আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০১৪

ধর্মকর্মকাণ্ডকীর্তিকাহিনী - ০৭

(ধর্মকারী বরাবরই সিরিজময়। অতএব আরও একটি সিরিজের অবতারণা করা নিশ্চয়ই যায়েজ। 

'ইসলামী ইতরামি' ও 'লিংকিন পার্ক' সিরিজে ধর্মান্ধদের কাণ্ডকারখানা সংক্ষেপে বর্ণনা করে লিংক ধরিয়ে দেয়া হয়। তো একদিন নিলয় নীল প্রস্তাব দিলেন, তিনি নানান ধর্মের ধর্মগুরু ও মোমিনদের ঘটানো কিছু কিছু কীর্তি সবিস্তারে লিখতে আগ্রহী। তিনি এমনকি অতি নিয়মিত লেখা দেয়ার হুমকিও প্রদান করেছেন। তাঁর হুমকিতে ভীত ধর্মকারী মাঝেমধ্যে তার অলিখিত আইনের ('প্রথম পাতায় এক লেখকের একটির বেশি লেখা থাকবে না') ব্যত্যয় ঘটাতে সম্মত হয়েছে।

সিরিজের নামে পাঁচটি বিশেষ্যপদ ব্যবহার করা হলেও শব্দসংখ্যা আসলে ন'টি: ধর্ম, কর্ম, কাণ্ড, কীর্তি, কাহিনী, ধর্মকর্ম, কর্মকাণ্ড, কাণ্ডকীর্তি ও কীর্তিকাহিনী।

বিসমিল্যা বলে আল্যার নামে শুরু হলো যাত্রা।) 

লিখেছেন নিলয় নীল

জাপানের বহুল আলোচিত লিঙ্গ-উৎসব

প্রতি বছর এপ্রিলের প্রথম রোববার জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের লোকেরা সাড়ম্বরে পালন করে একটি ধর্ম অনুষ্ঠান যার নাম কানামারা মাৎসুরি (Kanamara Matsuri)। জাপানের কাওয়াসাকির একটি মন্দিরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবটি প্রধানত ধর্ম বিশ্বাসের অনুষ্ঠান যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে পুরুষাঙ্গসদৃশ উত্থিত লিঙ্গ। পৃথিবীব্যাপী এটি Penis Festival বা লিঙ্গ উৎসব নামে পরিচিত।


লিঙ্গ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় জাপানের কাওয়াসাকির কানাইয়ামা মন্দিরে, যা ইতিমধ্যেই লিঙ্গ মন্দির হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। এই মন্দিরের বয়স ৭০০ বছরেরও বেশী। মন্দিরে একসময় যৌনকর্মী মেয়েরা আসতো প্রার্থনার জন্য, যাতে এসটিডি (Sexually Transmitted Diseases) থেকে মুক্ত থাকতে পারে, এরপর উৎপাদনে (বাচ্চা), এমনকি শস্য উৎপাদনের জন্য এই মন্দিরে ভক্তরা প্রার্থনার জন্য আসে।


ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতকে প্রথম প্রচলন হয় এই বিচিত্র উৎসবের, যখন স্থানীয় বারবনিতারা বসন্তের শেষে বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে মিছিল করে যেত কাওয়াসাকি কানামারা মঠে প্রার্থনা করতে, যেন তারা সারা বছর যে কোনো ধরনের যৌন সংক্রমণ বা রোগ থেকে বাঁচতে পারে। 


মূলত এটি একটি শিন্তো ধর্মীয় উৎসব, যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তিবৃদ্ধির জন্য বন্দনা করা হয়। জানা যায়, ১৬০৩ থেকে ১৮৬৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বারবণিতারা যৌণব্যাধি বিশেষ করে সিফিলিস থেকে রক্ষা পাবার জন্য ঘটা করে এই মেলা উদযাপন করতো। অবশ্য বর্তমানে এই উৎসব ভিন্ন মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে এটি পালিত হয় নিরাপদ যৌনতা, এইডস সংক্রমণ রোধ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার অংশ হিসেবে।


উৎসবে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়। সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে লিঙ্গ র‍্যালি। মন্দিরের কাঠের লিঙ্গটি নিয়ে র‍্যালিতে বের হয় ভক্তরা। সাথে থাকে আরো বড় বড় লিঙ্গ এবং সবার হাতে হাতে পুরুষদের লিঙ্গ সদৃশ খেলনা বা বস্তু । উৎসবের সময়ে সেখানে লিঙ্গাকৃতির বিভিন্ন আইসক্রিম, ফাষ্টফুড, খেলনা বিক্রি হয়, কেউ ইচ্ছে করে সেগুলো কিনে খেতে পারে, লিঙ্গের ওপর বসতে পারে, লিঙ্গের সাথে ছবি ওঠাতে পারে, লিঙ্গের মাথায় চুমুও খেতে পারে। 


এ বছরও জাপানের কাওয়াসাকি অঞ্চলের সিন্টো ধর্মালম্বী লোকেরা বিশাল পুরুষাঙ্গের রেপ্লিকা নিয়ে নেচে গেয়ে মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ছোট থেকে বড় সবাইকে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গের আদলে তৈরি চকলেট আর আইসক্রিম চুষতে। অনেককেই ছবির জন্য পোজ দিতে দেখা গেছে বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গের পাশে। মাথায় লিঙ্গ-টুপি পরিধান করে নাচগান করেছেন অনেকেই।


গত ৬ এপ্রিল ২০১৪ মরণব্যাধি এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমের ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে এই মেলা। ৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলে টানা ৭ এপ্রিল রাত পর্যন্ত। বর্তমানে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেলাটি। শুধু জাপান নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও আলোচিত হচ্ছে কানামারা মাৎসুরি। ২০১৫ সালে ৫ এপ্রিল উৎসবটি আবার পালিত হবে। এই উৎসবে আয় হওয়া টাকা এইডস গবেষণার কাজে দান করা হয়, যেহেতু এককালে এখানে যৌনকর্মীরা আসতেন এসটিডি যাতে না হয় সেই প্রার্থনার জন্য।


জাপানের সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো এর বৈচিত্র্য। যেমন, খাদ্যাভ্যাসে কাঁচা থেকে পোড়া, সব ধরনের মাছই রয়েছে মেন্যুতে। তেমনি সংস্কৃতি চর্চায় প্রচণ্ড রক্ষনশীলতার পাশাপাশি রয়েছে অবারিত উন্মোচন। লিঙ্গ উৎসব এই রকম অবারিত উন্মোচনের একটি অন্যতম উদাহরণ। 

এই উৎসবের ভিডিও দেখতে পারেন এখান থেকে। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন