আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

বাঙালির পাকি-চেতনা ও ইসলামী চেতনা এক সুতোয় বাঁধা

লিখেছেন পুতুল হক

ইদানীংকালে পাকিপ্রেমীদের সংখ্যা কি বেড়ে গেছে? নাকি আমিই এতদিন খেয়াল করিনি এদেরকে? কিংবা এরা পরিবেশ পেয়েছে নিজেদের পাকিপ্রেমকে প্রকাশ্যে আনবার? শাহবাগ যখন উত্তাল, তখন অনেককে বলতে শুনেছি, তারা বাংলাদেশের পক্ষে, সব খুনের বিচার চায়, কিন্তু এতোদিন পরে রাজাকারদের ফাঁসি দেবার কী দরকার? এরা নাকি সব বৃদ্ধ হয়ে গেছে। 

কী আজব এই দেশের মানুষ, নিজ দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার চাইতে অক্ষম! ময়লা বর্ণের ছোটোখাটো আকারের বাঙালিদের পাকিদের খুবসুরাত রূপের প্রতি একটা আকর্ষণ সব সময় ছিল। তেমনই দুর্বলতা ছিল উর্দুর প্রতিও। আমি কয়েকটি পরিবারকে চিনি, তাঁরা গর্বের সাথে বলে যে, তাঁদের পরিবারে এখনো উর্দুর চল আছে। 

পশ্চিম-পাকিস্তান পূর্ব-পাকিস্তানকে নীচ নজরে দেখেছে। এদেশের মানুষ, ভাষা, সংস্কৃতিকে ঘৃণা করেছে। অথচ এই আমরা এখনো পাকিস্তানীদেরকে শ্রেষ্ঠতর, মহৎতর ভাবি। বাণিজ্যমেলায় পাকিস্তানী স্টলে আমাদের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে, ওদের দেশের পণ্যের জন্য আমরা কতটা লালায়িত। পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়েছে ঠিকই কিন্তু ওদের প্রতি প্রেম অনেক বাংলাদেশীর মধ্যে প্রবল মাত্রায় বর্তমান। পাকিস্তানের জন্য একটা পজিটিভ এবং শ্রেষ্ঠতর ভাবনা আমাদের মনে গেঁথে দেয়া হয়েছে। ওরা আমাদের চাইতে সুন্দর, উর্দুতে কথা বলে... আহা...

আমাদের কাছে ওদের সবচাইতে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে, ওরা আমাদের চাইতে অধিক মুসলমান। আরবি হরফে উর্দু লেখা হয়। আমাদের পূর্বপুরুষ ছিল চাঁড়াল। আমরা নিম্নবর্ণের হিন্দু থেকে নিম্নবর্ণের মুসলমান হয়েছি। ওরা হচ্ছে খানদানি মুসলমান। ওদের দেশের ক্রিকেটারদের আমরা মাথায় করে নাচি। এদেশের তরুণীদের স্বপ্নে সৌদি প্রিন্সগুলা না এলেও পাকি ক্রিকেটারগুলা হানা দেয়। আজকাল পকিস্তানী চ্যানেল দেখে পাকি খাবার রান্না শেখা হচ্ছে কিছু আশরাফ বাংলাদেশী মুসলমান পরিবারে। কাজেই ওরা আমাদের লাথি দেবে, আর আমরা পশ্চাতের কাপড় তুলে ধরবো। পৃথিবীতে আর কোনো জাত আছে, যারা স্বেচ্ছায়, সানন্দে ও সোৎসাহে অপমানকারীর পা চেটে দেয়? 

পশ্চিম আর পূর্বের দুই ভূখণ্ডকে এক করে যখন পাকিস্তান নামের রাষ্ট্র গড়া হয়, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইংরেজ গভর্নর বলেছিলেন, এই দুই অঞ্চল একসাথে পঁচিশ বছরের বেশি টিকবে না। এর কারণ দুই অঞ্চলের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, জীবনাচার কিছুই মেলে না। মেলে না পোশাক, আহার, স্বভাব। 

তাতে কী! আমরা জোর করে মিল করবো। কাবুলি পরবো, লম্বা কুর্তি পরবো। ওদের চুমোয় চুমোয় ভরিয় দিয়ে বলবো, আমাদের শত জনমের প্রেম কেউ ভাঙতে পারবে না। যতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হোক না কেন, এর চাইতে অনেক বড়, অনেক শক্তিশালী ইসলামী চেতনা। ইসলামী চেতনার মোড়কে আসে পাকিস্তানী চেতনা। ইসলামী চেতনার শেকড়ে সার দিয়ে উর্বরতা বৃদ্ধি করে পাকি-চেতনা মুছে ফেলা কখনোই সম্ভব নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন