আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫

মাদ্রাসা ও এতিমখানার ডানাভাঙা ফড়িংগুলো

লিখেছেন পুতুল হক

"মাদ্রাসা ও এতিমখানা" - এই নামদুটো শুনলেই চোখে ভাসে, গরীব ঘরের ছোট ছোট ছেলে, শীত-গ্রীষ্মে টেট্রনের ঢোলা পাঞ্জাবি আর পাজামা পরে আধ-ময়লা টুপি মাথায় লোভী লোভী চোখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। এরা বেশিরভাগ সময় খুব নিদারুণ আর কঠোর একটা পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। যদিও দয়াবান (!) মুমিনদের অর্থে এদের থাকা-পরা জোটে, কিন্তু মায়ার স্পর্শ কখনো জোটে না। 

কারো মৃত্যু উপলক্ষে হয়তো একবেলা পেট পুরে গোস্ত-ভাত খায়, তাও হুজুরদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার পর। বাচ্চাগুলো সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে। শুধু পেটের ক্ষুধা নয়, স্নেহ-মায়া-মমতার ক্ষুধা, বিনোদনের ক্ষুধা, আরামের ক্ষুধা, দেখার ক্ষুধা, শোনার ক্ষুধা, একটা ভালো জামার ক্ষুধা... ইত্যাদি আরো কতো রকমের ক্ষুধা এদের রয়ে যায়, কে জানে! 

একেবারে নাবালক অবস্থা থেকে যে-কথা এরা সব চাইতে বেশি শুনে বড় হয়, সেটা হচ্ছে - পরকালের আজাব বা দোজখের শাস্তি। এরপর শোনে বেহেশতী সুখ, তথা নানারকম মজাদার খাবার আর হুরদের দেহসৌন্দর্যের বর্ণনা। লোহার খাঁচায় বন্দী হয়ে পড়ে এদের কল্পনাশক্তি। এদের জীবনের একটাই লক্ষ্য থাকে, তা হলো - কীভাবে দোজখের শাস্তি এড়িয়ে বেহেশতী সুখ লাভ করা যায়। আর কোন বিকল্প চিন্তার কথা এরা জানে না। 

ছোটবেলায় আমার সাথে কয়েকটা দুষ্টু ছেলে খেলতো। ফড়িং-এর ডানা ভেঙে দিয়ে তারা খুব মজা পেতো। এতিমখানার বাচ্চারা সেইরকম ডানাভাঙা ফড়িং। স্বার্থপর আর ধান্দাবাজ মুমিনের দল এসব ডানাভাঙা ফড়িং দেখে আনন্দ পায়। ইহকালে নাম আর পরকালে নামে এরা হাজার হাজার ফড়িং-এর ডানা ভেঙে রাখে।

আমার ছোট খালু কানাডায় খুব বড় চাকুরি করেন। তাঁর গ্রামের বাড়িতে তিনি একা একটা এতিমখানা চালান। এছাড়াও তিনি একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলও গড়েছেন। গরীবের সন্তানদের জন্য এতিমখানা আর ধনী ঘরের শিশুদের জন্য কানাডিয়ান পদ্ধতির ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।

আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন তিনি দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্নধারার শিক্ষার ব্যবস্থা করলেন? একটি বাংলা স্কুল তিনি করতে পারতেন, যেখানে প্রয়োজনের তাগিদে ইংরেজি গুরুত্ব পাবে। সবাই একইরকম যুগোপযোগী শিক্ষার সুযোগ পাবে। খালু বললেন, গরীবের বাচ্চাদের জন্য আধুনিক শিক্ষার দরকার নেই। নিজেদের বাচ্চারা যেহেতু মাদ্রাসায় পড়ছে না, তাই বলে দ্বীনের দায় থেকে তো আর মাফ পাওয়া যাবে না। তাই গরীব যারা, তারা দ্বীন শিক্ষা করে পরকালে তাঁদের জন্য সুপারিশ করুক।

মাদ্রাসা থেকে যারা বের হয়, তাদের অধিকাংশ আমাদের জন্য বোঝাস্বরূপ। তারা জঙ্গি হয়, জিহাদ করে। ডানাভাঙা ফড়িংগুলো এক সময় বোধহীন ভয়ানক জানোয়ারে পরিণত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন