আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

হাবিল-কাবিল: পুন্দাপুন্দির ধর্মীয় ইতিহাসের প্রতীক

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা

কথা হইলো গিয়া, সব কথার আসল কথা কোরান-হাদিসে পাওয়া যায় না... আর নাস্তিকগো তো জানেনই, গোড়ায় হাত দেয়ার অভ্যাস। তো ইছলাম ধর্মে আমার একটা প্রিয় টপিক হইলো গিয়া হাবিল-কাবিলের কেচ্ছা। কুরানে এইটা পাইবেন সূরা মায়েদার ২৭ নাম্বার আয়াত থিকা। হাবিল-কাবিলের গোড়া ধইরা টান মারলে তোরাহ-বাইবেল চইলা আসে, এই লাইগা নাস্তিকগো দোষ দিয়া লাভ নাই। ইছলামের কপিপেস্ট নবী নিজেই এই আকামটা কইরা গেছে। তোরাহ-বাইবেল থিকা কাহিনী চুরি কইরা কোরানে ভরছে। সেইটারে আরো ভরতে গিয়া মমিনরাই তোরাহ-বাইবেলের সাহায্য নিয়া থাকে, আর তারেকের মার বড় গলার মত কইরা কয় - কুরান স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রন্থ!

মমিনরা এই আয়াতের তাফসীরে তোরাহ-বাইবেল টাইনা আইনা কী কয়, শুনেন: হাবিল আর কাবিল হইলো তাগো ধর্মীয় ইতিহাসের প্রতীক। কিসের প্রতীক, সেইটা বলার আগে একটু ধর্মীয় ইতিহাস - সোজা কথায়, ইহুদী আর খ্রিষ্টান ধর্ম হইলো ইছলামের বড় ভাই। ইছলামের যখন জন্মই হয় নাই, তখন বড় ভাই ইহুদি ছুডো ভাই খ্রিষ্টানরে পুন্দাইছিল, যেমন ঈশা নবীরে খুন করছিল। তারপর যখন ইছলামের জন্ম হইলো, তখন বড় ভাই নিয়ম মাইনা ছুডো ভাইরে পুন্দানো শুরু করলো, ফলাফল - আমগো মহানবী বিষ মেশানো খাবার খাইয়া জ্বরে পইড়া মরলো। তবে পুন্দানো এইখানেই শেষ না, ছুডো ভাই যতদিন আছে, বড় ভাই ততদিন তারে পুন্দাইয়া যাইবে, এইটার প্রতীকই হইলো হাবিল-কাবিল। কাবিল যেমন ছুডো ভাইরে খুন করছে, ইহুদি-খ্রিষ্টানরাও ইছলামের সাথে একই ব্যবহার কইরা যাবে - এইটাই হইলো এই তিনটা ধর্ম, এইটাই হইলো এই তিনটা ধর্মের ইতিহাস, ধর্মীয় ইতিহাসের প্রতীক হাবিল-কাবিলের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘইটা চলছে...

এইবার আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করেন, ইহুদিরা যখন মুসলমানদের দিকে অস্ত্র তাক করে, তখন মুসলমানরা অস্ত্রের সামনে নারী ও শিশু আগাইয়া দেয়, আর মনে মনে আশা করে, তারা যেমন এককালে সাবালক ইহুদিগো খুন করলেও নারী আর শিশুগো খুন করে নাই - দাসী-বান্দী বানাইছিল, তেমনি এইকালে ইহুদিরাও মুসলমান নারী-শিশু খুন করবে না বা করলেও সিমপ্যাথি পাইবে। কিন্তু কাবিল যে হাবিলরে পুরা শেষ না কইরা থামে নাই। এখনও ব্যাপারটা তাই হইতেছে। নারী-শিশু খুন কইরা পরবর্তী প্রজন্মের পথ বন্ধ কইরা দিতাছে। কেউ কেউ নির্যাতনের মাত্রা বেশি দেইখা অবাক হইতেছেন। অবাক হওনের কিছু নাই, বড় ভাইগো কিতাবে তাগো প্রভু কইয়া গেছে যে, তাগো কাউরে হত্যা করলে তার শাস্তি সাত গুণ থেকে সাতাত্তর গুণ। অর্থাৎ একটা ইহুদি-খ্রিষ্টান = ৭৭টা পর্যন্ত মুসলমান হইতে পারে। আর এর লাইগাই আমগো মহানবী কইয়া গেছে বেশি বেশি পয়দা কইরা ব্যালান্স আনার চেষ্টা করতে। তাই মমিনগো দেখবেন ইসরাইলে একটা বোম মাইরা ঘরে ফিরা কমসে কম ৭টা বিয়ায়।

হাবিল-কাবিলের মত ধর্মীয় ইতিহাসের প্রতীক এইখানেই শেষ না, বাংলাদেশী মুসলমানগো বড় ভাই পাকিরা ৭১-এ বাংলাদেশীগো সাথে কেমন ব্যবহার করছিল, আশা করি কেউ ভুইলা যান নাই। বর্তমানে এটা ভুললেও চলবে না যে, এই একই থিউরী সুন্নীরা শিয়াগো উপ্রেও ফলাইতেছে। ধর্মের নামে সবল দুর্বলের উপর অত্যাচার করবে, সেইটাই এইসব আব্রাহাম্মক ধর্মের মূল কথা।

২.
ধর্ম পুন্দাইতে হাবিল-কাবিল কেন আমার প্রিয় একটা টপিক, সেই প্রসঙ্গে ফিরা যাই - মানুষ কই থিকা আইলো, এই প্রশ্নের সামনে পইড়া নবীর দৌড় স্বাভাবিক ভাবেই ছিল কপিপেস্ট পর্যন্ত, অর্থাৎ বড় ভাইগো ধর্মগ্রন্থ তোরাহ-বাইবেলের কেচ্ছা-কাহিনী। কিন্তু সেই কাহিনীতে যে কতবড় ঘাপলা আছে, সেইটা নবীর মাথায় ঢুকে নাই। তাই সে-ও একই কাহিনী টুকাটুকি কইরা আল্যার নামে নাজিল কইরা দিছে: আদম-হাওয়া দুনিয়ার প্রথম মানব-মানবী অর্থাৎ আল্যায় নিজ হাতে এগোরে বানাইছে, এগো আগে আর কেউ আছিল না। এগো থিকা হাবিল-কাবিলের জন্ম। হাবিল খুন হইল। থাকল খালি কাবিল। তারপর?


এই তারপরের কাহিনী যে আসলে কী, সেইটা কইতে গিয়াই তোরাহ-বাইবেল ধরা খাইছে। আর অপেক্ষাকৃত নতুন ধর্ম বিধায় সেই একই কাহিনী কপিপেস্ট কইরা ইসলামের ধরা খাওয়া আরো বেশি হাস্যকর। এই ধরা খাওয়া থিকা উদ্ধার পাইতে ইহুদি-খ্রিষ্টানরা পর্যন্ত যেখানে আর কথা বাড়ায় নাই, সেখানে আমগো মমিনরা সেরের উপর সোয়া সের - যেহেতু আল্যায় কইছে, সে সবাই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করে, তাই মমিনরাও ধইরা নিছে হাবিল-কাবিলের লগে বুনও আছিলো। আর এই বুনগো ভোগ করা নিয়াই নাকি গণ্ডগোল, পরিণতিতে হাবিলের মৃত্যু এবং সেই বুনগো লগে কাবিলের লাগালাগিতে আবার জোড়ায় জোড়ায় করতে করতে এখনকার মুসলমানগো সৃষ্টি। 

একটা মিথ্যা ঢাকতে যেমন আরো হাজারটা মিথ্যার আমদানি করতে হয়, তেমনি একটা লজ্জা ঢাকতে মমিনরা আরো হাজারটা লজ্জা যে আমদানি কইরা ফেলাইতেছে, সেইটা বোঝার মত ক্ষমতা মমিনগো থাকলে তারা নিশ্চয়ই এতোদিন আর মমিন হইয়া থাকত না। কুরান-হাদিসের কোথাও আদম-হাওয়ার গর্ভে আগে কন্যা সন্তান হইছিল, এমন ইঙ্গিত নাই। তবুও তারা বার বার হাবিল-কাবিলের বুনগো কথা কয়। কিন্তু এই কাহিনীর যেখানে সূত্রপাত, সেই তোরাহ-বাইবেলে আদম হাওয়ার কন্যার ব্যাপার আসছে অনেক পরে। তোরাহ-বাইবেলে আর কী আছে, সেইটা অন্তত জাইনা নেয়া যাক - হাবিলরে হত্যা করলে ঈশ্বর কাবিলরে অভিশাপ দেয় ওই ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত জায়গায় আর গাছপালা হবে না, ফলে কাবিল পুর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে তার ছেলে হয়। কিন্তু এই ছেলে কার গর্ভে, সেইটা কেউ না কইলেও যে কারো বুঝতে সমস্যা হবে না যে ঐ দেশেরই কোনো মেয়ের গর্ভে, নইলে তখন হাওয়া ছাড়া আর কোনো নারী থাকার কথা না। (আদম-হাওয়া দুনিয়ার প্রথম মানব-মানবী--এই কেচ্ছা এইখানেই বিশাল একটা ধাক্কা খাইলো, খিয়াল কৈরা!) 

কাবিলের কাহিনী থিকা আবার আদম-হাওয়ার দিকে ফিরা যাওয়া যাক। সেখানে দেখা যায়, তাগো আরেকটা সন্তান হয়, নাম শেথ (শিস নবী); এই শেথেরও আবার ছেলে হয়। (আদিপুস্তক ৪); কার গর্ভে? জ্বী, আপনি ঠিকই ধরছেন এইবার... ধর্মগ্রন্থের ভাষ্যমতে ওইখানে হাওয়া ছাড়া আর কোনো নারীর অস্তিত্ব থাকার কথা না। (এরপর আদিপুস্তক ৫-এ গেলে তবেই দেখা যায় ৯৩০ বছর বাইচা থাকা ৯০ ফুটি আদমের পরে আরো পুত্র-কন্যা হয় যাগো নামধাম পাওয়া যায় না। তবে এই কন্যা শব্দটা আগে ছিল নাকি পরে আপডেট দিছে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যায়।) 

এইবার বুঝলেন তো হাওয়ারে মমিনরা আম্মু না ডাইকা বিবি বলে কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন