আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

স্যাটানিক ভার্সেস: নবীর শিরক

লিখেছেন সেক্যুলার ফ্রাইডে

মুমিনদের দাবি, আল্যা "সত্য অস্বীকারকারীদের" হৃদয়ে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন; তাদের দিলেও মোহর মেরে দেয়া হয়েছে, ফলে তারা শিরক করেই অভ্যস্ত এবং তারা কাফির; আবার কিছু মানুষ শয়তানের প্ররোচনায়ও শিরক করে ও কাফির হয়, যা সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি গুনাহ, কবিরা গুনাহ, যা আল্যা কখনই ক্ষমা করেন না। 

অথচ ইসলামের ইতিহাসই প্রমাণ যে, কথিত শয়তানের প্ররোচনায় ইসলামের নবী নিজেই একবার শিরক করেছিলেন:
ইসলামের প্রথম যুগে, মুহাম্মদ যখন ইসলাম প্রচার করতে শুরু করেন, তখন পৌত্তলিকদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা মক্কায় নানাভাবে নিগৃহীত হয়; এমনকি নব্য মুসলমানদের অনেকেই আবিসিনিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন নিজ নিজ প্রাণ বাঁচাতে। 
হতাশ, কাতর, বিষাদগ্রস্ত ও ম্রিয়মাণ মুহাম্মদ টিকে থাকার সংকল্পে মরিয়া হয়ে কাবায় দাঁড়িয়ে এক আপোষকামী আয়াত উচ্চারণ করেন, যাতে তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী আল্লাহ’র পাশাপাশি তার অপর তিন কন্যা লাত, উজ্জা এবং মানাতকে উপাস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেন; কোরানে এই তিন দেবতার উল্লেখ পাওয়া যায় সুরা আন-নাজামে [৫৩/১৯-২২] 
নিজ নিজ ঈশ্বরের সম্মানসুচক এই ঘোষণা কুরাইশদের রাগ ও ক্ষোভকে প্রশমিত করে, যার ফলশ্রুতিতে তারা মুহাম্মদ ও মুসলমানদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। 
আবিসিনিয়া ফেরত মুসলমানেরা অবাক বিস্ময়ে মুহাম্মদকে চেপে ধরে একেশ্বরবাদ থেকে সরে এই শিরক করার কারণ জানতে চাইলে মুহাম্মদ চরম শঠতার পরিচয় দিয়ে এই কৈফিয়ত দেন যে, শয়তান তার জিহ্বায় ভর করার কারনেই তিনি পূর্বোক্ত সুরাগুলো বলেছিলেন। 
পরবর্তীকালে জিব্রাইল নতুন করে “ওহী” নিয়ে আসে এবং শয়তানের আয়াতগুলো বাতিল ঘোষিত হয়; সুরা হজ্জ [২২/৫২-৫৩] -এ এই ভুল স্বীকার করা হয়েছে। 
প্রাসঙ্গিক ভাবেই যৌক্তিক প্রশ্নগুলো হচ্ছে:

১. স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানের আয়াতগুলো যদি শিরকের পরিচয় বহন করে, তবে তবে কি মুহাম্মদও এক পর্যায়ে নবুয়ত থাকা সত্ত্বেও কাফিরে পরিণত হয়ে যাননি? 

২. এরকম আর কয়টি সুরা শয়তানের প্ররোচনায় নাজেল হয়েছিল? মুহাম্মদ যে আরও বারকয়েক শয়তানের খপ্পরে পড়েছিলেন, সে বিষয়ক সহি হাদিসও তো বর্তমান।

৩. কুরআনকে যারা অভ্রান্ত, অবিকৃত, লওহ মাহফুজে সংরক্ষিত এবং খোদ আল্লাহকে তার সংরক্ষক বলে মনে করেন, এই ঘটনাটি কি তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর নয়? 

৪. আল্যা কেন শিরককারী মুহাম্মদকে ক্ষমা করে তাঁরই নির্ধারিত শর্ত ভঙ্গ করলেন? তাঁর মানে কি তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি তিনি নিজেই ভঙ্গ করেন? তিনি কি তবে পক্ষপাতমূলক দ্বিচারী ভূমিকায় অবতীর্ণ? তিনি কি তবে আস্থার যোগ্য নন? একবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে তিনি আবারও যে তা করবেন না তার নিশ্চয়তা কি? 

৫. সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:

কোরআন বলে,
এ কিতাবের অবতরণ বিশ্বপালনকর্তার নিকট থেকে এতে কোন সন্দেহ নেই।
[সূরা সেজদাহ ৩২/২] 
বলুন: যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়, এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।
[সূরা বনী ইসরাঈল ১৭/৮৮]
এই দুইটি আয়াত কি এই ঘটনায় ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয় না? 

কারণ শয়তানের আয়াত বলে কথিত সেই আয়াতগুলো অপরাপর আয়াতের মতই একই ভাবে নাজেল হয়েছিল এবং অনুরূপ সুরা বলেই স্বীকৃত হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন