আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

মানুষ হও, মানবিক হও

লিখেছেন অপ্রিয় কথা

শোনো, হে ধর্মান্ধের দল। নাস্তিক দেখলেই তোমাদের শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়, তাই না? চাপাতি দিয়ে কল্লা ফেলে দিতে ইচ্ছে করে, ঠিক না? মাথায় খুন চাপে, তাই না? 

তোমরা কি জানো, একজন বিশ্বাসী আস্তিক থেকে নাস্তিক হতে হলে তাকে কতোটা জ্ঞানের পথ পাড়ি দিতে হয়, কতোটা জানতে হয়? তারা রাত জেগে জেগে কতো বই পড়ে, ইতিহাস ঘাঁটে, জানো? অন্য কেউ কীভাবে নাস্তিক হয়েছে, জানি না। নিজের কথা বলতে গেলে বলব, না, আমাকে নাস্তিকতা কেউ বীজমন্ত্রের মতো শিখিয়ে দেয়নি। স্রোতে গা ভাসিয়েও নাস্তিক হইনি। শুধু জানার কৌতূহলের জন্য দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে। নিজেকে কতবার প্রশ্ন করে করে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি। মাথার ভেতর চিন্তার সংঘর্ষে রাস্তাঘাটে হাঁটার সময় পাগলের মতো কতো বিড়বিড় করেছি। এমনকি লোকে পাগল বলে পরিহাসও করেছে। এক মনে বাসে-দোকানে-রিকশায় বই পড়ার সময় কতজন মিটিমিটি হেসে বিদ্রূপ করেছে, তার ইয়ত্তা নেই। শুধুমাত্র জানার ইচ্ছে চিল আমার।

নিজের মগজ ব্যবহার করে, যুক্তি প্রয়োগ করে নাস্তিক হতে হয়। মূর্খ অন্ধের দ্বারা নাস্তিক হওয়া সম্ভবও না। একজনকে নাস্তিক হতে হলে তাকে অনেক প্রথাবিরোধী হতে হয়। পরিবারের ধর্মীয় শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে হয়। কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস ঈশ্বরকে অস্বীকার করতে হয় প্রমাণ নেই বলে। তাকে মানবিক হতে হয়। মানবিক কথাটা এজন্য বললাম, আজ পর্যন্ত কোনো নাস্তিক কোনো ধর্মান্ধকে তার বিশ্বাসের কারণে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে, এমনটা শোনা যায়নি।

তোমরা তো খুব সহজেই বলে ফেলো, নাস্তিক হত্যা জায়েজ। নাস্তিকদের যেখানে পাও, কতল করো। পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করো। ব্যস, হয়ে গেল তোমাদের ইসলামের বিজয়! 

কয়জনকে মারবে তোমরা? অভিজিৎকে হত্যা করে তাঁর মতাদর্শের আগুন নেভাতে পেরেছো কি? অভিজিতের সহপথিক ওয়াশিকুর বাবু আর অনন্ত বিজয় কি থেমে ছিলেন? তাঁরা মৃত্যুর পরোয়া করেছিলেন? 

কোথাকার ১৪০০ বছর আগের পুরোনো ঘুনে ধরা ইসলামের মতবাদকে ঘিরে তোমাদের এতো বড়াই কিসের? এতো অহংকার কিসের? ওখানে জান্নাতের ৭২ হুরের কথা বলা হয়েছে, অফুরন্ত শরাবের নদীর কথা বলা হয়েছে বলে এটা বিশ্বাস করতে হবে তোমাকে? এটাকে সঠিক বলে মেনে নিতে হবে? জান্নাত কি আদৌ কখনো দেখেছো? জান্নাত বলে এই মহাবিশ্বে কিছু নেই বা থাকতে পারে না - সেটা কেন তোমাদের বিশ্বাস হয় না? কোথায় জান্নাত, কোথায় দোজখ, কোথায় হাশরের ময়দান, আজো দেখেছো কি?

তোমরা কেন মুহম্মদের মনগড়া, ভুলে ভরা মতাদর্শের দাসত্ব করবে? কেন তার বিশ্বাসকে তোমরা অনুসরণ করবে? নবীর কুকীর্তিগুলো নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখো, মুমিন, তোমরা নিজেরা কিন্তু মহম্মদের চেয়ে অনেক অংশেই শ্রেয়। তোমরা মুহম্মদের পরগাছা হয়ো না। পারলে নিজে একেকটি গাছ হও। মুহম্মদের চেয়ে অনেক উৎকৃষ্ট। ১৪০০শ বছরের পুরোনো বুলিকে আগলে রেখে নিজেকে আর মুর্খের পরিচয় দিয়ো না। তোমরা মানুষ হও, তোমরা মানবিক হও, তোমরা সভ্য হও, এই যুগে সভ্য হতে না পারলে তোমাদের নিন্দা আর হাসির পাত্র হয়েই থাকতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন