আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

আয়েশার প্রতি অপবাদ - ৩: মুহাম্মদের জবানবন্দি!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১০৪): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – আটাত্তর

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২  > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮ > পর্ব ৮৯ > পর্ব ৯০ > পর্ব ৯১ > পর্ব ৯২ > পর্ব ৯৩ > পর্ব ৯৪ > পর্ব ৯৫ > পর্ব ৯৬ > পর্ব ৯৭ > পর্ব ৯৮ > পর্ব ৯৯ > পর্ব ১০০ > পর্ব ১০১ > পর্ব ১০২ > পর্ব ১০৩

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীরা বানু আল-মুসতালিক গোত্রের ওপর তাদের আগ্রাসী হামলাটি (পর্ব: ৯৭-১০১) সম্পন্ন করার পর মদিনায় ফিরে আসার প্রাক্কালে নবীপত্নী আয়েশা একটি রাতের কিয়দংশ থেকে পর দিন দুপুর নাগাদ পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর যখন সাফওয়ান বিন আল-মুয়াত্তাল বিন আল-সুলামি নামের এক মুহাম্মদ-অনুসারীর উটের পিঠের ওপর সওয়ার হয়ে তাদের সাথে যোগদান করেন, তখন মুহাম্মদ অনুসারীদের অনেকে আয়েশার চরিত্রে সন্দিহান হয়ে তার বিরুদ্ধে যে অপবাদ রটনা করছিলেন, তার কোনোকিছুই বহুদিন যাবত কী কারণে আয়েশার কর্ণগোচর হয়নি; এই ঘটনার প্রায় বিশ দিন পর কখন ও কী পরিস্থিতিতে উম্মে মিসতাহ বিনতে আবু রুহম নামের এক আত্মীয়ার কাছ থেকে এই ঘটনাটি আয়েশা প্রথম জানতে পেরেছিলেন; বানু আল-মুসতালিক অভিযান থেকে ফিরে আসার পর আয়েশার প্রতি তাঁর স্বামী মুহাম্মদের ব্যবহার কেমন ছিল; এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মুহাম্মদের বিশ্বস্ত অনুসারীরাকীরূপ দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় কোন্দলে লিপ্ত হয়েছিলেন; এই অসহায় পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ যখন তাঁর একান্ত বিশ্বস্ত সহচর, চাচাতো ভাই ও জামাতা আলী ইবনে আবু তালিবের পরামর্শ আহ্বান করেছিলেন, তখন আলী তাঁকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন; অবস্থা দুঃসহ আকার ধারণ করার পর মুহাম্মদ তাঁর প্রিয় পত্নী আয়েশাকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন; মুহাম্মদের সেই প্রস্তাব আয়েশা কী কারণে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ও মুহাম্মদকে তিনি কী জবাব দিয়েছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা:  [1] [2] [3]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১০৩) পর:

'আল্লাহর কসম, আল্লাহর নবী যেখানে বসেছিলেন, সেখান থেকে সরে যাবার আগেই তাঁর উপর আল্লাহর তরফ থেকে যা নাজিল হতো, তা নাজিল হয়, তাঁকে পোশাকে আবৃত করা হয় এবং তাঁর মাথার নিচে এক চামড়ার গদি রাখা হয়।

আমার বিষয় হলো এই যে, আমি তা প্রত্যক্ষ করে কোনোরূপ ভীত বা শঙ্কিত হইনি। কারণ আমি জানি, আমি নির্দোষ ও আল্লাহ আমার ওপর অন্যায় আচরণ করবে না। আর আমার পিতা-মাতার অবস্থা হলো: আল্লাহর নবী পুনরায় স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই আমার মনে হয় যে, তাঁরা যেন ভয়ে মরে যাবে এই ভাবনায় যে, লোকেরা যা বলাবলি করছিল, আল্লাহ হয়তো তাইই সুনিশ্চিত করেছে।

অতঃপর আল্লাহর নবী স্বাভাবিক হন ও উঠে বসেন। শীতের দিনে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ার মত তাঁর শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল। তিনি তাঁর কপালের ঘাম মুছতে শুরু করেন ও বলেন, "সুখবর, আয়েশা! আল্লাহ তার ওহী (বাণী) মারফত জানিয়েছে যে, তুমি নির্দোষ।" আমি বলি, "সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।"

