আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫

টয়লেট, মসজিদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে

লিখেছেন রহমান পৃথু

১. 
টয়লেট যেমন, মুসলমানরা দিনের আকাম-কুকাম অপরাধ পাপবোধ ত্যাগ করে মসজিদে। এভাবে পায় আরাম .... আর পায় নতুন অপরাধ করার অনুপ্রেরনা - মসজিদ হতে। তাই মসজিদ তাদের এত প্রিয়।

মসজিদ-মাদ্রাসায় ভরে যাচ্ছে দেশ - অলিগলি, রাস্তার মোড়, হাট, ঘাট, গাছতলা বটতলা, অফিস, স্কুল, খালি জায়গা - কিছু বাকি নেই।

এরা সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষের অর্থসম্পদ গিলে খাচ্ছে। সমাজের সব অর্থ-কড়ি জমা হচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে। এটি একটি সর্বভূক প্রক্রিয়া। এদের চাহিদার শেষ নাই। মসজিদ-মাদ্রাসা বানানোর নাম করে মানুষের অর্থ-কড়ি কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে দেশব্যাপী - সর্বগ্রাসী রাক্ষসের মত।

এরা এক টাকা দুই টাকা ভিক্ষা নিয়ে বাঁশের খুঁটি ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে শুরু করে মসজিদ। এর পর সোনার গম্বুজ মণি-মানিক্য দিয়ে সাজালেও সে মসজিদ নির্মাণের চাহিদা শেষ হয় না।

এভাবে বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অশুভ শক্তির অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা ও সম্পদের পাহাড় পুঞ্জিভূত হচ্ছে।

ধর্ম মানুষকে উন্মাদ করে। আর ধর্মউন্মাদনার শেষ ধ্বংসে।

২.
আমি অনেক মুসলিম দেশে গিয়েছি।
কিন্তু নামাজ পড়ে কপালে ঘা বানানোর কৌশল একমাত্র বাঙালি মুসলমানরাই জানে।

এরা কত ধুরন্ধর!

৩.
আমরা মুসলমান। আমাদের ঈমান - দুই টাকায় কেনা যায়।

মুসলমানদের বিশ্বাস - ফাঁকা বুলি।

আমরা ব্রিটিশ, আমেরিকানদের অধীনে ভাল আছি... ছিলাম... থাকা সৌভাগ্যের মনে করি। ব্রিটিশদের শিক্ষা, বিচার, প্রশাসন, রেলওয়ে ব্যাবস্থা এখনও আমাদের দেশে সেরা।

ক্রুশ আঁকা পাসপোর্ট... আমাদের কাছে সোনার হরিণ।

আমাদের অধিকাংশ যুবক, যুবতী, পুরুষ, নারী এমনকি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বাংলাদেশ নয়... ব্রিটিশ রাণীর অধীনে থাকতে পছন্দ করি।

শুধু আমরা কেন, সৌদি আরবের নারীদেরকে সুযোগ দিন... সোনার মক্কা-মদিনা ...আল্লার আরশ ফাঁকা হয়ে যাবে।

এভাবে পাশ্চাত্যের ভাষা, জীবন, মূল্যবোধ, জ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের কাছে মুসলমানদের অহংকারের নির্লজ্জ পরাজয় প্রমাণিত হয়েছে।

মুসলমান যখন কোনো খ্রিষ্টান, ইহুদি, হিন্দু বা নাস্তিক দেশের কাছে নির্লজ্জের মত আশ্রয় চায়, তখন তাদের অহংকার কোথায় থাকে?

মুসলমানদের অহংকার ও আদর্শ বলে কিছু নেই।

মুসলমানরা কাফের, নাস্তিক, বিধর্মীদের করুণায় বেঁচে থাকা পৃথিবীর অনুন্নত জনগোষ্ঠী।

তারপরও মুসলমানরা আরবীয়দের জীবন ও ধর্মকে শ্রেষ্ঠ দাবি করে। কোনো মুসলমান ইসলাম নিয়ে গর্ব করার আগে এ কথাগুলো মনে রাখবেন, আশা করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন