আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৬

মাদ্রাসা - কুশিক্ষা ও বর্বরতার আঁতুরঘর

লিখেছেন সুবহ মহাপাতক

মাদ্রাসাগুলোকে সন্ত্রাস বানানোর কারখানা বলা চলে, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলো। এগুলো লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন এবং মেধাকে নষ্ট করে দেয়। যে-মেধা দিয়ে একটা ছেলে বা মেয়ে জীবনে অনেককিছু অর্জন করতে পারত, মাদ্রাসায় পড়ে তারা হয়ে যাচ্ছে আলখেল্লা পরিধানকারী বদ্ধমস্তিস্কের বর্বর রোবট। শিখছে, কীভাবে সাধারণ অশিক্ষিত মানুষকে আবোলতাবোল বকে, সাম্প্রদায়িক চেতনার জোয়ার তুলে জঙ্গিবাদের সমর্থক ও সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বানানো যায়। আর কীভাবে টাকা খরচা না করে মুরগি, পোলাও, মাছের দাওয়াত খেতে হয়।

বাংলাদেশে সরকারী মাদ্রাসাগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা তবু এক-আধটু বাংলা-ইংরেজি জানে, বিজ্ঞান বই ঘাঁটতে পারে একটু-আধটু, যদিও আরবিই ওখানে প্রধান বিষয়। কিন্ত কওমী মাদ্রাসার অবস্থা ভয়ানক। ওখানে ইংরেজি-বিজ্ঞানের ছিটেফোঁটা তো নেই-ই, এমনকি বাংলা পর্যন্ত নেই। ওখানে শিক্ষার ১ম থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত সকল কিতাব উর্দু অথবা আরবীতে লেখা। কওমী মাদ্রাসায় পড়তে হলে উর্দু ভাষায় দখল থাকতে হবে। আরবি ভাষায় লেখা কিতাবগুলো পর্যন্ত উর্দুতে অনুবাদ করে পড়তে হয়, বাংলাতে নয়! যেখানে আরবি-উর্দু ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়, সভ্যতার ছোঁয়া যেখানে নেই, সেখানে শিক্ষার কী দশা, কল্পনা করে নিন।


একটা ছেলের হেফজ শেষ করতে লাগে গড়ে প্রায় চার বছর লাগে। ৬১১ পৃষ্ঠার একটা চটি (হাফেজী কোরান) মুখস্থ করতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। হেফজ খানার ছেলেরা হাফেজী শেষ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। ঘুম থেকে উঠতে হয় ফজরের আজানের দেড় ঘন্টা আগে। আবার ঘুমাতে যেতে যেতে রাত এগারটায়। মাঝখানে দু'ঘন্টা ঘুম আর আসর থেকে মাগরিবের মাঝখানের সময় ছাড়া সব সময় পড়া, আতংক আর মাইরের ওপর থাকতে হয়। জেলখানার পরিবেশও এরচেয়ে ঢের ভালো।

এত কষ্ট করে একটা চটি মুখস্থ করে হাফেজী পড়া ঐ ছেলেরা বাস্তবে মূর্খই রয়ে যায়। অ, আ, ক, খ চিনতে পারে না।

হেফজ খানা আর কওমি মাদ্রাসায় হর-হামেশাই শিশুনির্যাতন আর যৌন-নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ মাদ্রাসাগুলোর নিয়মকানুন অত্যন্ত কড়া। ভেতরে কেউ খুন হয়ে হলেও সে খবর চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া যাবে না। সে জন্য সিংহভাগ অত্যাচারের খবরের সমাধি মাদ্রাসার চার দেয়ালের ভেতরই হয়ে যায়। হেফজ খানায় অনেক ছেলেকে জোর করে পড়ানোর জন্য শিকল পরানো হয়। এ মাদ্রাসাগুলো দেশের কোনো উপকারে তো আসেই না, বরং জঙ্গি সৃষ্টি করে সভ্য মানুষদের শান্তিতে ঘুমাতে দেয় না। এ মাদ্রাসাগুলো অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর মগজ ধোলাই করে, মেধা ধ্বংস করে, জীবন আর ক্যারিয়ার নষ্ট করে। এসব মাদ্রাসা মানবতার শত্রু। তাই মাদ্রাসা-শিক্ষা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

1 টি মন্তব্য:

  1. মাদ্রাসা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে মহান আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ হেফজ করান হয়। অনেক সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে বলাৎকার, মারধোর ইত্যাদি খবর শোনা যায়। তবে এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।

    উত্তরমুছুন