অতঃপর তিনি বাইরে তাঁর লোকদের কাছে গমন করেন ও তাদের সম্বোধন করে এই ব্যাপারে (তাবারী: "আমার ব্যাপারে") আল্লাহ যে-ওহী অবতীর্ণ করেছে, তা তাদের উদ্দেশ্যে তেলাওয়াত করেন। তারপর তিনি মিসতাহ বিন উথাথা (Mistah b. Uthatha), হাসান বিন থাবিত (Hassan b. Thabit) ও হামনা বিনতে জাহাশ (Hamna d. Jahsh)-এর ব্যাপারে আদেশ জারি করেন, তারা ছিল এই অপবাদ রটনাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা; তাদেরকে নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী (অর্থাৎ 'আশিটি) বেত্রাঘাত করা হয় (কুরান: ২৪:৪)।

বানু আল-নাজজার গোত্রের কিছু লোকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমার পিতা ইশাক বিন ইয়াসার আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] জানিয়েছেন:

'আবু আইয়ুব খালিদ বিন যায়েদ-এর পত্নী তাকে [আবু আইয়ুব] বলে, "তুমি কি শুনেছ, লোকে আয়েশা সম্বন্ধে কী বলছে?" জবাবে সে বলে, "অবশ্যই, কিন্তু এগুলো মিথ্যা প্রচারণা। (যে অপবাদে আয়েশা অভিযুক্ত) তুমি কি তা করতে পারতে?" তার স্ত্রী বলে, "আল্লাহর কসম, না, আমি তা করতাম না।" সে বলে, "তাহলে! আয়েশা তোমার চেয়ে অনেক ভাল মহিলা।"'

আয়েশা বলেন: 'অপবাদ রটনাকারী ও তা বারংবার প্রচারকারীদের সম্পর্কে কুরান নাজিল হয়, যেখানে আল্লাহ বলেছে:

(২৪:১১) - "যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল।তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি।" - যার মানে হলো হাসান বিন থাবিত ও তার সহকারীরা যারা তা বলেছে। [4]

(২৪:১২)- "তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ইমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ?" - অর্থাৎ, যা আবু আইয়ুব ও তার স্ত্রী বলেছে। 

(২৪:১৫)- "যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল ।"

মিসতাহ ছিল আবু বকর-এর আত্মীয় ও সে ছিল অভাবগ্রস্ত, যে-কারণে আবু বকর তাকে ভাতা প্রদান করে সাহায্য করতেন। যখন আয়েশা ও তার অপবাদকারীর সম্বন্ধে এই আয়াত নাজিল হয়, তখন আবু বকর, বলেন, "আয়েশা সম্বন্ধে মিসতাহ যা রটিয়েছে ও যেভাবে সে আমাদের অনিষ্ট করেছে, এরপর আমি আর কখনোই তাকে কিছু দেব না ও কোনকিছু দিয়ে তাকে আর কখনো সাহায্যও করবো না।"

আয়েশা বলেন, 'তাই এ বিষয়ে আল্লাহ নাজিল করে:

(২৪:২২)- "তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময় ।"
    
আবু বকর বলে, "আল্লাহর কসম, হ্যাঁ, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।" অতঃপর তিনি মিসতাকে যে-ভাতা প্রদান করতেন, তা চালু রাখেন ও বলেন, "আমি কখনোই তাকে এটি দেয়া বন্ধ করবো না।"’

- অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ - লেখক।]

>>> আয়েশার বর্ণিত আত্মপক্ষ সমর্থনের কাহিনীটির কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকায় মুহাম্মদের পক্ষে এই ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই সম্ভব ছিল না। তিনি নিজেও যে আয়েশার চরিত্রে ছিলেন সন্দিহান, তার প্রমাণ হলো:

“এই ঘটনার পর আয়েশার প্রতি মুহাম্মদের অনীহা ও অমনোযোগিতা ও সুদীর্ঘ প্রায় এক মাস যাবত এ বিষয়ে তাঁর নীরবতা, "আল্লাহর রেফারেন্সে" কোনো বাণী বর্ষণ না করা!”

ধারণা করা কঠিন নয়, প্রায় এক মাস যাবত মুহাম্মদ এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছিলেন, সমস্ত ঘটনাপ্রবাহের পর্যালোচনা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি আয়েশার বিবৃতির সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের চেষ্টায় রত ছিলেন। সেই একই কারণে অনিশ্চিত মুহাম্মদ আয়েশাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, "লোকেরা যা বলছে তেমন অপকর্ম যদি তুমি করে থাকো, তবে আল্লাহর কাছে তওবা ও অনুশোচনা করো।" মুহাম্মদ যদি নিশ্চিত জানতেন যে, আয়েশা নির্দোষ, তবে এমন পরামর্শ তিনি আয়েশাকে কেন দেবেন?

কিন্তু যখন বুদ্ধিমতী আয়েশা তাঁর এই পরামর্শ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন ও তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, তিনি যে-অপকর্মটি করেননি, তার জন্য তিনি কখনোই আল্লাহর কাছে কোনো অনুশোচনা বা ক্ষমা প্রার্থনা করবেন না, তিনি ধৈর্যধারণ করবেন ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করবেন (পর্ব: ১০৩), তখন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ নিশ্চিতভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে, আত্মপক্ষ সমর্থনে আয়েশা যে-বিবৃতি দিয়েছে, তা সত্য।  আয়েশার এই নির্ভীক জবাবের পরই আয়েশার চরিত্র নিয়ে তাঁর মনে যে-সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল, তা নিমিষেই হয়েছিল দূরীভূত।

আর যখনই এই ব্যাপারটিতে তাঁর নিশ্চিত প্রত্যয় জন্মেছিল, কোনোরূপ কালবিলম্ব না করেই তিনি তাঁর আল্লাহর নামে রচনা করেছিলেন শ্লোক (পর্ব: ৭০); মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, আয়েশার সেই দৃঢ় প্রত্যয়ের পর, 'আল্লাহর নবী যেখানে বসেছিলেন, সেখান থেকে সরে যাবার আগেই" তিনি তাঁর এই ওহি নাজিল কর্মটি সম্পন্ন করেন।

জগতের প্রায় সকল ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা "আয়েশার প্রতি অপবাদ" উপাখ্যানের আলোচনাকালে একমাত্র যে-লোকটিকে দোষী সাব্যস্ত করেন, তার নাম হলো আবদুল্লাহ বিন উবাই। তাঁরা এই লোকটির নামের আগে "মুনাফিক" উপাধিটি যোগ করতে কদাচিৎ ভুল করেন। ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা (অধিকাংশই না জেনে) প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, আয়েশার চরিত্রে যাঁরা কলঙ্ক লেপন করেছিলেন, তাঁরা সকলেই ছিলেন বিখ্যাত মুনাফিক আবদুল্লাহ বিন উবাই (পর্ব: ৯৮) ও তার সহচর! বিষয়টি যে একেবারেই মিথ্যা, তার প্রমাণ হলো আদি উৎসে বর্ণিত সিরাত, হাদিস ও সর্বোপরি মুহাম্মদের স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ কুরান!

২৪:১১ - "যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল।--”
২৪:১২- "তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ইমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ?"

কারা ছিলেন এই দলে?

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, এই রটনাকারীদের সবচেয়ে সেরা ব্যক্তিরা হলেন, "মিসতাহবিন উথাথা, হাসানবিন থাবিত ও হামনাবিনতে জাহাশ" - মুহাম্মদের আদেশে যাদেরকে ৮০টি করে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল। এই সেরা রটনাকারীদের কেউই আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের সহকারী ছিলেন না!

কী তাদের পরিচয়?

মিসতাহ বিন উথাথা ছিলেন আবু-বকরের খালাতো ভাই (তাঁর মায়ের বোনের ছেলে); হাসান বিন থাবিত ছিলেন মুহাম্মদের সবচেয়ে প্রিয় অনুসারীদের একজন; আর, হামনা বিনতে জাহাশ ছিলেন মুহাম্মদের ফুফাতো বোন (তাঁর পিতা আবদুল্লাহ বিন আবদুল মুত্তালিব এর নিজের বোন উমাইয়ামা বিনতে আবদুল মু্ত্তালিব এর কন্যা)। [পর্ব: ১২]।

আবদুল্লাহ বিন উবাইকে প্রচণ্ড হেয় প্রতিপন্ন করা ও এই ব্যাপারে জড়িত মুহাম্মদের বিশিষ্ট অনুসারীদের অপকর্ম গোপন রাখার জন্যই যে তাঁদের এই প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা, তা বলাই বাহুল্য!

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।] 

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৯৭

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫২৫-১৫২৬ 

[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallal):  কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৪৩৩-৪৩৬

ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ২১২-২১৪

[4] Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ”, ইবনে হিশামের নোট নম্বর ৭৪১ - পৃষ্ঠা ৭৬৮

‘অন্যেরা বলে যে সে ছিল, "আবদুল্লাহ বিন উবাই ও তার সহকারীরা।"’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন