আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ঈশ্বরের অনৈশ্বরিক কর্মকাণ্ড - ১

লিখেছেন সমকোণী বৃত্ত

আমিই পরিশ্রম করে আনি, আমিই খাওয়াই কিন্তু খাওয়া শেষে সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে। মানে - আল্লাহ খাওয়াইল। এটা কি সহ্য হয়? আমি একদিন খাবার না আনলে ত আল্লাহ খাবার নিয়ে আসে না, এবং সেদিন "আলহামদুলিল্লাহ"ও বলা হয় না! আমি এত কিছু করেও খাওয়ানোর কৃতিত্ব পাই না,সব কৃতিত্ব নাকি আল্লাহর। আল্লাই নাকি সকলের খাবারের ব্যবস্থা করেন (সূরা আন-আম, আয়াত ১৫১); খাবারের ব্যবস্থা তিনিই করলে পৃথিবীতে এত মানুষ না খেয়ে মারা যায় কেন? সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষের সময় খাবার নিয়ে ঈশ্বর কোথায় গিয়েছিলেন? আছে কোনো উত্তর?

হ্যাঁ, হয়তো উত্তরে বলবেন, "ওদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।" এ কেমন পরীক্ষা? যে-শিশুর ভাল-মন্দ বোঝার জ্ঞানই হয়নি, সে কিভাবে কী পরীক্ষা দেবে?

একজন মা বেঁচে থাকতে তার শিশুকে না খাইয়ে মরতে দিতে পারে না। এমনও হয়েছে, সন্তানকে দারিদ্র্যের কারণে খাবার দিতে অক্ষম হওয়ায় মা-বাবা কষ্টে নিজেরাই গত হয়ে গেছে। সন্তানও ক্ষুধার যন্ত্রনায় ছটফটিয়ে মারা গেছে। সূরা আনাম-এর ১৫১ নম্বর আয়াত অনুযায়ী ("স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্র্যের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই") দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তানকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন আল্লাহ, কারণ খাবার তিনিই দেন।


আল্লাহ অসীম দয়ালু, তাঁর তুলনায় বাবা-মা'র দয়া নিশ্চয়ই কম। অথচ এই অল্প দয়া নিয়েই সন্তানের কষ্ট সইতে না পেরে তাঁরা মারা গেছেন, আর আল্লাহ অসীম দয়ালু হয়েও একটা শিশুর ছটফটানি সহ্য করেন কীভাবে? অথচ খাবারের দায়িত্ব কিন্তু তিনিই নিয়েছেন। খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত আল্লাহ, অথচ বান্দাকে খাবারের অভাবে মরতে হয়! সেই অকর্মণ্য, অথর্ব, নির্লজ্জ, নিষ্ঠুর আল্লাহকে আমি কীভাবে মনে স্থান দেব দয়ালু ও রিযিকদাতা বলে?

আরেকটা ত্যানা-প্যাঁচানি উত্তর হতে পারে: "অন্যদের পরীক্ষা নিচ্ছেন, অন্যরা খাবার দেয় কি না?''

এই উত্তরও মাঠেই মারা যায়, কেননা আল্লাই বলছেন, রিজিকের মালিক আমরা নই, তিনি। এমনকি মিকাঈল ফেরেশতাও রাখা হয়েছে রিজিকের বন্টনের জন্য। তিনি যার রিজিকে যতটুকু রেখেছেন, ততটুকুই সে পাবে।

তারপরও যদি বলেন রিজিকের ব্যবস্থা করার ক্ষমতা মানুষেরও আছে, তাহলে কুরানের (৬:১৫১) আয়াতের "স্বীয় সন্তানদেরকে দারিদ্র্যের কারণে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দেই" এই অংশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তারপর যদি বলেন, রিজিক আল্লাহই দেন আমাদের উছিলা করে, তাহলেও কথা থাকে যে, আমি আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল নই, আল্লাহই আমার ওপর নির্ভরশীল। কেননা আমি যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার সন্তানের খাবারের ব্যবস্থা করবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার জন্য আল্লাহর অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই। তিনি অসহায়ের মত আমার পানে চেয়ে থাকেন, কখন আমি ব্যবস্থা করবো, আর তিনি রিজিকের কৃতিত্ব নেবেন। এরূপ অসহায়, আমার ওপর নির্ভরশীল আল্লাহর উপাসনা আমি করবো? করবো না।

এর পরেও যদি বলেন, আমার সন্তানকে আমি খাওয়াইনি, আল্লাহই আমাকে দিয়ে খাইয়েছেন (অর্থাৎ আল্লাহর ইচ্ছায় আমি খাইয়েছি) বা আল্লার হুকুমেই আমি আমার সন্তানকে খাইয়েছি, সুতরাং রিজিকের মালিক আল্লাহ; তাহলেও সমস্যা আছে। সেটা হল আল্লাহ যে বলেছেন, "মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন", তা মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়। আল্লাহর কাজে বা আল্লার ইচ্ছা পূরণের জন্য মানুষকে ব্যবহার করলে বা মানুষকে দিয়ে কিছু করালে, তখন সেই মানুষের ইচ্ছাকে আর স্বাধীন ইচ্ছা বলা যায় না। তাই আল্লাহকে রিজিকদাতা হিসেবে আমি মানি না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন