আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৪

দাস-রাফুল মাখলুকাত

লিখেছেন ক্যাটম্যান

পৃথিবীতে, সম্ভবত, মানুষই একমাত্র প্রাণী, যে শাসিত হওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের শাসক-প্রভু নিজে নির্বাচন করে। প্রাণীসমাজের অন্য কোনো গোত্র বা প্রজাতির মাঝে এমন আত্মনিগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না। সাধারণ ও অসাধারণ উভয় দৃষ্টিতেই লক্ষণীয় যে, মানুষ ব্যতিরেকে প্রাণীসমাজের সব প্রজাতি নিজেদের স্বাধীনতার ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন। 

কিন্তু তথাকথিত 'আশরাফুল মাখলুকাত' বা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ নিজেকে পশু-পাখির তুলনায় অধিক স্বাধীনচেতা বা সম-স্বাধীনচেতা সত্তা প্রমাণ করতে পারেনি। বরং মানব ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয় যে, প্রভুদের রক্ষার জন্য পৃথিবীর বহু দাস নিজেদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে। 

অনেকে দাসত্ব অর্জনকে নিজেদের জীবনের একমাত্র মোক্ষ জ্ঞান করে থাকে। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় দাসত্ব অন্যতম। ধর্ম স্বাধীন মানুষের অস্তিত্ব অস্বীকার করে। কারণ ধর্মের প্রভুগণ পরজীবিতার স্বার্থে অন্ধ। প্রভুগণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে প্রভুর অধীনে প্রচুর দাস দরকার। দাস বিহীন প্রভু সব যুগেই বড্ড বেমানান। তাই বিভিন্ন প্রকার ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মের পরজীবী প্রভুগণ নিজেদের দাসের সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত সংগ্রামরত। 

যারা দাসসুলভ ব্যাধিগ্রস্ত চেতনার অধিকারী, তারা ধর্মের পরজীবী প্রভুগণের এমন নির্লজ্জ প্রয়াসে গৌরব বোধ করে। অনেকে কল্পিত সত্তার দাস হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে নামের শুরু বা শেষে দাস বা দাসী ইত্যাদি উপাধি যোগ করে থাকে, যেমন আব্দুল্লাহ (আল্লাহর দাস), আব্দুল খালেক (স্রষ্টার দাস), আব্দুল মালেক (প্রভুর দাস), দেবদাস, দেবদাসী, হরিদাস ইত্যাদি ইত্যাদি। ভৃত্যসুলভ মানসিকতার কী বাহার, ওপরোক্ত নামসমূহ বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যায়। 

অথচ পশু-পাখিদের সমাজে এমন ভৃত্যসুলভ আচরণ বা দাসোচিত উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় না। পশু-পাখিদের সমাজ এতটাই স্বশিক্ষিত যে, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দাস হওয়ার তাড়না কখনই তারা অনুভব করে না। কিন্তু আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দাস হওয়ার তাড়না তীব্রভাবে অনুভব করে থাকে। যে কারণে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তকমায় ভূষিত হয়েছে। 

মানুষের প্রধানতম ভূষণ হলো বহুমাত্রিক দাসত্ব; যে ভূষণ নিকৃষ্ট জীব পশু-পাখিদের নেই। তাই প্রতিক্রিয়াশীল সমাজে দাসত্বের তাড়নাবিহীন প্রগতিশীল ও স্বাধীনচেতা মানুষ পশু-পাখিসম অধম ও হীন বিবেচিত হয়ে থাকে। পশু-পাখিদের সাথে মানুষের পার্থক্য যতটা না জ্ঞানে; তার চেয়েও অধিক পার্থক্য দাসত্বে। তাই পশু-পাখিরা শাসিত হওয়ার উদ্দেশ্যে কখনও নিজেদের শাসক-প্রভু নির্বাচন না করলেও অধম আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ তা করে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন