আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

শাইতানির রাজিম

লিখেছেন মহিন উদ্দিন আহামেদ উরফে একে জিলানী উরফে তেতুল হুজুর

কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বী গড়ে তুলতে চায় না। 

তবে ব্যতিক্রম শুধু আল্লার বেলায়। তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আবার তিনি ইচ্ছে করলেই সেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুব সহজেই গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে স্বাধীনতা দিয়েছেন তাঁর সৃষ্ট মানবজাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

আবার তিনি তাঁর মানবজাতিকে এই মর্মে হুশিয়ার করে দিয়েছেন, তারা যেন শয়তানের সৃষ্ট বিভ্রান্তিতে পা না বাড়ায়। আর যদি কেউ বাড়ায়, তার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

ওপরোক্ত আলোচনা থেকে দু'টি জিনিস স্পষ্ট বোঝা যায় যে, আল্লার কাছে শয়তান তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের চাইতেও বেশি প্রিয়, কেননা তিনি শয়তানের অপকর্মকে থামিয়ে না দিয়ে একপ্রকার বৈধতাই দিয়েছেন। অপরদিকে শয়তান আল্লাকে খুব ভালো করেই জানেন, আল্লা কেমন। যদি শয়তান আল্লার বন্ধু না হতেন, তাহলে শাস্তির ভয়ে শয়তান কখনোই অপকর্ম করতেন না।

আবার অন্যদিকে ভাবলে দেখা যায়, মহাবিশ্বের সবকিছুই যেহেতু আল্লাপাকের ইচ্ছায় ঘটে, তাহলে শয়তানের অপকর্মগুলোও আল্লার ইচ্ছামত ঘটে। তাহলে দাঁড়ালো: শয়তান = আল্লাহ।

আল্লাহ যে নিজেই শয়তান অথবা শয়তানের পরম দোস্ত অথবা শয়তান আল্লার চাইতে শক্তিশালী, তা আরো বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন ধরুন, এই পর্যন্ত আল্লাপাক যতোগুলো ধর্মগ্রন্থ, এবং লক্ষ লক্ষ নবী-রসুল দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য ছিলো একটাই - মানুষকে শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে রক্ষা করে আল্লার রাস্তায় প্রেরণ করা।

কিন্তু কাজের কাজ কতোটুকু হয়েছে বা হচ্ছে? মানুষ কি শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। হয়নি এবং সেটা বোঝা যায় নবী মুহাম্মদের ভাষ্য থেকেই। তিনি বলেছেন, আমার উম্মাতগন ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে এবং তার মধ্যে শুধু এক ভাগই জান্নাত লাভ করবে, আর বাকী বাহাত্তর ভাগ হবে জাহান্নামী।

এটা তো গেল শুধু মুসলিমদের হিসেব। আরো যে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, ধর্মহীন মানুষ, তাদের নিয়ন্ত্রণও আল্লাপাক এখনো সঠিকভাবে নিজের হাতে তুলে নিতে পারেননি, যতোটা নিয়ন্ত্রন নিয়েছেন মহাশক্তিধর শয়তান।

অর্থাৎ আল্লাপাকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে শয়তানই নিয়ন্ত্রণ করে - শুধুমাত্র এক ভাগ মুসলিম ছাড়া। তাহলে উপসংহারে আমরা তিনটি সিদ্ধান্তে আসতে পারি, যেগুলোর অন্তত

১. আল্লাহ = শয়তান
২. আল্লাহ শয়তানের পরম বন্ধু
৩. শয়তান আল্লার চাইতে শক্তিধর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন