আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৪ মার্চ, ২০১৫

ইসলাম - যোনীর ধর্ম

লিখেছেন পুতুল হক

চারদিকে হিজাবের ছড়াছড়ি। কারণ আর কিছুই না, আমরা মুসলমান নারী তাই হিজাব ধারণ করি। চারদিকে একই কথা শুনি, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম।’ কারণ আর কিছুই না, ইসলামে আছে এই ধর্ম শান্তির ধর্ম। 

আমার অতীত ঐতিহ্যের সাথে হিজাবের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার সংস্কৃতিতে কোথাও হিজাবের উল্লেখ নেই। তবুও কারো আদেশ বা প্ররোচনার অপেক্ষা না করে আমরা হিজাব পরছি। এখন বাঙালি মুসলমান নারীর পোশাক তার আবহাওয়া, পরিবেশ বা সংস্কৃতি নির্ধারণ করছে না, করছে ধর্ম। নিজস্ব চিন্তা, ইচ্ছে, উপযোগিতা সব কিছুকে বাদ দিয়ে আমরা ইসলাম মেনে নিচ্ছি। আমরা হিজাব পরছি। 

ইসলাম মেয়েদের বলল, তুমি ধর্ষিতা হও, কারণ তোমার পোশাক। মুমিনারা ভেবে নিলো, সেটাই সত্য। 

ইসলাম নারীদের বলল, তোমরা শস্যক্ষেত্র। তোমাদের একমাত্র কাজ পুরুষের চাষের উপযোগী হওয়া আর তাদের ফসলকে ধারণ করা। নারী সেটাকেই মেনে নিলো। 

ইসলাম ঘরের বউদের বলল, তোমরা যদি রান্নাঘরে রান্না করতে থাকো, আর তোমাদের স্বামীদের কাম জাগে তবে দৌড়ে এসো, তোমাদের স্বামীদের কামসেবা দাও। বউরাও ভাতের হাড়ি উল্টে দে দৌড় স্বামীর নিচে যাবার জন্য। 

নারী কেনাবেচা হয় বাজারে, ঘরে। মূল্য কয়েকমুঠো শস্যদানা। যতটুকু খাদ্য-পানীয় শস্যক্ষেত্রকে জীবিত রাখার জন্য প্রয়োজন, পুরুষ তার বিয়ে করা নারীকে ঠিক ততটুকু দিতে বাধ্য। যতটুকু প্রসাধন স্বামী নামের পুরুষটির মনোরঞ্জনের জন্য প্রয়োজন, পুরুষ ঠিক ততটুকু প্রসাধনের খরচ দেবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার প্রয়োজনে যতটুকু পানির প্রয়োজন, পুরুষ ঠিক ততটুকু পানির যোগান দেবে। এসময় মা তাঁর নিজস্ব পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অতিরিক্ত পানি সন্তানের বাবার কাছে দাবী করতে পারে না। এসবই ইসলামী আইন। 

ইসলামে নারীরা বিনা প্রশ্নে এসব কিছু মেনে নেয়। এক স্বামী তার চার বউয়ের সাথে পালা করে শোবে, ইসলামে নারীরা তাই মেনে নেয়। স্বামী তাঁর চার স্ত্রীর বাইরে বাড়ির চাকরানিদের সাথে শোবে, ইসলামে নারী তাই মেনে নেয়। কারণ ইসলাম বলেছে মেনে নিতে। ইসলাম নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান। 

শান্তির ধর্ম ইসলাম। এখানে শান্তির অপর নাম যোনী। মুসলমান পুরুষের শান্তি একমাত্র সেখানেই। পৃথিবীতে শান্তির জন্য এরা একের পর এক বিয়ে করে, বিধর্মী মেয়েদের ধর্ষণ করে। মানুষ হয়েও অমানুষের জীবন বেছে নেয়, কারণ পরকালে এরা ৭২ খানা হুর-যোনী পাবে। দুনিয়াতে এবং আখেরাতে শান্তি একমাত্র যোনীতে। এভাবেই ইসলাম নারী-পুরুষের দ্বন্দ্ব কেয়ামত পর্যন্ত মিটিয়ে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। শান্তি না এসে যাবে কই? 

সহি ইসলামী শান্তির নিদর্শন এখন ঘরে-বাইরে। হিজাব আর জিহাদ, স্বেচ্ছা হিজাবি আর স্বেচ্ছা জিহাদি। জিহাদের পথ ধরে যোনীতে ডুব দেয়ার অর্থ ইসলাম প্রতিষ্ঠা। ইহজনম আর পরজনমে মুমিনের সর্বোচ্চ পুরস্কার - যোনী লাভ। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তির অপর নাম যোনী। ইসলাম - যোনীর ধর্ম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন