আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

মন্দির ভাঙার মৌসুম এলো

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

ঢাকার সাভারে এবং নীলফামারীতে মন্দিরে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙা হয়েছে। পত্রিকা খুলে পেলাম খবর দুটো।

বাংলাদেশে মূর্তি তো প্রতিদিনই ভাঙা হয়। এখন আর এইসব খবর অফলাইন পত্রিকাগুলোতে আসে না। অনলাইনে পড়তে হয় আমাদের। হঠাৎ "প্রথম আলো" এটা নিয়ে রিপোর্ট করল! ব্যাপার কী?

তারপর মনে পড়ল, কিছুদিন আগে শ্রাবণ গিয়ে ভাদ্র এসেছে। এখন শরৎকাল। সামনে হিন্দুদের দুর্গাপূজা। এইসময় মন্দির, মূর্তি ভাঙার নিউজের কাটতি আছে মোটামুটি। পত্রিকা খুললেই তাই ভেতরের পাতার চিপায় চাপায় দেখতে পাবেন: "গলাচিপা কিংবা ভুরুঙ্গমারীতে দুর্বৃত্তদের মূর্তি ভাঙচুর।"

যখন দেখবেন পত্রিকা ঘনঘন মূর্তি ভাঙার নিউজ ছাপছে, তখন বুঝে নেবেন এখন শরৎকাল, আর সামনে শারদীয় দুর্গোৎসব। শহরে আছি গত প্রায় সাত বছর। শরতের শিউলি ফুল আর দেখা হয় না। গত ছয়-সাত বছর ধরে মূর্তি ভাঙার খবর নিয়মিত দেখলেই বুঝে নিই- এখন শরৎকাল, সামনে দুর্গাপূজা। আমাদের গ্রামে নিশ্চয় শিউলি ফুল ফুটেছে।

ছোটবেলার "বর্ণপরিচয়"-এ পড়তাম: শ - শরতে শিউলি ফোটে।
এখন "বর্ণপরিচয়" বইটা আপডেট করা দরকার: শ - শরতে দুর্বৃত্তরা মূর্তি ভাঙে।

ওহ্ হ্যাঁ, সাভারে এই মন্দিরের প্রাচীর এবং মূর্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তরা হলেন হক এবং হারুন নামের দুই ব্যক্তি। আর নীলফামারীতে এসেছে আজম আলীর নাম। তবে তাদের কিন্তু আপনারা মুসলমান বলতে পারবেন না। মুসলমান মৌলবাদীও বলতে পারবেন না। ইসলামে মৌলবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম বিধর্মীদের দিয়েছে সম্মান! ইসলাম শান্তির কথা...

তারা দুর্বৃত্ত। আর বাংলাদেশও কিন্তু অসাম্প্রদায়িক দেশ।
ঠিক আছে? বুঝতে পেরেছেন?

- ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙেছে কারা?
- উগ্রবাদী হিন্দুরা।
- মিয়ানমারে প্রতিদিন কল্পিত কোটি কোটি (!) রোহিঙ্গা কচুকাটা করছে কারা?
- বৌদ্ধ মৌলবাদীরা।
- বাংলাদেশে মন্দির ভাংচুর ও সংখ্যালঘু নির্যাতন করে কারা?
- error 404. পেইজ নট ফাউন্ড। 

কবি এখানে নীরব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন