আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪

মহাম্যাডের ঘাম ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মোবারকের মাজেজা

(লেখাটা পড়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিলো, ইছলামের নবীকে নিয়ে লেখক বাড়াবাড়ি রকমের রূপকথার গল্প ফেঁদে বসেছেন। ভুলটা ভাঙলো একেবারে শেষে গিয়ে। তাই লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়া আবশ্যক।)

লিখেছেন নিলয় নীল

পৃথিবীর সর্বচ্রেষ্ট ধর্ম ইচলাম হলো সমস্ত বিগ্যানের বিগ্যান। আর ইচলামী বিগ্যানুসারে সমস্ত বিগ্যানের মুলে রয়েছেন একজন, তিনি হলেন নবী মহাম্যাড। এই পৃথিবী আকাশ, বাতাস, গাছ, নদী, ফুল, ফল, মানুষ ও অন্যান্য পশুপাখীসহ সব কিছুর আদি এবং একমাত্র উৎস হচ্ছে আমাদের পেয়ারের নবী মহাম্যাড। আল্লাহ্‌ আসমানে শাজারাতুল ইয়াক্কীন নামক চারটি শাখাবিশিষ্ট প্রকাণ্ড অথচ নজরকাড়া সুন্দর একটি বৃক্ষ সৃষ্টি করেছিলেন। এই বৃক্ষে আল্লাহ্‌ তাহার আপন নূর হইতে আমাদের পেয়ারের নবী মহাম্যাডের নূর সৃষ্টি করে তা বহু সংখ্যক সাদা মুক্তা দিয়ে খুব সাবধানতার সাথে জড়িয়ে রেখে সুন্দর ময়ূর পাখির মতো আকার দান করে হাজার হাজার বছর সে গাছের ওপর উপবিষ্ট করে রাখেন। 

পাখিটি সেই গাছের ওপর বসে ৭০ হাজার বছর যাবত আল্লাহর মহিমা, তাসবীহ-তাহলীল, ইবাদত বন্দেগীতে নিমগ্ন থাকেন। এরপর আল্লাহ্‌ খুব আকর্ষণীয় একটি আয়না বানিয়ে পাখিটির সামনে তুলে ধরেন। পাখিটি আয়নার মধ্যে তার মনোরম ও অতি সুন্দর আকৃতি দেখে আল্লাহর কাছে শোকরানা আদায় করেন। এইভাবে চলে গেলো আরও অনেক বছর। ময়ূর আকৃতির পাখিটি আরও অনেক বছর সেই গাছে বসে আল্লাহার জিকির করার এক পর্যায়ে আল্লাহ্‌ রহমতের নজরে দৃষ্টিপাত করেন। তাতে পাখিরূপ উক্ত নূরে মহাম্যাডী লজ্জায় জড়সড় হয়ে পড়েন এবং ঘামতে থাকেন। 

আল্লাহর এই মহব্বতের দৃষ্টির ফলে নূরে মহাম্যাডী থেকে যে ঘাম বের হয়, তা থেকেই মহান আল্লাহ্‌ আঠারো হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেন। এ কারণেই রাচুলের আরেক নাম উম্মী রাখা হয়েছে। আরবী ভাষায় উম্মন শব্দের অর্থ হচ্ছে মূল। সুতরাং নবী মহাম্যাডই হলেন সকল সৃষ্টির আদি উৎস। অতঃপর পাখিরূপ নূরে মহাম্যাডী হাজার হাজার বছর তথায় অবস্থান করে আল্লাহার ইবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকেন। তারপর আল্লাহ্‌ নূরে মহাম্যাডী হতে সমস্ত নবী ও রাসুলগনের রূহসমূহ পয়দা করেন। সেই সব রূহকে কালেমা ই তাইয়্যিব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়ার নির্দেশ দিলেন। 

আল্লাহ্‌র নির্দেশ পেয়ে সকল নবী রাচুলগণ উক্ত কলেমা পাঠ করে হযরত মহাম্যাডকে নবী বলে স্বীকার করে নেন। এ কারণেই তিনি হলেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন বা প্রেরিত মহাপুরুষদের সর্দার। এ থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, তিনি খাতেমুল আম্বিয়াই নন, তিনি ফাতেহুল আম্বিয়া অর্থাৎ নবীগণের সূচনা। আল্লাহ্‌ সর্বপ্রথম হযরত মহাম্যাডের নূরকেই সৃজন করেছেন যার থেকে সকল কিছুর সৃষ্টি। 

এর কিছুদিন পর মহান আল্লাহ্‌ একটি অতি মনোরম ঝাড়বাতি নির্মাণ করলেন। ঝাড়বাতি নির্মাণ করে নিজের আকৃতিতে নবীর আকৃতি তৈরি করে উক্ত ঝাড়বাতির মধ্যে অতি সযতনে সংরক্ষণ করতে থাকেন। রাসুলেফাকের সংরক্ষিত আত্মার চারপাশে সকল মানবাত্মা ঘুরে ঘুরে হাজার হাজার বছর ধরে আল্লাহার তাসবিহ-তাহলীল পাঠ করতে থাকেন। একদিন আল্লাহ্‌ সকল মানবাত্মাকে নির্দেশ প্রদান করেন, হে আত্মাসমূহ, তোমারা সবাই মিলে আমার বন্ধু (ইচলামী বিগ্যানুনুযায়ী আল্লহর কাছে সব মানুষ দাস হলেও শুধুমাত্র মহাম্যাডই তার বন্ধু) হযরত মহাম্যাডের পবিত্র নূরের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করো। আল্লাহার নির্দেশে সকল মানবাত্মা নূর এ মহাম্যাডির দিকে দৃষ্টি দিলো। ফলশ্রুতিতে – 

- যে মানবাত্মাগুলো সর্বপ্রথম রাচুলের মাথা মোবারকে দৃষ্টি দেয়, তারা পৃথিবীতে খলিফা ও রাজা বাদশা হবার সৌভাগ্য অর্জন করে। 

- যে সকল মানবাত্মা হুগুরের পবিত্র কপাল মোবারক দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছে, তারা দুনিয়াতে নিঃস্বার্থ জননেতা হয়েছে। 

- যে রুহুগুলো রাচুলের ভ্রু মোবারক দেখতে পেয়েছিলো, তারা দুনিয়াতে ভালো শিল্পী হয়েছে। 

- যারা কান মোবারক দেখতে পেরেছে, তারা দুনিয়াতে অগাধ ধন দৌলতের মালিক হয়েছে। 

- যারা হুগুরের চক্ষু মোবারক দেখেছিলো, তারা ভালো কুরআনে হাপেজ হতে পেরেছে। 

-  যারা হুগুরের নাক মোবারক দেখেছে, তারা পৃথিবীতে চিকিৎসক ও ভালো আতর (সুগন্ধি) বিক্রেতা হয়েছে।

- যারা নবীজির মুখ দেখেছে, তারা খুবই রোজাদার হয়েছে। 

- যারা তার গলা দেখেছে, তারা বিখ্যাত ওয়াজ ও উপদেশদানকারী এবং মুয়াজ্জিন হয়েছে। 

- যারা তার দাড়ি দেখেছে, তারা খ্যাতিমান যোদ্ধা হয়েছে। 

- যারা তার উভয় হাতের তালু দেখতে পেয়েছে, তারা সৌভাগ্যবান ও দানশীল হয়েছে। 

- যারা তার উভয় হাতের পিঠ দেখতে পেয়েছে, তারা কৃপণ হয়েছে। 

- যারা তার বুক দেখেছে, তারা প্রকৃত আলেম ও মুজতাহিদ হয়েছে। 

- যারা তার পার্শ্বদেশ অবলোকন করেছে, তারা জিহাদি হয়ে গাজি বা শহীদ হয়েছে। 

- যারা হাঁটু দেখেছে, তারা রুকু সিজদা দিতে শিখেছে। 

- যারা পা দেখেছে, তারা ভ্রমণকারী ও শিকার কাজে পারদর্শিতা লাভ করেছে। 

- আর যারা দুর্ভাগ্যবশত নূরে মোহাম্মদীর পবিত্র নূরানি শরীরের কিছুই দেখতে পায়নি, তারা ইয়াহুদী, নাসারা, কাফের, মুশরিক প্রভৃতি হয়েছে। 

ওপরের ইচলামী বিগ্যান থেকে একথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে, সবকিছুর সৃষ্টি হয়েছে আমাদের পেয়ারের নবী আল্লাহ্‌র বন্ধু মহাম্যাড থেকে। অবিশ্বাসীরা মহাম্যাডের কিছুই দেখতে পায়নি বলেই তারা অবিশ্বাসী হয়েছে। 

এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন মহাম্যাডের আর এমন কোন অঙ্গ থাকতে পারে, যা দেখে দুনিয়ায় মানুষরা কামুক হয়েছিলো? 

(তথ্যসূত্র: "মরনের আগে ও পরে কবরের খবর"; লেখন – ইমাম গাযযালী (রহঃ), বাংলা অনুবাদ – মাওলানা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জাহেরী।) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন