আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

ইসলামের ধর্ম - যুদ্ধ

লিখেছেন পুতুল হক

মদিনায় ইহুদি বসতি স্থাপনের কমপক্ষে এক হাজার বৎসর পর আরবরা সেখানে যায় বসতি গড়তে। ৪৫০ বা ৪৫১ এডি-তে ইয়েমেনের প্রবল বন্যায় আরবরা বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক শরণার্থী হিসেবে আরব সম্প্রদায়ের লোকেরা মদিনায় জীবন ও জীবিকার সন্ধানে যায়। মদিনা ছিল মূলত ইহুদিদের শহর এবং তাঁরা ছিল ধনী ও শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত। গরীব আরবরা ইহুদিদের কাছে শ্রম বিক্রি করতো। প্যাগান আরবদের চাইতে ধর্মীয় দিক দিয়েও ইহুদিরা নিজেদের উন্নত শ্রেণী মনে করতো। ইহুদিদের মতে তাঁরা ঈশ্বরের "নির্বাচিত"(chosen) সম্প্রদায়। 

মদিনার আরব জাতি মোহাম্মদের আল্লাহকে স্বীকার করে নেয়, কারণ এর ফলে দলিত সম্প্রদায় নিজেদের ইহুদিদের সমপর্যায়ের ভাবতে পারে। নিজেদের হীনমন্যতা কাটিয়ে মদিনার আরব এক মোহাম্মদের নির্দেশ মেনে নেয়। মুসলমানের আল্লাহ মুসলমানদের অসীম এক শক্তি দেয়। তা হচ্ছে - নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবার মানসিক শক্তি এবং শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনোকিছু করাকে বৈধতা দেয়া। নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবার মানসিক শক্তি এবং খুন, লুট আর ধর্ষণের বৈধতা পেয়ে অপ্রতিরোধ্য মুসলমান ইহুদিদের তাঁদের নিজেদের শহর মদিনা থেকে বিতাড়িত করে। 

ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের মনস্তত্ত্ব এমন যে, তারা সব সময় নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবে আর বিধর্মী হলেই তাঁদের খুন, লুট আর ধর্ষণ করাকে বৈধ মনে করে। নামে মুসলমান অর্থাৎ যারা মদ্যপান করে, শুকর খায় কিংবা বিবাহবহির্ভূত যৌনতায় পাপবোধ করে না, তারাও এই মনস্তত্ব থেকে মুক্ত নয়। তাই শত দলে বিভক্ত হবার পরেও মুসলমান প্রায় অর্ধেক পৃথিবী দখল করতে সক্ষম হয়। 

মোহাম্মদের আবিষ্কৃত ইসলামের আর একটি বড় দিক হচ্ছে - ইসলাম ধর্ম শুধু নিজে পালন করলে হবে না, অন্যকেও পালনে বাধ্য করতে হবে। শুধু নিজের দেশে ইসলাম থাকলে হবে না, সারা বিশ্বে ইসলাম চালু করতে হবে।

প্রায় দেড় হাজার বছর আগে পৃথিবীর অবস্থা এমন ছিল যে, যে কেউ নিজেকে সৃষ্টিকর্তার বাণীপ্রাপ্ত নবী বলে দাবি করতে পারতো। কম হোক বা বেশি হোক, তাঁদের প্রত্যেকের একদল অনুসারী তৈরি হয়ে যেত। অন্য কোনো নবী নিজের মতবাদকে সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য বলে দাবি করেননি, করেছিলেন মোহাম্মদ। মোহাম্মদ বুঝেছিলেন, তাঁর প্রতি তাঁর অনুসারীদের বিশ্বাস অটুট রাখতে এমন কিছু মশলা ধর্মের সাথে মেশাতে হবে, যার সুগন্ধ চিরজীবন মুসলমানদের মাতোয়ারা করে রাখবে। আর সেই মশলা হচ্ছে যুদ্ধ। 

যুদ্ধ মানেই সব মানবিক মূল্যবোধ, নীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে যা খুশি তা করার লাইসেন্স পেয়ে যাওয়া। কোনো যুদ্ধই মানবিক হয় না। যুদ্ধ মানেই খুন, ধর্ষণ আর লুট। মোহাম্মদ মুসলমানদের এতো বিস্তৃত লাইসেন্স দিয়েছে যে, তারা শুধু বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ করে না, নিজেরাও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে। 

মাত্র ৪৩ বছর আগে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি বড় প্রমাণ। এতো নির্মমতা, এতো নৃশংসতা কেবল যুদ্ধের সময় সম্ভব। কতো ফাপরবাজ দালাল হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে কিছুদিনের মধ্যেই ধনী হয়ে গেছে সেই সময়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন