আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৪

ক্রিকেট একটি হারাম খেলা!

লিখেছেন নিলয় নীল

গত ২৫ শে মার্চ বাংলা নিউজে কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমির একটা সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয় “বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিত” শিরোনামে। মতিকণ্ঠ স্টাইলে শিরোনাম দেখে নিউজের মধ্যে গিয়ে আরও অবাক হলাম, আল্লাহার নাম নিয়ে খেলা প্রসঙ্গে আরেফিন রুমি বলেছেন:
বাংলাদেশের আর একটি সমস্যা হলো মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও আমরা ইবাদত করি না। অন্যান্য দেশ যেমন পাকিস্তানিরা যেমনই হোক না কেন মাঠেই তারা নামাজ পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ইবাদত না করে খেলাটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। আমি মনে করি মুসলমান জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আল্লাহ খোদার নাম নিয়ে খেলা উচিত। 
যা বুঝলাম, আরেফিন রুমি প্রতি ওয়াকথু নামাজ পড়ার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং মাঠে বসেই পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের মতো নামাজ পড়তে উৎসাহিত করছেন। রুমির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক গুঞ্জন আছে। যেমন তার ওয়েস্টার্ন লাইফস্টাইল, বিয়ের সংখ্যা, মেয়ে ঘটিত ব্যপার প্রভৃতি। তবে কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে করে এই রকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হালকা করতে চাচ্ছি না। কিন্তু যুক্তিবাদী মনে তারপরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে। যেমন: 
- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত বা শ্রীলংকার মতো দলগুলো আল্লাহ-খোদার নাম না নিয়েও এতো ভালো খেলে কীভাবে? 
- যদি প্রতিপক্ষ দুই দলই আল্লাহ খোদার নাম নেয়, তাহলে আল্লাহ কোন পক্ষে যাবে? যেমন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যদি আল্লাহ-খোদার নাম নিয়ে শুরু করে তাহলে আল্লাহ কী করবে? 
- বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হবার পরেও আল্লাহ-খোদার নাম না নেয়ার ফলে ভালো ফলাফল করতে পারছে না! তার মানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কি কোন দলের সাথে হারে না? 
এসব প্রশ্ন নাহয় রুমির জন্য। তবে আমার মন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন হুজুর ও ধার্মিকদের ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ দেখি। ২০ বছর আগেও বাংলাদেশে মোল্লারা ক্রিকেট বুঝতো না বললেই চলে, জাগতিক এইসব দিকে নজর না দিয়ে তারা পরকালের উন্নয়নে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু ইদানীং পাকিস্তানকে সাপোর্ট করতে গিয়ে একদল নব্য মোল্লাদের আবির্ভাব হয়েছে, যারা ক্রিকেটের মতো শয়তানী খেলায় নষ্ট করছে সময়। ক্রিকেটকে 'ওয়েস্ট অফ টাইম' আমি বলিনি, বলেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব জাকির নায়েক। অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদ ক্রিকেটকে হারাম বললেও জাকির নায়েক টেকনিক্যালি ব্যপারটি এড়িয়ে গিয়ে ওয়েস্ট অফ টাইম এবং না দেখা/খেলাই উচিত বলেছেন। জাকির নায়েকের ভিডিও লিংক: http://www.youtube.com/watch?v=3WR5Gqp9zMw

তবে জাকির নায়েক ব্যাপারটি এড়িয়ে গেলেও অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদ এটিকে এড়িয়ে যাননি। আমরা এখন এই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা করবো। ইসলামে একটি বড় বিতর্ক হলো - ক্রিকেট খেলা বা দেখা কি হারাম? প্রশ্নটা সম্পর্কে অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবিদের মন্তব্য হলো - অবশ্যই এটি হারাম। ক্রিকেট যে একটি হারাম খেলা, এই বিষয়ে তারা প্রচুর যুক্তিও দিয়েছেন, যা অগ্রাহ্য করার মতো নয়। নিম্নে তাদের যুক্তিগুলো আমি আমার ভাষায় সাজালাম, এগুলো পড়ে পাঠকই সিদ্ধান্ত নেবেন - ক্রিকেট খেলা হালাল নাকি হারাম। 

প্রথমত - আল্লাহ তাআলা কোরআনে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন: 

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱدۡخُلُواْ فِي ٱلسِّلۡمِ كَآفَّةٗ وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ ٢٠٨﴾ [البقر

“হে মুমিনগণ, তোমরা ইসলামে পূর্ণরূপে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।" [সুরা বাকারা, ২০৮] 
এখন কথা হলো, ক্রিকেটের মতো খেলাটি কিন্তু বিধর্মী শয়তানদের মাথা থেকেই বের হয়েছে। বিধর্মীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধরণের খেলা একজন মুসলিমের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় কীভাবে? 

দ্বিতীয়ত - ক্রিকেট একটা দীর্ঘ সময়ের খেলা। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ান ডে খেলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজকে অবহেলা করা হয়। ইতিমধ্যেই নামাজের বিরতি বলে একটি বিরতি দেবার দাবি উঠলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে তা ধোপে টেকেনি কারণ, পাকিস্তান ব্যতিরেকে ক্রিকেটের দাদাগিরি এখনো বিধর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। এজন্য অনেক পাকিস্তান ক্রিকেটারকে মাঝেমধ্যে পানিপানের বিরতির সময় মাঠে বসেই নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। নামাজ রেখে ক্রিকেট খেলা বা দেখা কোনোটাই কিন্তু ইসলাম স্বীকার করে না। 

ছোটকালে ইসলাম শিক্ষায় শিখেছিলাম: "নামাযকে বলো না আমার কাজ আছে, বরং কাজকে বলো আমার নামায আছে।" এই কাজ বলতে যে কোনো ধরণের কাজ হতে পারে, সেটা যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন, নামাজের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ নেই। আর এক ওয়াক্ত নামাজ ক্বাযা করলেও রয়েছে দুই কোটি আটাশি লক্ষ বছর জাহান্নামে থাকার মতো শাস্তি, নিম্নে এই বিষয়ে কিছু হাদিস উল্লেখ করছি।

নবী করীম সা. বলেন:

من ترك الصلواة حتي مضى وقتها ثم قضي عذب في النار حقبا-¬

“যে ব্যক্তি নামায এমনিভাবে ছেড়ে দেয় যে, উহার ওয়াক্ত চলে যায়। অতঃপর ক্বাজা আদায় করে দেয়। তবুও যথাসময়ে না পড়ার দরূন এক ‘হোকবা’ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।" (প্রতি ‘হোকবার’ পরিমাণ পৃথিবীর দুই কোটি আটাশি লক্ষ বছর)। [ মাজালিসুল আবরার]

হাদীস শরীফে রয়েছে:

যে ব্যক্তি নামাযের ব্যাপারে অবহেলা প্রদর্শন করে, আল্লাহ তায়া’লা তাকে চৌদ্দ প্রকার শাস্তি প্রদান করেন। এরমধ্যে পাঁচ প্রকার শাস্তি দুনিয়াতে, তিন প্রকার মৃত্যুর সময়ে, তিন প্রকার শাস্তি কবরে, তিন প্রকার কিয়ামতের দিন - এই মোট ১৪ প্রকার শাস্তি। 

দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তি: 
১. তার জীবন ও জীবিকার বরকত কেড়ে নেয়া হবে।
২. তার চেহারা হতে নূর মুছে ফেলা হবে।
৩. সে যে কোনো নেক আমল করুক আল্লাহ তায়া’লা তাতে কোন ছওয়াব দান করেন না।
৪. তার কোন দো’য়াই কবুল হয় না।
৫. নেককারদের দো’য়ার বরকত হতে বঞ্চিত থাকে।
মৃত্যুকালীন তিন প্রকার শাস্তি:
১. অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরন করবে।
৩. চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। যদি সমস্ত পৃথিবীর সাগরের পানিও তাকে পান করান হয়, তবুও তার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হবে না।
কবরের তিন প্রকার শাস্তি:
১. তার কবর এত সংকীর্ণ করা হবে যে, তার এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের মধ্যে ঢুকে যায়।
২. তার কবরে আগুন জ্বালানো হয়, সে উহার শিখার উপর দিনরাত উলট-পালট অবস্থায় দগ্ধ হতে থাকে।
৩. তার কবরে একটি ভয়ংকর বিষধর অজগর নিয়োগ করা হবে। যার চোখ দু’টি আগুনের এবং নখরগুলি লোহার তৈরী হবে। অজগরটি বজ্রের ন্যায় আওয়াজ দেবে এবং মৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টা রাতদিন কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে।
কিয়ামতের তিন প্রকার শাস্তি:
১. অত্যন্ত কড়াকড়ি ভাবে বেনামাযীর হিসাব নেয়া হবে।
২. তার উপর আল্লাহর শাস্তি হবে।
৩. অত্যন্ত অপমানের সাথে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এইবার আপনারাই বলুন নামাজকে অবহেলা করে এই ধরনের বিধর্মীদের সারা দিনরাতব্যাপী খেলা কি কখনো হালাল হতে পারে? 

তৃতীয়ত - ক্রিকেট এখন আর নিছক খেলা নেই, এটা নিয়ে চলে এখন ভাগ্যপরীক্ষা অর্থাৎ জুয়াখেলা। টি টুয়েন্টি ফরম্যাট এসে সাম্প্রতিক সময়ে এই জুয়াখেলা অধিক হারে বেড়েই চলছে। প্রতি ওভারে, প্রতি প্লেয়ারে আজকাল বাজি ধরে জুয়াখেলা হচ্ছে। অবশ্যই ইসলামে জুয়াখেলা একটি হারাম ও ঘৃণিত কাজ এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। 

চতুর্থত - নারীদের ক্রিকেট নামে আজকাল এক ধরণের ক্রিকেট বের হয়েছে যা ইসলামের মারাত্মক লঙ্ঘন। ইসলাম কোনো সময় এভাবে বেপর্দা হয়ে নারীদের বেলাল্লাপানা খেলাধুলাকে সমর্থন করে না। ইসলাম ও মহিলা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কিছু আয়াত ও হাদিস উল্লেখ করছি, যা কোনোভাবেই বেপর্দা হয়ে নারী ক্রিকেটকে সমর্থন করে না। 

ولا يبدين زينتهن الا لبعولتهن او ابآئهن او ابآء بعولتهن او ابنآئهن او ابنآء بعولتهن او اخوانهن او بنى اخوانهن او بنى اخوتهن او نسائهن او ما ملكت ايمانهن او التبعين غير اولى الاربة من الرجال او الطفط الذين لم يظهروا على عورت النساء

"তারা যেন নিজেদের আভরণ প্রকাশ না করে তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যারা যৌন কামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত অন্য কারো নিকট।" (সূরা নূর (২৪) : ৩১)

قل للمؤمنت يغضنن من ابصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن الا ما ظهر منها

"হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।" (সূরা নূর : ৩১)

وليضربن بخمرهن على جيوبهن

"তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।" ... (সূরা নূর : ৩১)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নারী হল সতর তথা আবৃত থাকার বস্তু। নিশ্চয়ই সে যখন ঘর থেকে বের হয় তখন শয়তান তাকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে। আর সে যখন গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করে তখন সে আল্লাহতাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটে থাকে। -(আলমুজামুল আওসাত, তবারানী) 

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম তখন আমাদের পাশ দিয়ে অনেক কাফেলা অতিক্রম করত। তারা যখন আমাদের সামনাসামনি চলে আসত তখন আমাদের সকলেই চেহারার ওপর ওড়না টেনে দিতাম। তারা চলে গেলে আবার তা সরিয়ে নিতাম। - (মুসনাদে আহমাদ ৬/৩০; ইবনে মাজাহ) 

পঞ্চমত - ক্রিকেট এখন নাচ-গান ও বাজনার বড় উৎস। আইপিএল এর মতো বড় বড় আসরে চিয়ার্স গার্লরা স্বল্প কাপড় পড়ে যেভাবে নাচ-গান করে, তা কোনোভাবেই ইসলাম সম্মত নয়। এবারের আসরের চার ছক্কার হৈ হৈ ফ্ল্যাশ মব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একসাথে বেলাল্লাপানা কি ইসলামসম্মত? মোটেও না! আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ঢোল আকৃতির বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বাজাতে থাকে, যার কোনোটাই ইসলাম স্বীকার করে না।

ষষ্ঠত - দর্শকের জন্য গ্যালারি নির্মাণ কখনোই ইসলামে মেনে করা হয় না। শরিয়া আইন মেনে গ্যালারি নির্মাণ হলে পুরুষ ও নারীর আলাদা বসার ব্যবস্থা থাকতো। নারীদের বসার জায়গায় অবশ্যই পর্দার ব্যবস্থা থাকতো। তাছাড়া প্রত্যেক নারীর পর্দা করে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হতো। কিন্তু হায়, ইদানীং গ্যালারীতে যা হয়, তা এক কথায় ইসলামের আদেশের লঙ্ঘন। 

সপ্তমত - চার ছক্কা মারলেই বা উইকেট পড়লেই নারী পুরুষ যেভাবে একসাথে নাচানাচি শুরু করে তা ইসলামের কোথায় রয়েছে? ইসলাম কখনোই এসবকে অনুমোদন দেয় না। 

অষ্টমত - অনেকেই দেখি খেলার সময় রং দিয়ে শরীরে উল্কি অংকন করে, যা ইসলামে হারাম। এ প্রসঙ্গে হযরত আবূ হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রক্ত বিক্রির বিনিময়ে মূল্য, কুকুর বিক্রয়লব্ধ মূল্য এবং ব্যভিচারের বিনিময় গ্রহণ হতে নিষেধ করেছেন। আর তিনি সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, উল্কি অঙ্কনকারী, যে নারী উল্কি অঙ্কন করায় এবং যে ছবি উঠায় তাদের সকলকে লা’নত করেছেন।” (বুখারী শরীফ)

ওপরের আলোচনা থেকে এ কথা কি প্রতীয়মান হয় না যে, ক্রিকেট একটি হারাম খেলা? দাবা খেলার মতো অভিজাত একটি খেলাকে যদি ইসলামে হারাম করা হয়, তাহলে ক্রিকেট কোন দিক থেকে হালাল? নবী বেঁচে থাকা অবস্থায় যদি এই ধরনের কোনো খেলার কথা জানতেন, তাহলে অবশ্যই তা নিষিদ্ধ করে যেতেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন