আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

ইসলামে কাম ও কামকেলি - ১৮

মূল রচনা: আবুল কাশেম (সেক্স এন্ড সেক্সুয়ালিটি ইন ইসলাম)
অনুবাদ: খেলারাম পাঠক

(সতর্কতা: নরনারীর যৌনাচার নিয়ে এই প্রবন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই কামসম্পর্কিত নানাবিধ টার্ম ব্যবহার করতে হয়েছে প্রবন্ধে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষার মধ্যেও তাই অশালীনতার গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। কাম সম্পর্কে যাদের শুচিবাই আছে, এই প্রবন্ধ পাঠে আহত হতে পারেন তারা। এই শ্রেনীর পাঠকদের তাই প্রবন্ধটি পাঠ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। পূর্ব সতর্কতা সত্বেও যদি কেউ এটি পাঠ করে আহত বোধ করেন, সেজন্যে কোনভাবেই লেখককে দায়ী করা চলবে না।)

পর্ব ০১ > পর্ব ০২ > পর্ব ০৩ > পর্ব ০৪ > পর্ব ০৫ > পর্ব ০৬ > পর্ব ০৭ > পর্ব ০৮ > পর্ব ০৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭

মুক্তাসদৃশ এইরুপ আরও গোটাকয়েক হাদিস:
সহি মুসলিম, বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৭১:

আবু সিরমা আবুসাইদ আল খাদরিকে (রাঃ) বলেন: হে আবু সাইদ, তুমি কি রাসুলুল্লাহকে (দঃ) ‘আজল’ প্রথা সম্পর্কে বলতে শুনেছ? তিনি বললেন- হ্যা, শুনেছি। আমরা রাসুলুল্লাহর (দঃ) সঙ্গে বি’ল মুস্তালিকের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়েছিলাম। (সেই অভিযানে) কিছু অপুর্ব আরব রমণী আমাদের হস্তগত হয়। বহুদিন যাবৎ স্ত্রীসঙ্গ হতে বঞ্চিত ছিলাম বিধায় আমরা গভীরভাবে তাদের কামনা করছিলাম, সেইসঙ্গে তাদের বিনিময়ে মুক্তিপণ পাওয়ার লোভও ছিল আমাদের। সুতরাং আমরা তাদের সাথে আজল পদ্ধতির মাধ্যমে যৌনসঙ্গম করার সিদ্ধান্ত নেই (মেয়েটি যাতে গর্ভবতী না হয় সেজন্যে বীর্যপাতের ঠিক আগ মুহুর্তে স্ত্রীযোনি হতে পুরুষাঙ্গ বের করে এনে বাইরে বীর্যপাত ঘটানোকে আজল বলে)। কিন্তু আমাদের মনে হলো-আমরা একটি কাজ করতে যাচ্ছি; আল্লাহর রাসুল (দঃ) যখন আমাদের মাঝে আছেন, তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করে নেই না কেন? সুতরাং আমরা আল্লাহর রাসুলকে (দঃ) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন- তোমরা এরূপ কর আর না কর, কিছুই এসে যায় না। যে আত্মা জন্মানোর তা জন্মাবেই, পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।
সহি মুসলিম, বুক নং-০০৮, হাদিস নং-৩৩৭৩

আবুসাইদ আল খাদরি (রাঃ) হতে বর্ণিত: কিছু যুদ্ধবন্দিনী আমাদের করায়ত্ত হলে আমরা তাদের সাথে (যৌনসঙ্গমকল্পে) আজল পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাইলাম। আমরা এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহর (দঃ) কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বললেন- নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার, নিশ্চয়ই তোমরা তা করতে পার। কিন্তু যে আত্মা জন্মানোর কথা তা জন্মাবেই, হাশরের দিন পর্যন্ত।
এখানে একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, প্রতিটি জেহাদিই বীর্যপাতের ঠিক পূর্বক্ষনে স্ব স্ব লিঙ্গটি বের করে আনার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
সুনান আবু দাউদ, বুক নং-১১, হাদিস নং-২১৬৬

আবু সাইদ আল-খাদরি হতে বর্ণিতঃ

জনৈক লোক বলল- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ), আমার একটি ক্রীতদাসী আছে। (যৌনসঙ্গমকালে) আমি তার কাছ হতে আমার পুরুষাঙ্গটি বের করে আনি, কারণ আমি চাই না যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ুক। অন্যান্য লোকেরা যা করে, আমিও ঠিক তাই করি। ইহুদিরা বলে যে পুরুষাঙ্গ বের করে আনা কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়ার মতো। তিনি (নবী) বললেন-ইহুদিরা মিথ্যা বলেছে। যদি আল্লাহ তা সৃষ্টি করতে চান, তুমি ঠেকাতে পার না।
ওপরের হাদিসগুলি প্রমাণ করে যে, উপপত্নী এবং ক্রীতদাসীরা যাতে অনাকাঙ্খিত গর্ভসঞ্চার না করে বসে, সে জন্যে প্রাথমিক যুগের মুসলমানগণ স্ত্রীযোনির বাইরে বীর্যপাত ঘটাত।

তবে এই প্রথা শুধু উপপত্নী এবং যৌনদাসীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, স্ত্রীর ক্ষেত্রে নয়।

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন