আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

ইছলামকবলিত দেশে অভিজিৎ হত্যার সুবিচার অসম্ভব

লিখেছেন পুতুল হক

অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার এই দেশে হবে - এতো বড় আশা আমি করি না। এটা হচ্ছে সেই বাংলাদেশ, যেখানে রাজাকাররা, যারা আমাদেরই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মেরেছে, তিন লক্ষ নারীর সম্ভ্রমহানী করেছে, জাতীয় নেতা হয়। 

৭১-এ এদের অত্যাচারের কাহিনী শুনলে এখনো বুকের রক্ত হিম হয়ে আসে। কিন্তু ধর্মের কারণে জঘন্য খারাপ এই দুপেয়ে জীবগুলোর বিচার আমরা চাইতে পারিনা একসাথে, এক কন্ঠে! পাকিস্তানী জানোয়ারদের পা-চাটা এই সমস্ত কুলাঙ্গার যেভাবে ওদের সাথে মিলে আমাদের নারীদের অত্যাচার করেছে, সেখানে আমিও থাকতে পারতাম। কিংবা আমার মা, বোন বা কোন আত্মীয় থাকতে পারতেন। একবার কি আমরা কল্পনা করে দেখি না, কী ভয়াবহ ছিল সেসব দিন? আমার ভাই তখন আমার মায়ের পেটে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা তাঁর আরও দুটো শিশু কন্যা নিয়ে কীভাবে ঢাকা ছেড়ে গেছেন, আমি বারবার সে গল্প শুনেছি। যাত্রা শুরু হবার পর থেকেই এঁকে এঁকে তাঁদের সঙ্গীরা মারা পড়ছিলেন। অজানা অচেনা মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, না খেয়ে থেকেছেন। কেরানীগঞ্জে আমার বোন হারিয়ে যায়। তখন সেই ভয়াবহ অবস্থাতেও স্বেচ্ছাসেবীদের কারণে আমার বোনকে খুঁজে পান মাবাবা। বোনের বদলে যে-শিশুটি মায়ের কোলে ছিল, তাঁর পরিবারের কাউকে পাওয়া যায় না। মা অসংখ্যবার সেই শিশুটির জন্য কেঁদেছেন, যাকে স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে ছেড়ে আসতে হয়েছিলো, আর আল্লাহ্‌র কাছে মাফ চেয়েছেন। সেই অবস্থায় আরও একটি শিশুর দায়িত্ব আমার মা নিতে পারেননি। 

যে জাতি ইসলামের কারণে বাবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খুনিকে, মায়ের রাজাকার ধর্ষককে ক্ষমাই শুধু করে না, পরম আত্মীয়ও মনে করে, সে জাতি অভিজিৎ রায়ের মত কোনো নাস্তিক, যে কিনা ধর্মহীন এক মুক্ত বিশ্বের স্বপ্ন দেখতো আর দেখাতো, সেই অভিজিৎ হত্যার বিচার চাইবে এরকম আশা করার মত জড়বুদ্ধি আমি নই।

বিচারের নামে যা হচ্ছে, সরকার যেভাবে তদন্তের উন্নতি দেখাচ্ছে, অসহায় কান্নায় বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যায়। থুথু দিই এমন দেশের এমন সরকার আর জনগণের মুখে। হুমায়ুন আজাদ, থাবা বাবা বা অভিজিৎ রায় - কারো খুনের যথাযথ বিচার এই দেশে হবে না। 

এখানকার মানুষ মুক্তমনাদের কতল করে আর যারা মা বোনদের ধর্ষণ করে, ভাইকে বাবাকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারে, তাঁদের শ্রদ্ধার আসনে বসায়। ধর্ষক আর খুনিরাই এই দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানকার মানুষের মনন, চিন্তা গড়ে ওঠে এদেরই হাতে। এর বাইরে তারা ভাববেই বা কীভাবে? মুসলমান বাবা তাঁর ছেলেকে খুন হতে দিতে পারে, ছেলে তাঁর বাবাকে খুন করতে পারে, যদি তারা ইসলামের বাইরে যায়। এখানে সবার আগে ইসলাম। তাই মুক্তমনাদের খুন হতে হয়। এটাই ইসলামের আদেশ। 

মুসলমান আর যা-ই করুক, কখনো ইসলামের বাইরে যেতে পারবে না। পারবে না তাঁদের নবী আর আল্লাহ্‌র আদেশ এড়িয়ে চলতে। এই দেশে কখনো অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার হবে না। তদন্তের নামে যা হচ্ছে তা হলো অভিজিৎকে ঠুনকো প্রমাণের চেষ্টা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন