আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

কোরানের একটা আয়াতের অর্থ এতোগুলা কেন, আল্লাহর মাথায় কি বুদ্ধি নাই?

লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল

একটা সামান্য মানুষ-গণিতবিদ একটা স্বীকার্য বাক্য দিতে পারেন: "যে কোনো ধনাত্বক স্বাভাবিক সংখ্যার যোগফল সর্বদা ধনাত্বক হবে।"

সামান্য একটা মানুষের এই স্বীকার্য বাক্য দুনিয়ার যে কোনো ভাষায়, যে কোনো মানুষকে বলা হলে দুনিয়ার সবাই এটা পড়ে হুবুহু একই জিনিস বুঝবে।

অথচ স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার বাণীসমূহ এতো অস্পস্ট আর এতো ত্যানা-প্যাঁচানো অদ্ভুত যে, দশটা লোক কোরানের একটা আয়াত পড়লে দশটা জিনিষ বোঝে। কোরানের একটা আয়াতের নির্দিষ্ট কোনো সঠিক Understanding থাকে না।

দশ জন লোক দশভাবে বোঝে, মডারেটরা কোরান পড়েই প্রেম-পিরিতি করে, জিহাদীরা সেই একই কোরান পড়েই বোমা মারে। সাত আসমান জিনিসটা কী, তা এখন পর্যন্ত কেউ নির্দিষ্টভাবে বলতে পারে না। অথচ সেই আদিম যুগের একজন গণিতবিদ এমন স্বীকার্য বাক্য দিতে সক্ষম, যেটা পড়ে দুনিয়ার সব প্রান্তের সব মানুষ হুবহু একই জিনিষ বুঝবে।

অর্থাৎ একজন সামান্য মানুষ-গণিতবিদের স্বীকার্য বাক্যের চেয়ে সৃষ্টিকর্তার বাণী কতটা দুর্বল কতটা ভিত্তিহীন, চিন্তা করে দেখুন। কোরান সৃষ্টিকর্তার বাক্য হলে এর প্রতিটা আয়াতই একটি গণিতবিদের স্বীকার্য-বাক্যের মতই একই নির্দিষ্ট অর্থ ও ব্যাখ্যা বহন করতো। এক আয়াতের অর্থ বা ব্যাখ্যা এক হাজারটা হতো না, সৃষ্টিকর্তা এতো অস্পষ্ট, ভেগ ও অবোধ্য বাক্য পাঠাতেন না।

আল্লাহ যুগে যুগে নবী পাঠাইলেন, মুহাম্মদে আইসা তার স্টক ফুরাইয়া গেলো? 

আল্লাহ এতো দিন মত বদলাইতে থাকলেন, মুহাম্মদে আইসা তার মত ফিক্সড হইয়া গেল?

কোরান শেষ বাণী মানলাম, আল্লাহ কি যুগে যুগে এই কোরান দিয়াই মোজেজা সমেত নবী পাঠাইতে পারতেন না? প্রত্যেক নবী একই কোরান নিয়েই আসতো, কিন্তু বিভিন্ন ভাষায়।

আর বেশি না, একটা করে মোজেজা দেখিয়ে কাফেরদের মুখে জুতা মেরে দিতো, ভিডিও ক্যামেরা, সায়েন্টিফিক অবসারভেশানে ওই মোজেজা রেকর্ড হইতো। কোরানের অনুবাদ নিয়া কনফিউশান থাকতো না কুনু।

যুগে যুগে বিভিন্ন দেশের নবীর কাছে যার যার ভাষায় কোরান নাজিল হইতো। এই জেট বিমানের যুগে নবীরা একটা নির্দিষ্ট মরু এলাকা নয়, বরং পুরা পৃথিবীর কোনায় কোনায় ইসলাম প্রচার করতে পারতেন।

আল্লাহর মাথায় কি এই সামান্য বুদ্ধিগুলাও নাই? 

কোরান সৃষ্টিকর্তার বাক্যগুচ্ছ হলে এটি স্পস্ট, সরল, সম্পূর্নরূপে অনুবাদযোগ্য, সর্বজনবোধ্য ও সার্বজনীন হতো। কোরান কি তা?

একটু ভেবে দেখুন, একজন সামান্য মানুষ-গণিতবিদের বুদ্ধিমত্তা ও ভাব প্রকাশের ক্ষমতা আল্লাহর চাইতে কতটা বেশি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন