আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

নবীবিবিবিবরণী

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

নবী মোহাম্মদের মোট স্ত্রীর সংখ্যা ছিল ১২ জন। আবার কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে - ১৩ জন। আরব পুরুষদের জন্য অক্সিজেনের অপর নাম নারীসঙ্গ এবং বহুগামী যৌনলালসা। ধার্মিক মুসলমানেরা মনে করে থাকেন, নারী কিংবা বিধবাদের উদ্ধার করতে প্রিয় নবী মোহাম্মদ ডজনখানেক বিয়ে করেছিলেন। মূল ব্যাপারটা আসলে সেটা নয়। সত্য হচ্ছে - তিনিও অন্য দশজন আরব পুরুষের চেয়ে আলাদা ছিলেন না। নারীলোভ ছিল তাঁর শিরা-উপশিরায়।

মোহাম্মদ প্রথম বিয়ে করেছিলেন নিজের চেয়ে বয়সে ১৫ বছরের বড় খাদিজাকে। মোহাম্মদের বয়স ছিল তখন পঁচিশ, আর খাদিজার চল্লিশ। খাদিজা ছিলেন সেই সময়ে আরবের একজন সম্ভ্রান্ত, ধনী এবং প্রভাবশালী নারী। মোহাম্মদ ছিলেন খাদিজার বেতনভুক্ত কর্মচারীদের একজন মাত্র। নিজের অর্থ, বিত্ত এবং সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে ইসলামের শুরুর দিকে মোহাম্মদের পাশে যদি সেদিন খাদিজা না দাঁড়াতেন, তাহলে মোহাম্মদের আর আজকে নবী মোহাম্মদ হওয়া হতো না। তিনি সাধারণ মোহাম্মদই থেকে যেতেন। মোহাম্মদকে সব রকম সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি।

খাদিজার প্রবল ব্যক্তিত্বের কাছে মোহাম্মদ ছিলেন অসহায়। খাদিজা মারা যান পঁয়ষট্টি বছর বয়সে, মোহাম্মদের বয়স তখন পঞ্চাশ। তাঁদের দাম্পত্য জীবন ছিল ২৫ বছরের। এই ২৫ বছর মোহাম্মদ এক স্ত্রী নিয়েই সুবোধ বালকটির মতো সন্তুষ্ট ছিলেন।

খাদিজা মারা যাওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় মোহাম্মদের "অসহায় নারীদের উদ্ধার কর্মসূচি।" কেন, খাদিজা বেঁচে থাকা অবস্থায় কি আরবে কোনো অসহায় বিধবা কিংবা নারী ছিলেন না? খাদিজা মারা যাওয়ার পরপরই কি সব নারী অসহায় হয়ে গেলেন?

খাদিজা মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মোহাম্মদ বিয়ে করেন সাওদাকে। তার কয়েকদিন পর বিয়ে করেন মাত্র ৬ বছর (কারো কারো মতে - ৭ বছর) বয়সের আয়েশাকে। আয়েশা হযরত আবু বকরের মেয়ে। ঐ বয়সে আয়েশার সাবালিকা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। অনেকে বলেন, হযরত আবু বকরের ইচ্ছেতেই এই বিয়ে হয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন মোহাম্মদের সাথে একটা পারিবারিক সম্পর্ক স্থাপন করতে। সেটা তিনি চাইতেই পারেন, কিন্তু ৬ বছরের শিশু আয়েশা তখন বিয়ের কি বুঝতেন? তাঁর কি বিয়েতে সম্মতি ছিল?

বিবি আয়েশা যখন মোহাম্মদের সাথে প্রথম নবী মোহাম্মদের সাথে শয্যায় যান, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। তবুও নবী মোহাম্মদ বলে কথা! নিজের ৯ বছর বয়সের মেয়েকে ৫৪ বছর বয়সী কারো সাথে বিছানায় যেতে হচ্ছে - সেটা একবার কল্পনা করে দেখতে পারেন।

মোহাম্মদ যা করতেন, তা-ই ইসলামে জায়েজ হয়ে গেছে। এরপর থেকেই ইসলামে বালিকাবিবাহ জায়েজ হয়ে গেল। এইতো কিছুদিন আগে ওলামালীগ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, মেয়েদের জন্য যাতে বিয়ের নির্ধারিত বয়স না রাখা হয়। বলুন, আলহামদুলিল্লাহ...

মোহাম্মদের পালকপুত্রের নাম ছিল জায়েদ। জায়েদের জন্য তিনি পুত্রবধূ নির্বাচিত করেছিলেন জয়নবকে। কিন্তু জয়নব চেয়েছিলেন ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকা মোহাম্মদের স্ত্রী হতে। তিনি জায়েদকে সহ্য করতে পারতেন না। পরে জায়েদের কাছে জয়নব তালাক চাইলে জায়েদ তালাক দেন জয়নবকে। এরপর মোহাম্মদ জয়নবকে বিয়ে করে নেন। এক সময়ের পুত্রবধূ হয়ে গেল নিজের বউ।

এরপর থেকেই ইসলামে পালিত কন্যা, তালাকপ্রাপ্ত ছেলের বউ সব বিয়ে করা জায়েজ হয়ে গেল।

নিজের ডজন স্ত্রী থাকার পরেও মোহাম্মদের ডানহাতের অধিকারভুক্ত দাসী-উপদাসী ছিল। এদের একজনের নাম ছিল মারিয়া। মিসরের শাসনকর্তা মুকাউকিস অন্যান্য অনেক উপহারের সাথে এই সুন্দরী খ্রিষ্টান মেয়েটিকে পাঠিয়েছিলেন মোহাম্মদের কাছে। মোহাম্মদ মারিয়াকে বিবি আয়েশার সেবায় নিয়োজিত করেন। একদিন হাফসার ঘরে গিয়ে মোহাম্মদ জানতে পারেন, বিবি হাফসা গেছেন পিতা হযরত ওমরের সাথে দেখা করতে। মারিয়াকে দেখে মোহাম্মদ যৌনাসক্ত হয়ে পড়েন এবং মারিয়ার সাথে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হন। পরে হাফসা তাড়াতাড়ি ফিরে এসে এই দৃশ্য দেখে ফেলেন।

"হে আল্লাহর নবী, আমার বাড়িতে, আমার দিনে এবং আমারই শয্যায়!"

মোহাম্মদের ইচ্ছে হলেই আল্লাহ সেই অনুযায়ী ওহী ডেলিভারি দিয়ে দিতেন!

"(মুহম্মদ) এরপর তোমার জন্য কোনো নারী বৈধ নয় আর তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে নতুন স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, এমনকি যদি তাদের সৌন্দর্য তোমাদেরকে মুগ্ধ করেও। তবে তোমার ডানহাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য নয়।" (সুরা আজহাব ৩৩/৫২)

১২ টি (মতান্তরে ১৩) স্ত্রী থাকার পরেও আল্লাহর রাসুলের জন্য দাসীরও প্রয়োজন পড়েছিল। অতএব আমরা উপসংহারে বলতে পারি, আল্লাহর নবী চারিত্রিক দিক দিয়ে বেশ ভালোই ছিলেন। শিশু, সাবেক পুত্রবধূ, দাসী, উপদাসী কোনোটাই বাদ রাখেননি তিনি নিজের অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য। আর তিনিই নাকি মহামানব!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন