আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৬

ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ২৯

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

১৪১.
বাংলাস্তানে নিরীহ বাউলদের হত্যা করে কারা? মূর্তি ভাঙে কারা? উস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে ছাই করে কারা? নাস্তিক লেখকদের কুপিয়ে, জবাই করে হত্যা করে কারা? অমুসলিমদের উপাসনালয় ভাঙে কারা, পোড়ায় কারা? বৌদ্ধমূর্তি ভাঙে কারা?

যাদের এত এত অবদান বাংলাস্তানকে পৃথিবীর দরবারে নতুন নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য, তাদেরকে সরকার শুধু লালন-পালন করছে, এসব মহান কাজে উৎসাহ উদ্দীপনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো পুরস্কার দিচ্ছে না কেন?

১৪২.
আল্যা এত আত্মপ্রদক্ষিণরত কেন? তার রচিত কেতাব কুরান জুড়ে তিনি কেবলই আমি-আমি-আমি-আমিই-আমিই-আমিই... করেছেন কেন?

১৪৩.
- নবীজির অনেকগুলি বিবি দাসী ও গনিমত ছিল ছহবত করার জন্য। কিন্তু বড় বিবি খাদিজা ছাড়া আর কারো গর্ভে তিনি বাচ্চা পয়দা করতে সক্ষম হননি কেন?

- খাদিজা মারা যাবার সময় নবীজির বয়স ছিল ৫০ বছর। তারপরই নবীজি বেহিসাবে বিবাহ করতে শুরু করেন এবং দাসী ও গণিমত ছহবত করতে শুরু করেন এতোদিনের অবদমিত কাম চরিতার্থ করার জন্য। অপরদিকে খাদিজা নবীজির আম্মুর বয়েসী ছিলেন বলে ছেলের বয়েসী নবীজির চাহিদা মেটাতে অক্ষম ছিলেন। কিন্তু নবীজি খাদিজার চাকর ছেলে ছিলেন বলে খাদিজার জীবদ্দশায় অন্য কারুর সাথে কামলীলা করার হিম্মত করতে পারেননি। খাদিজা মারা যাবার সময় নবীজির বয়েস ৫০ ছিল এবং তার বলে আর তেমন বল ছিল না বলে এত অগণিত জনের সহিত ছহবত করেও কোনো সন্তান উৎপাদন করতে পারেননি। আহারে!

১৪৪.
শান্তির ধর্মের অনুসারীরা দৈনিক পাঁচবার আজান নামের অশ্রাব্য শব্দদূষণ সৃষ্টি ক'রে শান্তিপ্রিয় জনসাধারণের শান্তি কেড়ে নেয়। বিশেষ করে, শেষরাতে মানুষ যখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকে, তখন অকথ্য অশ্রাব্য স্থূলতম শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে নিদ্রিত নিরপরাধ মানুষের নিদ্রা ভঙ্গ ক'রে পৃথিবীতে দোজগী পরিবেশের অবতারণা করে। এটা শান্তির ধর্মের অনুসারী শান্তিকামীদের দ্বারা সৃষ্ট বোনাস অশান্তি।

১৪৫.
অনেকেই অভিযোগ করে থাকে, আল্ল্যাকে ডেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না, বিপদে আপদে তার কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে কখনো পাওয়া যায় না, দুর্ভিক্ষের সময় খাবার পাওয়া যায় না... ইত্যাদি। কিন্তু আল্যাকে কাবাঘরে চিরগৃহবন্দী করে রেখে তার কাছে সাহায্য চাওয়া ও তাকে ডাকাডাকি করা তো চূড়ান্ত ব্যঙ্গাত্মক ব্যাপার। আল্যা নিজে অসহায়ভাবে বন্দী থেকে অন্য কাউকে কীভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবেন? কোন অপরাধে তাকে বন্দী করে রাখা হলো? তাকে কি কোনোদিন মুক্তি দেয়া হবে না? আল্যার কি কোনো আল্যাধিকার নেই?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন