আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

কিন্তুক আমরা ত মুসলিম

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

পবিত্র কোরআন যখন দাবী করে, পিতা ইব্রাহীমের প্রথম দুইটা অর্থাৎ, ইহুদি ও খৃষ্টান ধর্ম মূলত আমাগের ইসলাম ধর্মের পূর্বসূরি, তখন আমরা কিছু ব্যাপার লিয়ে চিন্তিত হই পড়ি।

আমাগের তখন চিন্তায় আসে, যদি আব্রাহামিক রিলিজিয়ন বা পিতা ইব্রাহীম ধর্মের উত্তরসূরি আমরা মুসলিমরা হই ই, তবে তো তিন ধর্মেই সৃষ্টকর্তার স্বরুপ একই হবে, হওয়ার কথা!

দ্বিতীয়ত, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা খুঁজি বাহির করতে হবে, যেটি তিনো ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ তাকবে, এবং তিন ধর্মে সেইটা একই রকম কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে!

এবং এতে যদি কেবলমাত্র একটা, কেবল একটা, হাঁ কেবল একটা মাত্র গরমিল বা ভুল যুদি প্রমাণ হয়া যায়, তবে তিনো ধর্ম মিথ্যা বলে গন্য হবে। কেননা আমরা প্রত্যেক মুমিনই ধর্মগ্রন্থ দ্বারা জানি যে, আল্লাহপাক নির্ভুল, তাঁর কাজে ভুল নাই এবং উনার ওহীর হেফাজত কারি তিনিই।

সুতরাং, একটা মাত্র 'ভুল'ই আমাগের চিন্তার জগৎে তোলফাড় সৃষ্টি কোইত্তে ফারে! তাই, আমরা খুঁজতে গেলাম কয়েকটি ব্যপার। যেমন:

১.পবিত্র কোরানে বর্নিত সৃষ্টিকর্তা 'আল্লাহ' এবং ইহুদি ধর্মে উল্লেখিত সৃষ্টকর্তা 'YHWH বা Jehovah ' -এরা এক কি না বা ইনাদের মাঝে Attributes জনিত অমিল আছে কি না!

২. এমন একটা ঘটনা কি আছে, যেটি তিনো ধর্মে উল্লেখ আছে এবং সেই ঘটনাকে এক ধর্ম থিকা অন্য ধর্মে ভিন্নভাবে ব্যখ্যা আছে! উদাহরন: "কোরবানির ঘটনা"।

এখানে বলি রাখা ভাল যে, আমাগের এই ইতিহাসগত অনুসন্ধান কেবল একটা কারনেই - যেহেতু আল্লাহ বলেসেন 'সত্য' অনুসন্ধান কোইত্তে! তাই নিজ বিবেকের কাসে সৎ থাইকতেই আমাগের এই প্রচেষ্টা!

যাইহক, অনুসন্ধানে করিয়া আমরা দেকতে ফেলাম যে, ইসলাম ধর্মের 'আল্লাহ' ও ইহুদি ধর্মের 'YHWH' দের ভিতর বৈশিষ্টগত ফারাক বিদ্যমান এবং কোরবানির ঘটনায় ইহুদি, খৃস্টান ধর্মের সাথে ইসলামের বর্ননা মিলছে না!

হাঁ, তা আর বোইলচি কি!

যখন আমরা প্রমান পাই গেলাম 'আল্লাহ' এবং 'YHWH' দুইজনই বৈশিষ্টগত ভাবে ভিন্ন, এবং আর দেকলাম যে, ইহুদি ধর্মে ইসহাককেই (আ.) কোরবানির উদ্দেশ্যে পিতা ইব্রাহিম খুন করতে নিয়ে গিয়েসিলেন।

অথচ, ইসলাম ধর্ম বোইলচে, ইসমাইলকে (আ.) কোরবান দিতে নেয়া হয়েসিলো!

আফনি যদি সত্যিই সত্য অনুসন্ধানি হন এবং নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকেন এবং ছোটো বেলা থিকা পারিবারিক ভাবে বা সামাজিক ভাবে পাওয়া ধর্মীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মিয় শিক্ষার ভয়ঙ্কর বন্ধন থিকা নিজেকে এক মিনিটের জন্য মুক্ত করেন এবং ভাবেন যে, এই একটু ভুল এর জন্যই নির্ভুল বলে দাবীদার ধর্মগ্রন্থ সমূহের অস্তিত্ত্ব মিথ্যা হই যাবে। এবং এখানে তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত!

হাহাহা, কিন্তুক... কিন্তুক আমরা ত মুসলিম!

আমরা ত এমন বিতর্কিত অবস্থায় অন্য পথ অবলম্বন কোইরব! এই অবস্থায় আমরা বোইলব যে,আগের ধর্ম গ্রন্থ গুলা বিকৃত হই গেসে!

তারফর হয়ত দিখা যাবে, নাস্তেকেরা খোঁটা দিতে ফারে এই বলি যে, "তাহলে সে হিসাবে কোরান যে অবিকৃত নয়, তার প্রমান কি, কারন, নবীজি নিজের হাতে কোরান সংকলন করেন নাই। উসমানই ত নিজের বিবেচনায় অন্য সব কোরান পুড়ে ফেলেন এবং নিজের ইচ্ছামত একটাকে সংকলন করি রাখেন!"

হাহাহা... এমুন কঠিন অবস্থায় ফড়লে অন্য ধর্মের লুকেরা হাবুডুবু খাইত, কিন্তুক আমরা ত মুসলিম! তাই আমরা বোইলব, হুম, তাহলে মনে হয় আল্লাহপাকের বিবর্তন হয়েসে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন