আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০১৪

কয়েক কিসিমের কোরান

লিখেছেন অর্ণব খান

কোরানের অবিকৃতি নিয়ে ইসলামী স্কলারগণ অনেক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে থাকেন। তাঁরা বলেন যে, সারা দুনিয়ার সকল কোরান মিলিয়ে দেখলেও একটা বিন্দু পর্যন্ত এদিক-সেদিক পাওয়া যাবেনা। পৃথিবীতে কোরানের শুধুমাত্র একটি ভার্সনের অস্তিত্ব আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেশ কিছু ভিন্ন ধরনের কোরান মুসলিম সমাজে স্বীকৃত। স্বীকৃত হবার পরেও প্রায় ৯৯ শতাংশ মুসলিমই এই ব্যাপারটি জানে না।

বর্তমানের প্রচলিত কোরানগুলোতে বিশেষ্যর পার্থক্য, ক্রিয়াপদের পার্থক্য, বৈশিষ্ট্যসূচক চিহ্নের পার্থক্য, উচ্চারণগত পার্থক্য, শব্দের ভিন্নতা, শব্দের আগ-পিছ, শব্দের কম-বেশি ইত্যাদি বিভিন্ন রকম পার্থক্য দেখা যায়। এছাড়া প্রচলিত ভিন্ন রীতির কোরানের সংখ্যা অনেক। এর মাঝে দশটি কোরান সমস্ত স্কলার কর্তৃক স্বীকৃত, আরও চারটি একটু কম প্রসিদ্ধ হলেও স্বীকৃত। আর প্রায় ছেচল্লিশটির কোনো স্বীকৃতি নেই, কিন্তু অস্তিত্ব আছে।

হযরত উসমাননের খিলাফতকালে সাত হরফের কোরান নিয়ে বেশ ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। সাহাবাগণ একটার সাথে আরেকটা গুলিয়ে ফেলছিলেন। তাই হযরত উসমান শুধু মূল হরফ কুরাইশ ঠিক রেখে বাকি ছ'টি হরফের কোরান নষ্ট করে দিয়েছিলেন। এখনকার প্রচলিত কোরানগুলো এই কুরাইশ হরফের ভিন্ন ভিন্ন কিরাত বই অন্য কিছু নয়। দশটি প্রসিদ্ধ কিরাতের মাঝে হাফস কিরাত সবচেয়ে বেশি প্রচলিত আর ওয়ারশ কিরাত অল্প কিছু দেশে প্রচলিত, বাকিগুলোর প্রচলন খুবই কম।

The Readings and Rhythm of the Uthman (Qur'anic) Manuscript এই বইটিতে হাফস এবং ওয়ারশ কিরাতের কোরানের মাঝে ১৩৫৪ টি পার্থক্য পাওয়া যাবে, আর অথেন্টিক দশটি ভিন্ন কিরাতের কোরানের মাঝেই পার্থক্য পাবেন মুহাম্মদ ফাহাদ খাররুন-এর লেখা আরেকটি আরবী বই ت التنزيل مذيلا بمنظومتي الشاطبية والدرة থেকে। 

শুধুমাত্র হাদিসের মাঝেই জাল, সহিহ, জয়িফ, হাসান ইত্যাদি রকমফের নেই, বরং কোরানের মাঝেও জাল কোরান, সহিহ কোরান, জয়িফ কোরান আর হাসান কোরান বিদ্যমান।

ভিন্ন ভিন্ন কিরাতগুলোর মাঝে অনেক অনেক পার্থক্য। উদাহরণ স্বরূপ:

২:১২৫ হাফস-এ পড়া হয় ওয়াত্তাখিজু (তোমরা নেবে), ওয়ারশ-এ পড়া হয় ওয়াত্তাখাজু (তারা নিয়েছে) 

২:১৪০ হাফস-এ পড়া হয় তাকুলুনা (তোমরা বল), ওয়ারশ-এ পড়া হয় ইয়াকুলুনা (তারা বলে) 

৩:১৪৬ হাফস-এ পড়া হয় কাতাল (লড়াই করেছিল), ওয়ারশ-এ পড়া হয় কুতিল (খুন হয়েছিল)

তাশখন্দ মিউজিয়ামে হযরত উসমান কর্তৃক সংকলিত কোরানের কপি সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও ইস্তাম্বুলের মিউজিয়ামে একটি প্রাচীন গোল্ডেন কোরান আছে। প্রাচীন সেই কোরানগুলোর সাথে বর্তমান কোরানের ভয়ানক কিছু পার্থক্য আছে। উদাহরণ স্বরূপ:

উসমানের কোরানের ৩৭:১০৩ আয়াতের একটি অংশ হচ্ছে ''ওয়ামা আসলামা'', যার অর্থ ''এবং তারা আত্মসমর্পণ করেনি।" কিন্তু বর্তমান কোরানে সেখানে আছে ''ফালাম্মা আসলামা'' যার অর্থ ''যখন তারা আত্মসমর্পণ করেছিল।" 

এমন আরও অনেক আয়াত আছে, যেগুলোর অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা। গোল্ডেন কোরানেরও কিছুটা একই অবস্থা। ব্রাদার মার্ক একটি বই প্রকাশ করেন যাতে তিনি বর্তমান কোরানের সাথে তাশখন্দের কোরানের বহু অমিল দেখিয়েছেন। বইটির নাম: A perfect qurʹan নিচের কমেন্টের ২য লিংক সাইটে আপনি ব্রাদার মার্কের বই থেকে বেশ কিছু উদাহরণ পাবেন।

ইস্তাম্বুলের স্বর্ণের কোরান পড়ার সুযোগ এখন আছে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে কোরানটির অনেকগুলো সুরা কালার স্ক্যান করে পাবলিকের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে, ওখানে গিয়ে দেখতে পারেন, বর্তমান কোরানের সাথে অনেক জায়গাতে অমিল আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন