ভাষাজ্ঞান সম্পর্কে রীতিমতো সংশয় আমার মনে। তার মতো সর্বক্ষমতাবান ও সর্বজ্ঞের ভাষা ধোঁয়াটে বা বহু-অর্থবোধক হবে কেন? তার ব্যবহার করা শব্দ বা বাক্যের চোদ্দরকম অর্থ করার সুযোগ কেন থাকবে? নিউটনের সূত্রের বিবিধ তাফসির অসম্ভব হলে আল্লাহর বাণী ঘোলাটে হবে কেন? স্পষ্ট ও নির্দিষ্টভাবে ভাবপ্রকাশের ক্ষমতা তার নেই? বা ছিলো না? প্রকাশিত লেখার ভুল বা অস্পষ্টতা চোখে পড়লে তা এডিট করার সুযোগ আছে তুচ্ছ ব্লগারেরও, অথচ সর্বশক্তিমান আল্লাহর তা নেই। বা থাকলেও সেই ক্ষমতা প্রয়োগে সে অনীহ বা অক্ষম। 

এবার ইসলামে স্ত্রী-প্রহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে নয়জন ইসলামবাজের নয়টি তরিকা জেনে নিন। 

তরিকা ১.
মুখে বা শরীরের অন্যান্য অনুভূতিপ্রবণ অঙ্গে প্রহার নিষেধ, রক্তপাত ঘটানো বা হাড় ভাঙা চলবে না, শরীরে যেন আঘাতের চিহ্ন না থাকে (পুলিশ-আর্মি এই পদ্ধতি ভালো জানে)। 

আবার বলা হচ্ছে, স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হলে স্বামীকে নাকি আল্লাহ শাস্তি দেবেন! হাহাহা...



তরিকা ২.
অনেক ইসলামবিদ কোরানে স্ত্রী-প্রহারের অনুমতির কথাটি অস্বীকার করার চেষ্টা করে নানান 'যুক্তি' দেখিয়ে। তবে এই মোল্লা সরাসরি বলছে, "এ-কথা কারুর অস্বীকার করা উচিত নয়, কারণ সৃষ্টিকর্তা অনুমতি দিয়েছেন।" সে আরও বলছে, "তিন ধরনের মহিলা আছে, যাদের সাথে বাস করতে গেলে প্রহার ছাড়া গতি নেই।" তাই "কাঁধে ডাণ্ডা নিয়ে ঘোরা" ছাড়া উপায় নেই স্বামীর। ডাণ্ডাই প্রকৃত সমাধান - বারবার বলছে এই ইসলামবিদ।


তরিকা ৩.
বাংলাদেশের পুলিশ যেমন জনতাকে মৃদু লাঠিচার্জ করে থাকে, মনে হয়, ঠিক সেভাবেই স্ত্রীকে হালকা প্রহারের তরিকা বাতলাচ্ছে আরেক ইসলামবাজ। এক পর্যায়ে সে বললো, অবাধ্য জীবজন্তুর মুখেও আমরা প্রহার করি না, এবং সেটা প্রযোজ্য স্ত্রী-প্রহারের ক্ষেত্রেও। কারণ, মুখ যেন বিকৃত না হয়! মারতে হবে সেই সব অঙ্গে, যেখানে মারের কোনও চিহ্ন থাকবে না। কী ভীষণ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি! শেষে সে বললো, "জন্তু- বা শিশুপ্রহারের (হ্যাঁ, শিশুপ্রহার!) মতো করে স্ত্রীকে প্রহার করা উচিত নয় স্বামীর।"


তরিকা ৪.
এই বিজ্ঞ ইসলামবাজ স্ত্রীকে তুলনা করছে কোনও দেশের জনতার সঙ্গে, যেখানে স্বামী হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র, যার অধিকার আছে অবাধ্য জনতাকে পেটানোর। 

এই ভিডিওর এমবেড অপশন নেই। 

তরিকা ৫.
হাসি চেপে রাখা অসম্ভব! স্ত্রীকে পেটাতে হবে টুথপিক দিয়ে! এবং দশ আঘাতের বেশি নয়...



তরিকা ৬.
স্ত্রী-প্রহারের ব্যাপারটি নারীর সাংস্কৃতিক অবস্থানের বিভিন্নতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানাচ্ছে এই ইসলামবাজ। তাঁর বিশ্লেষণে একটি কথাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ইসলাম কী ভীষণ আঞ্চলিক! কী ভীষণ অসর্বজনীন!


তরিকা ৭. 
স্বামীকে মনে রাখতে হবে, সে স্ত্রীর সঙ্গে কারাতে বা বক্সিং ক্লাবে অবস্থান করছে না। তবে স্ত্রী-প্রহারের প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্যতার কথা নিশ্চিত করছে আরেক ইসলামবাজ।



তরিকা ৮.
চৌদি আজবের ডাক্তার বললো, স্ত্রী-প্রহারের মানে হচ্ছে, কাপড়ের প্রান্ত দিয়ে বা টুথপিক আঘাত করার মতো। অথচ অনেক মুসলমান নাকি এই বিধান ভুল বুঝে স্ত্রীর হাড়গোড় পর্যন্ত ভেঙে ফেলে। 



তরিকা ৯.
আরেক ইসলামবাজ জানাচ্ছে, প্রহারের মাধ্যমে শাস্তিপ্রদানের বিধান দিয়ে আল্লাহপাক স্ত্রীদের সম্মানিত করেছেন... মহানুভব নবীজি স্ত্রীর মুখে আঘাত করতে বারণ করেছে... স্ত্রীর বুকের নিম্নবর্তী অংশে আঘাত করা যাবে... এটাই প্রহারের আদবকায়দা (beating etiquette)... ছোট ডাণ্ডা দিয়ে পেটানো যেতে পারে, থেমে থেমে এবং গায়ে দাগ যেন না পড়ে... সবচেয়ে বড়ো কথা, স্বামীর যৌনাকাঙ্ক্ষা পূরণে কোনও কারণে অস্বীকৃতি জানালেই তাকে পেটানো যাবে। 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন