আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ইছলামকবলিত দেশে অভিজিৎ হত্যার সুবিচার অসম্ভব

লিখেছেন পুতুল হক

অভিজিৎ রায় হত্যার বিচার এই দেশে হবে - এতো বড় আশা আমি করি না। এটা হচ্ছে সেই বাংলাদেশ, যেখানে রাজাকাররা, যারা আমাদেরই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মেরেছে, তিন লক্ষ নারীর সম্ভ্রমহানী করেছে, জাতীয় নেতা হয়। 

যে-জাতি ইসলামের কারণে বাবার মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খুনিকে, মায়ের রাজাকার ধর্ষককে ক্ষমাই শুধু করে না, পরম আত্মীয়ও মনে করে, সে-জাতি অভিজিৎ রায়ের মত কোনো নাস্তিক, যে কিনা ধর্মহীন এক মুক্তবিশ্বের স্বপ্ন দেখতো আর দেখাতো, সেই অভিজিৎ হত্যার সুবিচার চাইবে, এরকম আশা করার মত জড়বুদ্ধি আমি নই।

এখানকার মানুষ মুক্তমনাদের কতল করে আর যারা মা-বোনদের ধর্ষণ করে, ভাইকে-বাবাকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারে, তাদের শ্রদ্ধার আসনে বসায়। ধর্ষক আর খুনিরাই এই দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখানকার মানুষের মনন, চিন্তা গড়ে ওঠে এদেরই হাতে। এর বাইরে তারা ভাববেই বা কীভাবে? মুসলমান বাবা তাঁর ছেলেকে খুন হতে দিতে পারে, ছেলে তাঁর বাবাকে খুন করতে পারে, যদি তারা ইসলামের বাইরে যায়। এখানে সবার আগে ইসলাম। তাই মুক্তমনাদের খুন হতে হয়। এটাই ইসলামের আদেশ। 

মুসলমান আর যা-ই করুক, কখনো ইসলামের বাইরে যেতে পারবে না। পারবে না তাঁদের নবী আর আল্লাহ্‌র আদেশ এড়িয়ে চলতে। ইসলামী মনীষীদের লেখা ইতিহাস বলে, মোহাম্মদ তার সমালোচনাকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তার উম্মতরা হুমায়ুন আজাদ, অভিজিৎদের হত্যা করে শুধুমাত্র সে নির্দেশের বাস্তবায়ন করে। যে-মুখে ইসলামকে স্বীকার করা হয়, সে-মুখে অভিজিৎ হত্যার বিচার চাওয়া একেবারেই অসম্ভব। 

একজন মুসলমান, যে এক আল্লাহ আর মোহাম্মদকে আল্লাহ্‌র প্রেরিত পুরুষ বলে বিশ্বাস করে, তার মহানবীকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মনে করে, যাকে নির্ভুল, নিষ্পাপ, নিখুঁত মনে করে, নবীপ্রেম যার অন্তরে সদাসর্বদা ১০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে টগবগ করে, সে কীভাবে অভিজিৎ হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নেবে? 

আল্লাহ এবং রাসুলে বিশ্বাস স্থাপনের সাথে সাথে মুসলমান আরও বিশ্বাস করে, সমগ্র পৃথিবীর মালিক আল্লাহ, তাই এক আল্লাহ্‌র আইন ছাড়া অন্য কোনো আইন মেনে নেয়া যাবে না। আল্লাহ্‌র আইন প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে কেয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। কোরআন বা হাদিসে কাফের হত্যার নির্দেশ আছে, কোনো কাফের হত্যার জন্য বিচার চাওয়ার নির্দেশ নেই।

মুসলমান কট্টর হোক বা মডারেট হোক, কোরআনের যে-সমস্ত আয়াতে বা যে-সমস্ত হাদিসে কাফের হত্যার নির্দেশ আছে, সেসবকে ভুল বলতে পারবে না। ধর্মকে গুটি কয়েক পুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ করে নিজেদের ভিন্ন পথে এগিয়ে নেবার সুযোগ মুসলমানদের নেই। কারণ ইসলাম তাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি জীবনাচারে, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত। 

ইসলাম থেকে বের হয়ে যখনই কেউ শ্বাস নেবার চেষ্টা করবে, সেই কতলযোগ্য। আর ইসলামের মধ্যে থাকলে অভিজিৎ হত্যার বিচার চাওয়া যায় না। অভিজিৎকে যে হত্যা করেছে, মুসলমানের কাছে তার বেহেস্তপ্রাপ্তি হয়ে গেছে। মহান আল্লাহ তাঁকে পুরস্কৃত করার জন্য শেষ বিচার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। অভিজিতের খুনির জন্য তার কবর আলোকিত, সুরভিত আর হুরদের দ্বারা সুসজ্জিত হয়ে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন