আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

অভিজিৎ হত্যার এক মাস

লিখেছেন বন্যা আহমেদ

মার্চ মাসের ছাব্বিশ তারিখ আজ – ঠিক এক মাস আগে আমার স্বামী অভিজিৎ রায় এবং আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মমভাবে আক্রান্ত হয়েছিলাম।

অভিজিৎ বিজ্ঞান এবং মানবাধিকার বিষয়ে লেখালেখি করতো, কঠোর সমালোচনা করতো ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে, এবং প্রতিষ্ঠা করেছিল মুক্তচিন্তকদের জন্য বাংলায় সর্বপ্রথম একটা অনলাইন প্লাটফর্ম – মুক্তমনা। এই সবের জন্য, ধর্মীয় মৌলবাদীরা তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

হামলাটা ঘটেছিলো জনাকীর্ণ এলাকায়, অসংখ্য মানুষের চোখের সামনে। সেখানে নিরাপত্তা ক্যামেরা ছিলো, ছিলো পুলিশ চেকপয়েন্ট। অভিজিৎ হত্যার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ‘আনসার বাংলা ৭’ নামের একটি ইসলামি চরমপন্থী সংগঠন সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার কৃতিত্ব দাবী করে। এতো কিছুর পরেও এক মাস পরে এসে একজন মাত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা ছাড়া এই তদন্তের আর কোনো অগ্রগতি নেই।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, অভিজিৎ হত্যার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থেকেছে। এটি খুবই আশংকাজনক এবং ভীতিকর একটি অবস্থা। ‘আনসার বাংলা-৭’ এর নেতারা এখন কোথায় লুকিয়ে আছে? কেনো তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরা হচ্ছে না?

যুক্তিবাদী লেখকদের ওপর এরকম হামলা বাংলাদেশে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিচার না হবার কারণে সন্ত্রাসীরা নিজেদের ভেবেছে দুর্জেয়, আর হতাশায় মুষড়ে পড়েছে সাধারণ জনগণ। আমরা দাবি জানাই যে, বাংলাদেশ সরকার ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলুক, লেখক-হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় না এনে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করুক।

ছাব্বিশ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম একটা মূলনীতি ছিলো ধর্মনিরপেক্ষতা। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করার কথা ছিলো সকল মানুষের বাক স্বাধীনতাকে। কিন্তু, অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা উপলদ্ধি করছি যে, আজকে সেই দেশেই ধর্মোন্মাদদের অরাজক কাজকর্মের বিচার চাইবার জন্য আমাদের কাকুতি-মিনতি করতে হচ্ছে।

অভিজিৎ-এর স্ত্রী, তাঁর সহযাত্রী লেখক, এবং একজন মুক্তমনা হিসাবে, আমি আবারো এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি এবং বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানাচ্ছি অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য এবং এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন