আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

ইছলাম: ধর্মীয় রাজনীতি নাকি রাজনৈতিক ধর্ম? - ৭

লিখেছেন জর্জ মিয়া

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬

বোধ করি, আবু লাহাবের এই মেনে না নেয়ার কারণেই একজন মেষপালক থেকে সে হয়ে ওঠে এক সব ধরনের প্রথা-তথা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নীতিবিদ্রোহী। গ্রাম্য ভাষায় একটা প্রবাদ আছে:, ‘কচু গাছ কাটতে কাটতেই ডাকাতে রূপান্তিরত হওয়া।’ নবী মোহাম্মদের বেলায় এ কথাটা একেবারে শতভাগ প্রযোজ্য। তৎকালীন এই প্রথাবিরোধী মানুষটি ছিলেন সামাজিক দিক থেকে নিচু স্তরের মানুষ। আমি জানি না, নবী মোহাম্মদ তাদের (কুরাইশ) সমগোত্রের হলে কী হতে পারতো। তবে এ কথাটা বলা যায়, সম্ভবত, এই নিচু ‘স্তরের মানুষ’ বলেই কুরাইশদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। অন্য দিক থেকে ভাবলে এ-ও বলা যায়, কুসংস্কারকে পুঁজি করে কুরাইশরা বেদুইন, পৌত্তলিকদের থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের বিপক্ষে দাঁড়ানোতে নবী মোহাম্মদ অবশ্যই প্রশংসাপ্রাপ্ত হতেন, যদি না তিনি নিজেই ব্যবসায়ী বনে গমন করতেন। আমরা ইছলামী গ্রন্থেই ৩৬০ মূর্তির কথা উল্লেখ পাই। এগুলে উচ্ছেদ করে, অচ্ছুৎ ঘোষণা করে তিনি যদি আর এক অলীক ঈশ্বরকে না নিয়ে আসতেন, তাহলে তাকে সে প্রশংসার দাবিদার হিসেবে সাব্যস্ত করা যেতে পারতো। 

আমরা এও দেখি, অনেকেই মুছলিমদের ঈশ্বর আল্লাহর সপক্ষে বলে থাকেন যে, ঈশ্বরের এই নামটি ইছলামের আবির্ভাবের আগে কোথাও ছিলো না। এখানে উল্লেখ্য, উপরোক্ত ৩৬০ মূর্তির মধ্যেই একটা মুর্তি ছিলো, যার নাম আল্লাত। এ ব্যাপারে ইরানে নবী মোহাম্মদকে নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র 'দ্য মেসেজ' (১৯৭৭) দেখে নিতে পারেন, যারা হাদিস-কোরান ঘাঁটতে বিরক্ত বোধ করেন। ইউটিউবে বাংলায় ডাবিং করা পুরো এই ছবিটাই পাবেন আগ্রহীগণ দেখতে চাইলে। এখানেও সেই একই কথা পরিষ্কারভাবেই বলা আছে।

যাই হোক, ধীরে ধীরে নবী মোহাম্মদ তার ইছলামী ঝাণ্ডা দেখানোর কাজ শুরু করেন। কুসংস্কারকে পুঁজি করেই। বলতে গেলে সেই কুসংস্কারকে আরও বেশি গভীরভাবে মানুষের মনে প্রোথিত করেছেন নবী মোহাম্মদ। অনেক স্কলার দাবি করেন এ কথার বিপরীত। নানা গুণে গুণান্বিত করতে চান তাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেটা কীভাবে সঠিক ও সত্য হতে পারে? কিংবা তাদের দাবির ভিত্তিই বা কী?

ব্যাপারটা বুঝতে একটু জন্মের শুরুর দিকে যাওয়া যাক প্রথমেই।
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো। [সুরা বাকারা: ২৩]
এই আয়াতের আল তাবারির মন্তব্যটা একটু দেখে নিই আমরা। “নব্যুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে মক্কায় একবার লোকমুখে কথা রটলো যে, আল্লাহ মোহাম্মদ আন্মে এক ব্যক্তিকে তার প্রেরিত রসুল হিসেবে পাঠাবেন এবং পূর্ব ও পশ্চিমে যা কিছু আছে তার সবই ঐ ব্যক্তির আয়ত্তে আসবে। সে সময় মক্কায় ৪০ জন নারী গর্ভবতী ছিলেন। গর্ভবতী প্রত্যেক মা চাচ্ছিলেন তার শিশু সেই রসুল হোক। তাই শিশু জন্মের সাথে সাথে নাম রাখলেন মোহাম্মদ।”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আল তাবারির এই নবী কাহিনীকে প্রথমে সত্য ধরে নিই। তাহলে বলা যায় যে, আরবের লোকেরা কেন তার নবী হওয়াকে পরবর্তীতে স্বীকার না করে উলটো তার দন্ত মোবারক ফেলে দিলেন? তাড়িয়ে দিলেন আল্লাহর রাসুলকে? কী এমন খারাপ কাজ করেছেন, যার কারণে আরবের শ্রেষ্ঠ পুরুষকে এভাবে পলায়ন করতে হলো? একই যায়গায় আলী দস্তী প্রশ্ন করেছেন এভাবে: মক্কার ইতিহাসে কখনো জানা যায় না যে, ৫৭০ সালে মাত্র ৪০ জন নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং প্রত্যেকেই তার শিশুর নাম রাখেন মোহাম্মদ। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে, সে সময় মোহাম্মদ তার সমবয়সী একই নামধারী চল্লিশজন খেলার সাথী পেয়েছিলেন?

আবার যদি ওপরের ঘটনাকে মিথ্যে বলে ধরে নিই, তাহলেও আছে বিপত্তি! আল তাবারি কোন কারনে এমন মিথ্যে তথ্য লিপিবদ্ধ করলেন? কীই বা তার উদ্দেশ্য ছিলো - নানা গুণে গুণান্বিত? যদি তা-ই হয়, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লার রাসুলকে মিথ্যে কথার ফুলঝুরি দিয়ে কেন গুণান্বিত করতে হবে? তার কি গুণের ঘাটতি ছিলো? নাকি স্বয়ং আল্লাই চেয়েছেন তার রসুলকে মিথ্যে বুলি দিয়ে উপস্থাপন করতে, যা তিনি আল তাবারির মত নবী-জীবনীকারককে দিয়ে সেটা পূরণ করেছেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন