আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৪

ধর্মান্তিক সমাচার - ০১

লিখেছেন হাইয়্যা আলাল ফালাহ্‌

১.
ধর্ম নিয়ে আস্তিক কারও সাথে তর্ক করতে গেলে প্রথমেই শুনতে হয়, “এতগুলো মানুষ তো আর ভুল হতে পারে না” কিংবা “আপনার কি মনে হয়, দুনিয়ার সবাই বোকা আর আপনি একাই চালাক?” নিজের ভুল বুঝতে পারি তখন। বুঝি যে, যুক্তি আর প্রমাণ দিয়ে বলদের সাথে কথা বলা যায় না। তখন আমিও জঙ্গি নাস্তিক হয়ে যাই। আমি বলি, “আজ থেকে যদি বাংলাদেশের সব মানুষ বাম হাত দিয়ে ভাত খাওয়া শুরু করে, আপনিও তাই করবেন?” দৃঢ় কন্ঠে উত্তর আসে, “হ্যাঁ, করবো।” তখন আমি বলি, “ধুর ভাই! সাইডে যান। যে লোক মাইনষের দেখাদেখি গু খায়, তার লগে আমি কথা কই না”

২. 
এক পাড়াতো বন্ধুর সাথে সমসাময়িক বিভিন্ন কুসংস্কার (ধর্ম) নিয়ে উচ্চমার্গীয় ও তুলনামূলক আলোচনা করছিলাম। এক পর্যায়ে সে বলে, “তবে যাই কস না কেন, হিন্দুরা সবচেয়ে বোগাস। আর এছলাম সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।” কারণ জিজ্ঞেস করলাম। বলে, “কী সব মূর্তি-টূর্তি নিয়া হিন্দুগুলা পূজা করে। এগুলার কোনো ভিত্তি আছে?” আমি বললাম, “শেষ কবে আল্লাহ্‌র সাথে বইসা চা খাইছস? ঐ হালায়ও তো ডাকলে আসে না। দেখলামও না একদিন। খালি নামই শুনলাম।” সে উত্তেজিত হয়ে বললো, “আল্লাহ্‌র কসম! আল্লাহ আছে। আমাদের পেয়ারের নবীজী দেখছে”। 

তখন আমার ওপর ওহী নাজিল হলো এই মর্মে: “কল্যাণের শপথ! নিশ্চয়ই আপনার চারপাশে অজস্র ছাগু আবর্তিত হয়। আমি তাদের মগজকে করে দিয়েছি তাদের বিচির চেয়ে ছোট আকৃতির। যেন তারা তালগাছের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থেকে সারা জীবন পার করে দেয়। এদের সাথে তর্ক না করে তাল খেয়ে গাছের তক্তা এদের দিয়ে দিন। নিশ্চয়ই আমি সর্বজ্ঞাত ও কৌশলী।”

আমি বললাম, “দোস্ত, তুই ঠিক। এবার চা আর সিগারেট এর বিলটা দিয়া দে”।

৩.
ছোটবেলায় একবার নামাজে ছেজদারত অবস্থায় আমার হঠাৎ মাথায় আসলো, কেয়ামতের দিন যদি দেখি আল্লাহ্‌ নাই, দেবী দূর্গা দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সবার সামনে... তখন কী হবে? তো আমার মত আরও অনেকের মনে নিশ্চয়ই এসব আজেবাজে চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়েছে শয়তান। তাদের জন্য বাজারে এসেছে নতুন কালেমা: কলেমা উলতিমাতুল ফালাহ্‌। এই কালেমা ঈশ্বরভেদে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণ এরশাদ করা গেল:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (কিয়ামতে যদি আল্লাহ্‌র সামনে পড়েন)
লা ইলাহা ইল্লাদ্দুর্গা, মুহাম্মাদুর রাসুলুদ্দূর্গা (কিয়ামতে যদি দূর্গার সামনে পড়েন)
লা ইলাহা ইল্লাজ্জিউস, মুহাম্মাদুর রাসুলুজ্জিউস (কিয়ামতে যদি জিউসের সামনে পড়েন)
এভাবে কাল কেয়ামতের দিন ফ্লাইং স্প্যাগেটি মনস্টার, এলোহিম, জিসাস, রা’ থেকে শুরু করে ম্যারাডোনা পর্যন্ত সবাইকে সামলাতে পারবেন। মুহাম্মদের ব্যাপারে উপস্থিত ঈশ্বরের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত না হলে কলেমার শেষ অংশ বাদ দিতে পারেন। 

বি.দ্র. অনেক কষ্ট করে এই আলটিমেট কলেমা নাজিল করিয়েছি। কপিরাইট সংরক্ষিত। আর এর পরও যদি মনে সংশয় থাকে, তাহলে আপনি একটা নাস্তিক। আপনার চিন্তার কিছু নাই। নিশ্চিন্তে মইরা যান। মরার পরে কিচ্ছু নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন