আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

দুমুখো মোল্লারা

লিখেছেন সমকোণী বৃত্ত

কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় ইসলামী সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সভার স্থানটা ছিলো মেইন রোডের সাথেই। সভায় অনেক লোকের সমাগম হয়েছিলো। এদের মাঝে ছোট ছেলেমেয়ে সংখ্যাও কম ছিলো না।

সন্ধা সাতটা নাগাদ অদূরের মূল সড়কে দশ বছরের একটা ছেলে সেখানে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মারা যায়। ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তার।

ধর্মীয় সভা তখন শোকে নিস্তব্ধ থাকে। কিছুক্ষণ পর এক বক্তা (আমাদের মসজিদের ইমাম) স্টেজে উঠে বলতে লাগলো, "জন্ম, মৃত্য সব আল্লার হাতে। আল্লার ইচ্ছা হয়েছে, তাকে তুলে নিয়েছে। আল্লার মাল আল্লায় নিয়েছে, এতে আমাদের কারো হাত নেই। চলুন, আমরা আলোচনা শুরু করি..."

এর দু'বছর আগে আমরা আমাদের ক্লাবের সৌজন্যে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। সেদিন সেই অনুষ্ঠানের স্থান থেকে আড়াই কিলো দূরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা যায়। 

তার পরের শুক্রবারে জুম্মার খুতবাতে এই ব্যক্তিই চারিদিক কাঁপিয়ে তুলেছিলেন সেই অনুষ্ঠানের নিন্দা করে। তার বক্তব্য ছিলো, "বেশরিয়তী কাজের জন্যই এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।" বলা বাহুল্য, শুধু তার নয়, অনেক মোল্লার বক্তব্যই এমন।

তো ইসলামী সভার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে একজন দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেছিলো, "এখানে যদি আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে থাকে, তাহলে দু'বছর আগের ঘটনায় যে-ব্যক্তি মারা গিয়েছিলো, সে কি আল্লার মাল ছিলো না? সে যদি আল্লার মাল হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের অনুষ্ঠানের দোষ দিয়েছিলেন কেন?"

তখন এক বিরাট হুলুস্থূল কারবার শুরু হয়ে যায়।

মোল্লারা এখন খুব রেগে আছে। ছেলেটি তো রাগের মাথায় সত্য বলে ফেলেছে, কিন্তু এর পরিণাম তো খুব খারাপ হবে।

ছেলেটিকে নিয়েই চিন্তায় আছি। কবে এমন সময় আসবে, যখন সত্য তুলে ধরলে, কারো ভণ্ডামি তুলে ধরলে কাউকে হেয় হতে হবে না, বরং তাকে সাধুবাদ জানানো হবে?

কেউ কি জানেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন