আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৬

এসো, কোরান তিলাওয়াত করি - ০৪

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)

৮.
আল্লা কৌশল করেন ওদের সাথে এবং ওদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের সুযোগ দেন, সুতরাং ওরা প্ররোচিত হয়। - সুরা বাকারা, আয়াত ১৫ (২:১৫)

আল্লা এই আয়াতে নিজেই স্বীকার করছেন যে, অমুসলিমদের তিনি কৌশল করে অবাধ্য, বিভ্রান্ত এবং প্ররোচিত করেন। সর্বশক্তিমান, দয়ালু ও জ্ঞানী আল্লার কৌশলাক্রান্ত হয়ে মানুষ অবাধ্য, বিভ্রান্ত ও প্ররোচিত হলে তার দায় কার? আল্লার নিশ্চয়। ইসলামী আইনে এই ধরনের প্ররোচনাকারী ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীর শাস্তি কী হওয়া উচিত?

৯.
আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকলে তার অনুরূপ কোনো সুরা নিয়ে আসো এবং আল্লা ছাড়া তোমাদের সাক্ষীদের একত্রিত করো। - সুরা বাকারা, আয়াত ২৩ (২;২৩)

প্রথমত, একবার ভাবুন তো, আইনস্টাইন যদি বলতেন, এই যে, আমি আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেছি। তোমরা পারলে এরকম কিছু আবিষ্কার করে দেখাও তো, বাপুরা! বা যদি রবীন্দ্রনাথ বলতেন, ওহে, আমি তো শেষের কবিতা রচনা করেই ফেললুম। তোমরা কেউ অনুরূপ কিছু রচে দেখাও তো ক্ষ্যামতা থাকিলে!

তাহলে আমাদের তা কেমন লাগতো? না, তাঁরা তা করেননি। কারণ আল্লার মতো হীন মন তাঁদের ছিল না।

দ্বিতীয়ত, আল্লার রচিত সুরার অনুরূপ সুরা রচনা করা কি কোনো ব্যাপার হলো?

যেমন, ১৫ নাম্বার সুরার ১৬ নাম্বার আয়াতে আল্লা লিখেছেন, আমি পৃথিবীকে পাহাড় দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছি। তা নইলে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে হেলে পড়ে যেতো।

অনুরূপ রচনা আমিও রচে দিলুম, "ওহে লোকসকল, আমি মেঘ দিয়ে আসমানকে ঠেকিয়ে রেখেছি। তা নইলে আসমান তোমাদের মাথার ওপর ঠাডা হয়ে পড়ত।"

৫ নাম্বার সুরার ৩৮ নাম্বার আয়াতে আল্লা লিখেছেন, চুরির শাস্তি হিসাবে মানুষের হাতগুলি কেটে ফেলে দাও। সে নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন। 

অনুরূপ রচনা আমিও রচে দিলুম, "নিঃশ্বাস ফেলার শাস্তি হিসাবে মানুষের নাকগুলি কেটে ফেলে দাও। সে নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন।"

আল্লার চ্যালেঞ্জের আরশ-ভাঙা জবাব আমি দিলাম। দেখি, আল্লা এবার কী করেন, কোথায় যান।

১০.
আমি জ্বিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য। (কোরান ৫১:৫৬)

কোরানে সুস্পস্ট প্রমাণ থাকার পরেও নাস্তিক-মুরতাদ-কাফেররকুল জ্বিনে বিশ্বাস করতো না। ওরা বলতো, কুনু জ্বিন নাই। আল্লা কোরানে লিখেছেন, জ্বিন আছে, তিনি নিজের হাতে জ্বিন বানায়েছেন। অথচ নাস্তেকরা বলতো, জ্বিন নাইক্কা। কিন্তু কী অদ্ভুতভাবে আল্লার কথা সত্যি প্রমাণ হয়ে গেল, দেখেন! সেদিন কৌস্তুভ অধিকারী নামের এক নাস্তেক বিজ্ঞানী বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জিন আছে এই পৃথিবীতে। এবং তারা মানুষের শরীর ভেতরেই আছে। শুধু তাই নয়। জিনেরা মানুষের চুল পাকায়েও দেয়।

বেদ্বীনবাণী - ৬৪

একটা সময়ে অস্কার বা গ্র্যামি বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রায় সকলেই ঈশ্বর বা যিশুকে ধন্যবাদ জানাতো। সময় বদলাচ্ছে। কমে আসছে মানুষের ঈমান। সাম্প্রতিকতম অস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র একজন উল্লেখ করেছে ঈশ্বরের কথা। কিয়ামতের আর দেরি নাই।

শেখ'স শপ - ০৩

লিখেছেন শেখ মিলন

৭.
বছর তিনেক আগের কথা। আম্মা জিজ্ঞাসিলেন: 
- নামায পড়িস না ক্যান?
আমি মুচকি হাসিয়া কহিলুম:
- মা গো, তোমার ছেলে অতোটা খারাপ নয় যে, তার মন্দ কাজের লাগি দিনে পাঁচবার আল্লার কাছে ক্ষমা চাওয়া লাগবে...

৮.
আমি ইসলাম ত্যাগ করেছি, কারণ মূর্খ আল্লা ও তার চ্যালা মোহাম্মদ আমায় সস্তা স্বর্গের লোভ দেখিয়েছে। 
জান্নাতে নাকি স্বর্ণমহল অর্থাৎ সোনার তৈরি দালান আর আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র আছে। নিঃসন্দেহে বর্তমান পৃথিবীতে সোনা একটি অন্যতম মূল্যবান ধাতু। তবে... তবে অর্থনীতির একটি বিধি বর্ণনা করে যে, "চাহিদার তুলনায় যোগান বৃদ্ধি পেলে দ্রব্যমূল্য হ্রাস পায়।" স্বর্গ বা জান্নাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ বা ঐ জাতীয় ধাতু পাওয়া যাবে, তাই সেখানে তা অবশ্যই সস্তা ধাতু হিসেবেই গণ্য হবে। এখন আপনিই বলুন, এতো কষ্ট করে স্তুুতিলোভী আল্লার আরাধনা করে সস্তার স্বর্গে কেন যাবো?

৯.
কুরান হল বান্দাদের জন্য প্রভুর চিঠি।
নবী বা রাসুল হল ডাকপিয়ন, ডাকহরকরা বা বার্তাবাহক।
তো  পত্রের সাথে পিয়নের ব্যক্তি জীবনের সম্পর্ক কী?
বান্দাদের প্রতি আল্লাহর লেখা চিঠিতে এই ডাকপিয়নের ব্যক্তিগত জীবনকাহিনী, সুখ-দুঃখ ঠাঁই পেলো কীভাবে?

দৈবাৎ জিহাদের বশে

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

হুদাইবিয়া সন্ধি - ৯: চুক্তি আলোচনা! কুরানে বিগ্যান:(পর্ব-১১৯): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – তিরানব্বই

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী: এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

উসমান ইবনে আফফানের কাছ থেকে স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মক্কা আগমনের উদ্দেশ্য জানার পর কুরাইশরা শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে মুহাম্মদের কাছে কোন তিনজন প্রতিনিধি প্রেরণ করেছিলেন ও তাদেরকে তাঁরা কী নির্দেশ দিয়েছিলেন; এই প্রতিনিধি দলের প্রধান সুহায়েল বিন আমর-কে দেখার পর মুহাম্মদ তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশ্যে কী মন্তব্য করেছিলেন; সুহায়েল এর সঙ্গে মুহাম্মদ পরিবারের সম্পর্ক কী ছিল; চুক্তিপত্র লেখার সময় কী কারণে সুহায়েল আল্লাহ নামর সঙ্গে 'যিনি করুণাময় ও অতি দয়ালু’ ও মুহাম্মদ নামের সঙ্গে 'আল্লাহর নবী' শব্দটি যুক্ত করতে রাজি ছিলেন না - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

মুহাম্মদ ও সুহায়েল তাঁদের শান্তি চুক্তি আলোচনা অব্যাহত রাখেন ও মুহাম্মদের নির্দেশে আলী ইবনে আবু তালিব তা লিপিবদ্ধ করতে থাকেন।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2] [3]

পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১১৮) পর:

‘আল্লাহর নবী বলেন, “লিখো, ‘এটি এই যা মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ একমত হয়েছে সুহায়েল বিন আমর এর সাথে: তারা এই মর্মে রাজি হয়েছে যে, তারা আগামী দশ বছর যুদ্ধ বন্ধ রাখবে যাতে জনগণ সহিংসতা পরিহার করে নিরাপদে থাকতে পারে এই শর্তে যে, যদি কোনো ব্যক্তি তার অভিভাবকদের অনুমতি ব্যতিরেকে মুহাম্মদের কাছে আসে, তবে তিনি তাকে তাঁদের কাছে ফেরত দেবেন;কিন্তু মুহাম্মদের পক্ষের কোনো ব্যক্তি যদি কুরাইশদের কাছে আসে, তবে কুরাইশরা তাকে তাঁর কাছে ফেরত দেবেন না। আমরা একে অপরের প্রতি শত্রুতা (enmity) প্রদর্শন করবো না ও কোনোরূপ গোপন অভিসন্ধি বাপ্রতারণার আশ্রয় নেবো না। যে কোনো ব্যক্তি যদি মুহাম্মদের সঙ্গে সংযুক্ত ও চুক্তিবদ্ধ হতে ইচ্ছা করে, তবে সে তা করতে পারবে এবং যে কোনো ব্যক্তি যদি কুরাইশদের সঙ্গে সংযুক্ত ও চুক্তিবদ্ধ হতে ইচ্ছা করে, তবে সে তা করতে পারবে।’”

বানু খোজা গোত্র তৎক্ষণাৎ সেখানে ঘোষণা করে যে, “আমরা মুহাম্মদের সঙ্গে সংযুক্ত হলাম” এবং বানু বকর গোত্র তৎক্ষণাৎ একই ভাবে কুরাইশদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়, আর যুক্ত করে: “তোমরা এই বছর অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবে ও আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মক্কা প্রবেশ করবে না, আর পরের বছরআমরা তোমার আসার পথ পরিষ্কার রাখবো, তুমি তোমার অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারবে ও সেখানে তিন রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবে। তোমরা আরোহীদের মত অস্ত্র সঙ্গে আনতে পারবে, যেমন খাপের ভেতরে তলোয়ার। তোমরা এর চেয়ে বেশি কিছুই সঙ্গে আনতে পারবে না।”

আল্লাহর নবী ও সুহায়েল যখন এই চুক্তিপত্রটি লিখছিলেন, হঠাৎ সেখানে বেড়ি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে আবু জানদাল বিন সুহায়েল এসে হাজির হয়, সে আল্লাহর নবীর কাছে পালিয়ে এসেছিল।’

(অনুবাদ ও টাইটেল - লেখক।)

ইমাম বুখারী (৮১০-৮৭০ সাল) ও ইমাম মুসলিম (৮২১-৮৭৫ সাল) এর বর্ণনা:

Ø  এই প্রসঙ্গে ইমাম বুখারী (৫:৫৯:৫৫৩, ৩:৫০:৮৯১) ও ইমাম মুসলিমের (১৯:৪৪০৪) বর্ণনা মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২) ওপরে বর্ণিত বর্ণনারই অনুরূপ। [4] [5]

>>> আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ ও সুহায়েল বিন আমর যখন চুক্তির শর্তাবলী নিয়েআলাপ-আলোচনা করছিলেন ও আলী ইবনে আবু-তালিব সেই শর্তাবলী লিপিবদ্ধ করছিলেন, সেই অবস্থায় আবু জানদাল বিন সুহায়েল নামের এক মক্কাবাসী মুসলমান পায়ে শিকল পরিহিত অবস্থায় হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের কাছে এসে হাজির হয়। অতঃপর আবু জানদাল মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের কাছে এই মর্মে সাহায্যের অনুরোধ করেন যে, তাকে যেন পৌত্তলিক মুশরিক (polytheist) কুরাইশদের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। মুহাম্মদ তা করতে রাজি হন, কিন্তু সুহায়েল বিন আমরের হস্তক্ষেপে মুহাম্মদ তা বাস্তবায়ন করতে পারেন না (বিস্তারিত পরের পর্বে)।

ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা গত ১৪০০ বছর যাবত আবু জানদাল-এর এই উপাখ্যানটিকে হুদাইবিয়া সন্ধির প্রতি মুহাম্মদ যে কী পরিমাণ বিশ্বস্ত ছিলেন, তার এক অনন্য উদাহরণ হিসাবে বিশ্ববাসীর উদ্দেশে 'বয়ান' করে আসছেন! এই উদাহরণের মাধ্যমে তাঁরা যে-বিষয়টি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তা হলো এই রকম: 

"আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 'হুদাইবিয়া সন্ধির' প্রতিটি শর্তের প্রতি এতই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, চুক্তি স্বাক্ষরের আগেইকুরাইশদের কাছে প্রতিশ্রুত “যদি কোনো ব্যক্তি তার অভিভাবকদের অনুমতি ব্যতিরেকে মুহাম্মদের কাছে আসে, তবে তিনি তাকে তাঁদের কাছে ফেরত দেবেন--” শর্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আবু-জানদালকে কুরাইশদের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিলেন! তিনি তাঁর ওয়াদা পালনে এতই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, মক্কার কাফেররা পর্যন্ত হুজুরে পাক মুহাম্মদ (সাঃ) কে 'আল-আমিন' উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন (বিস্তারিত: 'এ সেই কিতাব যাতে কোনোই সন্দেহ নেই!' [পর্ব: ১৮]) সুবহান আল্লাহ! সুবহান আল্লাহ!"

ইসলামের যাবতীয় ইতিহাস একপেশে (বিস্তারিত: ‘সিরাত রাসুল আল্লাহ’ [পর্ব-৪৪])তার ওপর আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবত শত সহস্র ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতদের সুবিধাজনক উদ্ধৃতি, বয়ান-বিবৃতি, তথ্য-বিকৃতি ও মিথ্যাচার (বিস্তারিত: "সিরাত এর ‘অ্যানাটমি’ [পর্ব-৪৫])এই সব ইতিহাস থেকে সত্যকে খুঁজে বের করা অত্যন্ত দুরূহ ও গবেষণাধর্মী কার্যক্রম। আর তা খুঁজে বের করার পর তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত আরও বেশি বিপদজনক! পদে পদে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন (persecution) ও যে কোনো মুহূর্তে "সহি ইসলাম" বিশ্বাসী সৈনিকদের হাতে মৃত্যুঝুঁকির বাস্তবতা! ইন্টারনেট প্রযুক্তির আবিষ্কার ও প্রসার না হলে ইসলামের ইতিহাসের এ সকল গভীর অন্ধকার ইতিহাসের বিস্তারিত স্পষ্ট আলোচনা ও প্রকাশ সম্ভব ছিল না।

ইসলামের ইতিহাসে 'হুদাইবিয়া সন্ধি' এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়; আর এই অধ্যায়ের স্বচ্ছ ধারণা পেতে হলে হুদাইবিয়া সন্ধি-পূর্ববর্তী মুহাম্মদের নবী জীবনের কর্মকাণ্ড, (বিস্তারিত: 'হুদাইবিয়া সন্ধি: প্রেক্ষাপট' [পর্ব-১১১]), এই সন্ধির সময় ও সন্ধি পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের গভীর ও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা অত্যাবশ্যক। 'আবু জানদাল বিন আমর' উপাখ্যানের ফাঁকটি কোথায় ও ইসলাম-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা (অধিকাংশই না জেনে) কীভাবে তা সুবিধাজনক (Selective) উদ্ধৃতি, বয়ান-বিবৃতি, তথ্য-বিকৃতি ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে সাধারণ মুসলমান ও অমুসলমানদের বিভ্রান্ত করেন, তার বিস্তারিত আলোচনা আগামী পর্বে করা হবে। The Devil is in the Detail (পর্ব-১১৩)!

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:


[1]“সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫০৪-৫০৫

[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৪৬-১৫৪৮

[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallel): “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬১১-৬১২ http://www.britannica.com/biography/al-Waqidi
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩০১
[4] অনুরূপ বর্ণনা- সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নম্বর ৫৫৩
বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:

‘Narrated By Al-Bara : When the Prophet went out for the 'Umra in the month of Dhal-Qa'da, the people of Mecca did not allow him to enter Mecca till he agreed to conclude a peace treaty with them by virtue of which he would stay in Mecca for three days only (in the following year). When the agreement was being written, the Muslims wrote: "This is the peace treaty, which Muhammad, Apostle of Allah has concluded."

The infidels said (to the Prophet), "We do not agree with you on this, for if we knew that you are Apostle of Allah we would not have prevented you for anything (i.e. entering Mecca, etc.), but you are Muhammad, the son of 'Abdullah." Then he said to 'Ali, "Erase (the name of) 'Apostle of Allah'." 'Ali said, "No, by Allah, I will never erase you (i.e. your name)." Then Allah's Apostle took the writing sheet... and he did not know a better writing... and he wrote or got it the following written! "This is the peace treaty which Muhammad, the son of 'Abdullah, has concluded: "Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him. -------"

সহি বুখারী: ভলিউম ৩, বই ৫০, নম্বর ৮৯১
অনেক বড় হাদিস, এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:
‘---- Then Suhail said, "We also stipulate that you should return to us whoever comes to you from us, even if he embraced your religion."The Muslims said, "Glorified be Allah! How will such a person be returned to the pagans after he has become a Muslim? While they were in this state Abu- Jandal bin Suhailbin 'Amr came from the valley of Mecca staggering with his fetters and fell down amongst the Muslims. Suhail said, "O Muhammad! This is the very first term with which we make peace with you, i.e. you shall return Abu Jandal to me." The Prophet said, "The peace treaty has not been written yet." Suhail said, "I will never allow you to keep him." The Prophet said, "Yes, do." He said, "I won't do.: Mikraz said, "We allow you (to keep him)." Abu Jandal said, "O Muslims! Will I be returned to the pagans though I have come as a Muslim? Don't you see how much I have suffered?"Abu Jandal had been tortured severely for the Cause of Allah.’----

[5] সহি মুসলিম: বই নম্বর ১৯, হাদিস নম্বর ৪৪০৪:
এই পর্বের প্রাসঙ্গিক অংশ:‘--So the Holy Prophet (may peace be upon him) said: Write" From Muhammad b. 'Abdullah." They laid the condition on the Prophet (may peace be upon him) that anyone who joined them from the Muslims, the Meccans would not return him, and anyone who joined you (the Muslims) from them, you would send him back to them. The Companions said: Messenger of Allah, should we write this? He said: Yes. One who goes away from us to join them-may Allah keep him away! and one who comes to join us from them (and is sent back) Allah will provide him relief and a way of escape.’

এক জোড়া পোস্টার


দেশে ইসলামি আইন চাই!

লিখেছেন শুভ্র আহমেদ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেই শুধু চলবে না, দেশে ইসলামি আইন চাই!

১. চুরিতে হাত কাটা, ডাকাতিতে হাত-পা কাটা, খুনের বদলে শিরোচ্ছেদ চালু করতে হবে।
২. গান-বাজনা, নাচ, অভিনয়, ক্রিকেট এসব হারাম জিনিস নিষিদ্ধ। 
৩. মেয়েরা ঘর থেকে বেরোলেই জরিমানা আদায় করতে হবে। 
৪. ছেলেদের জন্য দাড়ি রাখা, টাখনুর উপর কাপড় পরা আর পাঞ্জাবি-পাজামা পরা বাধ্যতামুলক করতে হবে। 
৫. স্কুল-কলেজকে মাদ্রাসায় রূপান্তর করতে হবে। 
৬. ব্লাসফেমি আইন তৈরি করতে হবে। 
৭. পতাকায় সিঁদুরের লাল চিহ্ন মুছে দিয়ে চাঁদ-তারা বসাতে হবে। 
৮. সব ভার্সিটিকে ইসলামি ভার্সিটি বানাতে হবে। 
৯. কনডম-সহ সব ধরণের যৌননিয়ন্ত্রকগুলোর বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করতে হবে। 
১০. গল্প-উপন্যাস নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ এগুলো মিথ্যা বানোয়াট। আর মিথ্যা বলা হারাম। 
১১. মেয়েদের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। 
১২. অমুসলিমদের ওপর জিজিয়া কর আরোপ করতে হবে।
১৩. পাহাড়ি মেয়েদের যৌনদাসী বানাতে হবে। 
১৪. পাহাড়ি শিশুদের গোলাম বানাতে হবে। 
১৫. সব নাস্তিকের শিরশ্ছেদ করতে হবে। 
১৬. ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ, এমনকি ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করতে হবে। এসবে আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়। 
১৭. সব টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করতে হবে। 
১৮. সেনাবাহিনী থেকে সকল মেয়েকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। 
১৯. একাধিক বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত আইন বাতিল করতে হবে। 
২০. সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতে হবে। 
...

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রসঙ্গ

লিখেছেন মহিন উদ্দিন আহামেদ

প্রথমত বলে রাখা উচিত, ভাষা এবং ধর্ম দু'টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

ধর্ম হল কিছু আচার বা রীতির সমষ্টিরূপ, যা মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ করে না এবং তাতে ঐ ব্যক্তির কিছু যায় আসে না, রাষ্ট্রেরও কিছু যায় আসে না। তার মানে ধর্ম সবার কাছে সমান বিষয়বস্তু নয়, কেউ ধর্ম শতভাগ পালন করে, কেউ কদাচিৎ আবার কেউ বা একেবারেই করেনা। তাই ধর্ম পালন অথবা না পালনের বিষয়টা মানুষের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।

অপরদিকে ভাষা এমন একটি বিষয়, যার সাথে মানুষ জন্মগতভাবে সম্পর্কযুক্ত এবং চুক্তিবদ্ধ। একেক জায়গার ভাষা একেক রকম, তাই একটি সদ্যজাত শিশু যেই পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে, জন্মগতভাবে সেই শিশু উক্ত ভাষাকেই গ্রহণ করে এবং সেটা প্রকৃতিগতভাবেই। এতে কারো হাত নেই। মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করার জন্য ভাষার ব্যবহার করে, আর এই ভাষার মাধ্যমেই মানুষ ধর্মচর্চা করতে সমর্থ হয়। তাই ধর্মের প্রচার বা বিকাশের জন্য ভাষা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

অপরদিকে ভাষার প্রকাশ বা বিকাশের জন্য ধর্মের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, ভাষার কাছে ধর্ম গুরুত্বহীন। যেমন ধরুন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে, কারণ তারা জন্মগতভাবে বাঙালি। ধর্ম এই ভাষার ব্যবহারে প্রভাব ফেলতে পারেনি, মুসলমানরা আরবীয়দের ধর্মটাকে গ্রহণ করেছে কিন্তু ভাষাটা তাদের বাংলাই আছে। এবং অনুরূপ প্রক্রিয়াটা বিশ্বে জুড়েই প্রচলিত।

ধর্ম ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারে, সারা বিশ্বে কোটি কোটি ধর্মহীন মানুষ তার প্রমাণ। কিন্তু ভাষা ছাড়া মানুষের চলে না। বোবাও তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভাষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ধর্মের চেয়ে অনেক বেশি। এ কথা আপনি অবশ্যই মেনে নেবেন, যদি না আপনি একজন গোঁড়া ধর্মান্ধ হন।

ভাষার ধর্মের প্রয়োজন নেই, কিন্তু ধর্মের ভাষার প্রয়োজন আছে। তাই নিঃসন্দেহে ধর্মের সাথে ভাষার তুলনা দেওয়াটা একটা বড় বোকামি।

রাষ্ট্রধর্ম ছাড়াও একটি রাষ্ট্র দিব্যি চলতে পারে। নিচের মানচিত্রে ধূসর দেশগুলো রাষ্ট্রধর্মহীন। এসব দেশ কি অচল, স্থবির?

ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া

কিন্তু রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কর্ম সম্পাদন করতে প্রয়োজন নিদেনপক্ষে একটি রাষ্ট্রভাষা বা সরকারী ভাষা। আসলে এখন এ নিয়ে আলোচনাও অর্থহীন। বাংলাদেশ বেছে নিয়েছে ধর্মান্ধতার পথ। বাংলাদেশ এখন একটি ধর্মনিরপেক্ষ ইছলামী দেশ।

হা-হা-হাদিস – ১৬৯

কতো রসময় কথা গুপ্ত আছে হাদিসে!

Narated By 'Abdur-Rahman : "I asked Masruq, 'Who informed the Prophet about the Jinns at the night when they heard the Qur'an?' He said, 'Your father 'Abdullah informed me that a tree informed the Prophet about them.'"

বাতাসে হুরের গন্ধ

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যদি রুদ্র মুহম্মদ (সঃ) শহীদুল্লাহ হতেন, তাহলে তাঁর লেখা বিখ্যাত ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতাটি কেমন হতে পারতো, কল্পনা করেছেন নাস্তিকথন

আজো আমি বাতাসে হুরের গন্ধ পাই
আজো আমি বিধর্মী দাসীর নগ্ননৃত্য দেখি,
কাফির জেনানা ধর্ষণের আহ্বান শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
মমিন কি ভুলে গেছে সেই আদর্শ, সেই নবীর সুন্নাহ?
বাতাসে হুরের গন্ধ ভাসে
জোব্বায় লেগে আছে (বিধর্মীর) রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা জোব্বার গা ছুঁয়ে একদিন যারা পাগড়ি বেঁধেছিলো।
জেহাদি জীবন ছেড়ে তারা খুঁজে নেয় বিজ্ঞানের আঁধার,
আজ তারা নূরহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে আলোর গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আড়ষ্ট কুমারী মরিয়ম,
খিলাফত– এ কি হবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে হিজাবহীনা কুমারীর লজ্জার ফসল?

ইসলামের পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো মালাউন।

বাতাশে হুরের গন্ধ
চাঁদের আলোয় যৌনদাসীর দেহে দুলবে মাংসের তুফান।
জোব্বায় বীর্যের দাগ –
আমলনামায় শুধু জমা হয় জিহাদভীতু মডারেটের ভণ্ডামি 
এ চোখে ঘুম আসে না। সারারাত আমার ঘুম আসে না -
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি হুরদের মধুর চিৎকার,
নরকের গরম তেলে ভাজা মডারেট জিহাদবিমুখ দেহ 
হিজাবহীনা বালিকার ফেরেশতায় খাওয়া বীভৎস শরীর 
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমুতে পারিনা…
পাপের কাফনে মোড়া – মুনকার খেয়েছে যারে, নাকীর খেয়েছে যারে
সে মুরতাদ, সে কাফির, সে যুক্তিবাদী নাস্তিক,
খিলাফত সে আমার – হায়াত হারিয়ে পাওয়া একমাত্র হায়াত –
খিলাফত – আমার জিহাদি ভায়ের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা দাসীর শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত ইসলামের পতাকা।

কিশমিশের পুনরুত্থান


HE DRIED FOR OUR SINS

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

লওহে মাহফুজের সন্ধানে: ক্যাটম্যান সিরিজ - ১৭

লিখেছেন ক্যাটম্যান

মুক্তচিন্তা চর্চা, প্রচার ও প্রসারের কারণে ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গীগোষ্ঠীর নৃশংস হামলার শিকার হুমায়ুন আজাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় ও ফয়সল আরেফিন দীপন সহ নিহত ও আহত সকল মুক্তচিন্তকের স্মরণে এই লেখাটি অপরিমেয় ভালোবাসার স্মারক স্বরূপ নিবেদন করছি।


মজার বিষয় হলো, বাইবেলে বর্ণিত মূসার পরমেশ্বর দর্শনের উক্ত গল্পটি মুহম্মদ তার প্রণীত আল-কুরআনে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যা নিম্নরূপ:
অতঃপর মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলো এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন তখন সে আকূল আবেদন জানালো, ‘হে প্রভু! আমাকে দর্শনের শক্তি দাও, আমি তোমাকে দেখবো।’ তিনি বললেন: ‘তুমি আমাকে দেখতে পারো না। হ্যাঁ, সামনের পাহাড়ের দিকে তাকাও। সেটি যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাহলে অবশ্যি তুমি আমাকে দেখতে পাবে।’ কাজেই তার রব যখন পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেলো। সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে মূসা বলল: ‘পাক-পবিত্র তোমার সত্তা। আমি তোমার কাছে তাওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম মুমিন।’ [সূরা আল আরাফ: ১৪৩]
উক্ত আয়াতে মুহম্মদের প্রতারণামূলক বর্ণনাটি বাইবেলের তুলনায় আরও এক কাঠি সরেস। কারণ মুহম্মদ ঈশ্বর-দর্শনের বিষয়টি অসম্ভব প্রমাণের জন্য উক্ত আয়াতে মূসার তুলনায় অধিক মাত্রায় রং চড়াতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাইবেলের ওপরোক্ত বর্ণনার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে মুহম্মদও তার প্রণীত আল-কুরআনে প্রাসঙ্গিক আয়াত অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বাইবেলীয় বর্ণনায় মূসার আবেদনের প্রেক্ষিতে পরমেশ্বর তাকে যা বললেন তা নিম্নরূপ:
প্রভু বললেন, ‘দেখ, আমি এক সন্ধি স্থাপন করি: তোমার গোটা জনগণের সামনে আমি এমন কতগুলো আশ্চর্য কর্মকীর্তি সাধন করব, যার মত কোন দেশ বা কোন জাতির মধ্যে কখনও সাধন করা হয়নি; যে সমস্ত লোকের মাঝে তুমি বসবাস করছ, তারা দেখবে প্রভু কিনা সাধন করতে পারেন, কেননা তোমার সঙ্গে আমি যা করতে যাচ্ছি, তা ভয়ঙ্কর! আমি আজ তোমাকে যা আজ্ঞা করি, তাতে বাধ্য হও। দেখ, আমি আমোরীয়, কানানীয়, হিত্তীয়, পেরিজীয়, হিব্বীয় ও যেবুসীয়কে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব। [যাত্রাপুস্তক ৩৪: ১০-১১]
বাইবেলের উক্ত বর্ণনার ধারাবাহিকতায় আল-কুরআনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:
বললেন: হে মূসা! আমি সমস্ত লোকদের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে তোমাকে নির্বাচিত করেছি, যেন আমার নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করতে পারো এবং আমার সাথে কথা বলতে পারো। কাজেই আমি তোমাকে যা কিছু দেই তা নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। এরপর আমি মূসাকে কতকগুলো ফলকে জীবনের সকল বিভাগ সম্পর্কে উপদেশ এবং প্রত্যেকটি দিক সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ লিখে দিলাম এবং তাকে বললাম: ‘এগুলো শক্ত হাতে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং তোমার জাতিকে এর উত্তম তাৎপর্যের অনুসরণ করার হুকুম দাও। শীঘ্রই আমি তোমাদের দেখাবো ফাসেকদের গৃহ।’ [সূরা আল আরাফ: ১৪৪-১৪৫]
উক্ত আয়াতে দশ আজ্ঞাবিশিষ্ট প্রস্তরফলকের কথা বলা হয়েছে। সেই দশ আজ্ঞা, যার প্রতি মূসাকে বাধ্য হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বাইবেলে; আর আল-কুরআনের উক্ত বর্ণনায় আজ্ঞাবিশিষ্ট প্রস্তরফলকগুলোকে শক্ত হাতে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরার এবং মূসার জাতিকে উক্ত ফলক ও ফলকে লিপিবদ্ধ আজ্ঞাসমূহের উত্তম তাৎপর্য অনুসরণ করার হুকুম দেয়া হয়েছে। 

আর বাইবেলের বর্ণনায় আমোরীয়, কানানীয়, হিত্তীয়, পেরিজীয়, হিব্বীয় ও যেবুসীয় বলে যে জাতিসমূহকে তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, আল-কুরআনে উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ‘শীঘ্রই আমি তোমাদের দেখাবো ফাসেকদের গৃহ।’

(চলবে)

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৪৫

মৌসুমি বিপ্লবী ও সিলেক্টিভ মানবতাবাদীরা

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

তনুর নাম সোহাগী জাহান তনু না হয়ে যদি তনু দাশ কিংবা তনু চাকমা হতো, তাহলে আর এতো প্রতিবাদ হতো না। তখন বিপ্লবীদের ইন্ডিয়া আর বার্মাতে কতজন মুসলিম মেয়ে ধর্ষিত হলো, সেই হিসেব করতে দেখা যেতো। ইতরদের সাথে তুলনা করে নিজেকে ইতর বানানোর ইচ্ছে নেই। তনু হত্যার বিচার চাই, আর এই মৌসুমি বিপ্লবীদেরও মানসিক রোগের মুক্তি চাই। অনেকেই বলবেন, আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি। আন্দোলনের মাঝেও ধর্ম টানছি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু প্রমাণ হাতেই আছে, একদম টাটকা, তরতাজা।

এই কিছুদিন আগেই পাবনায় এডওয়ার্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ক্ষমতাশালী ধর্ষকদের প্রভাবে উল্টো এখন মেয়েটিরই পরিবার বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। থানাও মামলা নেয় নি। কেন জানেন তো? অসাম্প্রদায়িক দেশ হিন্দুদের ধর্ষণের মামলা নেয় না। নিলেও অভিভাবককে সাত ঘাটের জল খাইয়ে তারপর নেয়। আগেই 'বার্তা' দিয়ে দেয়, মামলা নিয়েছি দয়া করে। বিচারের আশা করার বোকামি করো না, খোকা। রাস্তা মাপো; ঢাকা-টু-কোলকাতা ট্রেইন আছে কিন্তু।... প্রতিবাদ কোথায়?

এই মাত্র দু'দিন আগে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে এক হিন্দু পরিবারের মাত্র ১৩ বছরের বালিকাকে অস্ত্রের মুখে বাবাকে বন্দী করে তার বৃদ্ধ বাবারই সামনে ধর্ষণ করেছে দুইজন সন্ত্রাসী।... প্রতিবাদ কোথায়?

কুমিল্লার কুড়িগ্রামে সুচিত্রা নামের এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের ছয়দিন পর তার লাশ পাওয়া যায় এই মাত্র কিছুদিন আগেই। তারপর মাস পেরিয়ে গেলেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেয়নি হাসপাতাল। মামলা নেওয়া তো পরের ব্যাপার, থানা একটা সাধারণ ডায়েরিও নেয়নি। উল্টো এলাকার প্রভাবশালী মহলের চাপে মেয়েটির দিনমজুর বাবার বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপ্রু মারমা, ছবি মারমা, মোনালিসা নংপ্রট, সবিতা চাকমা এবং আরও অসংখ্য আদিবাসী মেয়েদের যখন ধর্ষণের পর গলা কেটে, জবাই করে, ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল, তখন আমাদের বিবেক কোথায় ছিল? এই গণজাগরণ, এই প্রতিবাদ কোথায় ছিল? তখনও গণজাগরণ মঞ্চ ছিল। কোথায় ছিল লং মার্চ? একের পর এক সভা, ব্যানার, মানবতা, প্রসেশন?... কারণ তখন পাবলিকের হাইপ ওঠেনি। তাই কোনো নেতার সেই 'জন-জোয়ারকে' গ্রিপ করে নিজের আয়ত্তে আনার প্রয়োজন পড়েনি। আজ সারাদেশের মানুষ জেগেছে। এই জন-জটলাকে মিস করার মতো বোকামি করার কোনো অর্থই হয় না। তাই দিয়ে দাও একের পর এক কর্মসূচী।

কিছুদিন আগে রাজবাড়ীর পাংশায় আদিবাসী মা-মেয়েকে একই সাথে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এক আদিবাসী তরুণীকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তখন কোথায় ছিলো প্রতিবাদ?... চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে নিজের মেয়ে ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে যখন আদিবাসী অলিন্দ ত্রিপুরা আত্মহত্যা করেছিলেন, তখন কোথায় ছিলো এতো প্রতিবাদ?... সবিতা চাকমার ছোট্ট মেয়েটি যখন 'আমার মায়ের ধর্ষকদের, খুনিদের বিচার চাই' পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, সেই ছবি দেখেও কেন আপনার মানবতা জাগে না? তখন এই প্রতিবাদ স্পৃহা কোথায় থাকে?

সবসময় আদিবাসী বা সংখ্যালঘু কেউ ধর্ষিত হলে এড়িয়ে যাবেন। চুপ চুপ! দেশের মান-ইজ্জত, ভাবমূর্তি একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে এসব প্রচারমাধ্যমে এলে। সমতলের কোনো সংখ্যালঘু অমুসলিমকে যখন ধর্ষণ করা হয়, যখন ধর্ষিতার পরিবার থেকে মামলা করতে চাইলেও অসাম্প্রদায়িক সরকারের (!) আমলে মামলাটি পর্যন্ত নেওয়া হয় না, উল্টো ধর্ষকেরা বুক ফুলিয়ে দম্ভের সাথে ঘোরাফেরা করে, ধর্ষিতার পরিবারকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় নিজেদের বাকি মেয়েগুলোকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে।... তখন কোথায় থাকে এত প্রতিবাদ? নারীর প্রতি এত সহানুভূতি? এত লংমার্চ, এত রোডমার্চ?

তনুর ব্যাপারটিতে সোচ্চার হওয়ার কারণ ৩টা: ১) তনুর অনেক সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব এবং তনুর কলেজ 'কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের' শিক্ষার্থীরা ফেইসবুকে সক্রিয়। তাঁদেরই আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আজকের এই আন্দোলন। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ২) তনু ধর্ষিত এবং খুন হয়েছেন ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। ৩) এবং অপ্রিয় হলেও সত্যি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে - তনু হিজাব পরিহিতা। এটার জন্য তনু এদেশের মানুষের একটা অতিরিক্ত সহানুভূতি পেয়েছেন। অনেকে হয়তো দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়ে বলছে, "ইশ, অমন হিজাব পরিহিতা মেয়েটিকেও কিনা ধর্ষণ করে খুন করা হলো!"

অসংখ্য ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের দেশে। সব ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় হয়তো সবার নেই। এই নিয়ে কোনো অনুযোগ করছি না আমি। কিন্তু শুধুমাত্র সংখ্যালঘু কিংবা আদিবাসী হওয়ার কারণে এই ঘটনাগুলোকে পত্রিকায় আসতে না দেওয়া, এলেও সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করা, এড়িয়ে যাওয়া, নীরব থেকে, 'তারা গণিমতের মাল এবং তাদের ধর্ষণ করাটা যুক্তিযুক্ত' লিখে ফতোয়া দেওয়া মানুষদের বিরুদ্ধে যখন আজকের এই প্রতিবাদী গোষ্ঠীকে নীরব থাকতে দেখা যায়, তখন তনুর জন্য এই মৌসুমি বিপ্লবীদের প্রতিবাদগুলোকে এক ধরনের 'হিপোক্রিসি' ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। গণিমতের মাল বলে বলে একটু একটু করে এগিয়ে দেওয়া অপরাধীদের অপরাধের বিচার নিয়ে তাই আজকে যখন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি, তখন আসলেই ভাবি আসলেই তারা অনুভব করতে পারে একটা ধর্ষিতা মেয়ের কষ্ট? সে সংখ্যালঘু হোক কিংবা আদিবাসী কিংবা তনু।

আমি মনেপ্রাণে চাই, তনু হত্যার বিচার হোক - অন্তত একটা অপরাধের তো বিচার হবে। তার জন্য কিছু ফায়দালোভী নেতাকেতা, কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন সুবিধা আদায় করলেও করুক। তাতেও যদি একজন নির্যাতিতার পরিবার, একজন অসহায় মেয়ে হারানোর পরিবার বিচার পান। শুধু বাংলাদেশ নয়, এই পৃথিবীর সমস্ত নির্যাতিত এবং বঞ্চিতদের সাথেই আছি সবসময়।

নূহ নবীর নাও


রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

ইস্টার বিষয়ে বিস্তর বিভ্রান্তি

যে কোনও ধর্মগ্রন্থ মানেই পরস্পরবিরোধী বাণীর খনি। এই যেমন, বাইবেল (শব্দটিতে এ-কারের বদলে আ-কার বসাতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলাম) নামের ঐশী কিতাবে পরস্পরবিরোধিতার সংখ্যা কতো, কে জানে! তবে একটি সাইটে ১০০০ টি অসঙ্গতি উল্লেখ করা আছে। অবাক হবার কিছু নেই। আদিম কালের মরু-মেষচালকদের রচনা তো এমনই হবার কথা। 

বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টে সর্বমোট বইয়ের সংখ্যা সাতাশ। তার মধ্যে চারজন লেখকের (মথি, মার্ক, লুক, জন) রচিত চারখানা বইয়ে বর্ণিত হয়েছে যিশুর জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের গালগল্প। সেগুলোকে বলা হয় গসপেল ('গসিপ' বললে যথার্থ হতো, কারণ সবই শোনা কথার ভিত্তিতে লেখা), যার অর্থ - শুভ সংবাদ। বাংলা বাইবেলে এই বইগুলোর নাম - মথি লিখিত সুসমাচার, লুক লিখিত সুসমাচার... ইত্যাদি।

তো এই চার লেখকের দেয়া অনেক তথ্যই বিস্তর বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। এসবে ইস্টার অর্থাৎ মৃত্যুর পরে যিশুর আবার জীবিত হবার ঘটনা সংক্রান্ত বিবিধ তথ্যভিন্নতা বিষয়ে চমৎকার একটি নিবন্ধে চোখ বুলিয়ে নিন। কয়েকটি উল্লেখ করা যাক:

১. স্থাপনের আগে ক্রুশটি বহন করেছিল কে?
   (তিন লেখক বলছে - সাইমন, চতুর্থজন লিখছে - যিশু)

২. ক্রুশের ওপরে কী লেখা ছিলো?
   (চার লেখক দিয়েছে চারটি ভিন্ন ভার্শন)

৩. যিশুর সর্বশেষ বাণী কী ছিলো?
   (চারজন উদ্ধৃত করেছে তিন রকম বাণী)

৪. রোববারে মেরি মাগদালিনের সঙ্গে কে কে গিয়েছিল সমাধিস্থলে?
   (চার লেখকের চার ভার্শন)

৫. মেরি মাগদালিন কোন সময়ে সমাধিস্থলে গিয়েছিল?
   (চারজনের কথায় মিল নেই)

৬. সমাধিস্থলে গিয়ে মেরি মাগদালিন (ও তার সঙ্গী/সঙ্গীরা) কী দেখেছিল?
   (চার লেখক লিখেছে ভিন্ন ভিন্ন কথা)

৭. মেরি মাগদালিন (ও তার সঙ্গী/সঙ্গীরা) কি কবরে ঢুকেছিল?
   (তিনজন 'হ্যাঁ' লিখলেও একজন লিখেছে 'না')

...ইত্যাদি।

ইস্টার পোস্টার-কার্টুন-ছবি

বাইবেল নামের ফিকশনে উল্লেখিত কাল্পনিক চরিত্র যিশু ক্রুশবিদ্ধ হবার তিনদিন পর নাকি আবার জীবিত হয়ে ওঠে। তার সর্বক্ষমতাময় বাপ কেন যে তাকে মরতে দিয়েছিল, আবার পরে বাঁচিয়েই বা তুলেছিল কেন, কে জানে! খ্রিষ্টধর্ম মতে, সে মরেছিল তার অনুসারীদের পাপের ভার নিয়ে। তার অনুসারীদের সঙ্গে এই ছিলো তার চুক্তি। কিন্তু তা-ই যদি হবে, তাহলে আবার জীবন্ত হয়ে উঠে সে কি চুক্তি লংঘন করলো না?

ইস্টার সংক্রান্ত ৯ টি কার্টুন-পোস্টার-ছবি দেখতে নিচের থামনেইলগুলোর ওপরে একের পর এক ক্লিক করতে হবে। 

ইছলামী ইতরামি

আইসিস কীর্তি: ১. বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এয়ারপোর্টে ৩১ জনকে হত্যা; ২. ইরাকে ফুটবল স্টেডিয়ামে ২৯ জনকে হত্যা; ৩. ইয়েমেনে ২২ জনকে হত্যা; ৪. কোরান হাদিসের নির্দেশ মেনে ইছলামত্যাগী কিশোরের শিরশ্ছেদ; ৫. আল্যার ওয়াস্তে ৩১ হাজার নারীকে গর্ভধারণ করানো; ৬. হয়তো এ কারণেই অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ চালানোর লক্ষ্যে কোরান অনুমোদিত যৌনদাসীদেরকে জোর করে ইছলাম অননুমোদিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ানো; ৭. খ্রিষ্টধর্মীয় অসংখ্য বই পোড়ানো; ৮. ইরাকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জনকে হত্যা; ৯. জিহাদ ইছলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ - কথাটায় কোনও ভুল আছে? নেই। ঠিক সেটাই বলা হয়েছে তাদের ভিডিওতে।

অন্যান্য ইছলামী হত্যাকাণ্ড: ১০. সোমালিয়ায় ৭৩ জনকে হত্যা; ১১. ফাকিস্তানে বাসে বোমা বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত; ১২. নাইজেরিয়ায় মসজিদে নারী-আত্মঘাতী বোমারুর হামলায় নিহত ২২ জন; ১৩. আইভরি কোস্টে নিহত ১৬ জন; ১৪. সোমালিয়ায় গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত; ১৫. ফাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৪ জন

অভিবাসী ইতরামি: ১৬. ইতালির এক মসজিদের অভিবাসী-ইমাম অভিবাসীদের বলেছে, আল্যা কাফেরহত্যার নির্দেশ দিয়েছে; ১৭. জার্মানিতে তিন কিশোরীকে তাড়া করেছিল ৩০ মুছলিম অভিবাসীর একটি দল; ১৮. আর অন্য দুই অভিবাসী জার্মানির ওয়াটার পার্কে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল; ১৯. সুইডেনে ইছলামী ক্রীড়া তাহার্রুশের শিকার এক মেয়ে জানিয়েছে, "তারা আমাকে 'সুইডিশ বেশ্যা' বলে গালি দিয়ে রেজর ব্লেডের সাহায্যে আমার স্তন কেটে ফেলে।"; ২০. জার্মানিতে আইসিস-এর ঘোর সমর্থক ১৫ বছরের মুছলিম অভিবাসী জেনানা পুলিশকে ছুরিকাঘাত করেছে; ২১. ব্রিটেনে সোমালিয়ার ৩৪ বছর বয়সী এক অভিবাসী মুছলিম "সাংস্কৃতিক বিভিন্নতার কারণে" জানতো না, যৌননির্যাতন এ দেশে যায়েজ নয়; ২২. সুইডেনের একটি শহরে অভিবাসীদের যৌন-আক্রমণের আশঙ্কায় পরিকল্পিত 'আর্থ আওয়ার" (এক ঘণ্টা বাতি বন্ধ রাখা) বাতিল করা হয়। 

ব্যর্থ জিহাদ: ২৩. মালয়েশিয়ার ১৫ জন শান্তিকামী মুছলিমের শান্তি বিস্ফোরণের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে পুলিশ; ২৪. ব্রিটেনের ২ শান্তিকামী মুছলিম ছাত্রও ব্রিটেনের পথে পথে শান্তি বর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল; ২৫. ফ্রান্সকে শান্তিতে মুড়ে দিতে চেয়েছিল ৪ মুছলিম; ২৬. জেনানারাই পিছিয়ে থাকবে কেন - ফ্রান্সের ৪ মুছলিম কিশোরী কনসার্ট হলে হামলার পরিকল্পনা করেছিল; ২৭. ডেনমার্কে দু'টি স্কুলে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল এক নব্য মুছলিমা কিশোরী; ২৮. "গাড়িভর্তি বিস্ফোরক নিয়ে আমি হামলা করবো কাফেরদের ওপরে" - ইতালির মুছলিম অভিবাসীর খায়েশ।

২৯. ফাকিস্তানে জঙ্গির জানাযায় মাত্র ১০ লাখ শান্তিকামী মুছলিম উপস্থিত হয়েছিল।

৩০. এক জঙ্গিকে হাজার হাজার ডলার পাঠিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬ বছরের স্কুলবালিকা।

৩১. ধর্মপ্রাণ মুছলিম হয়ে ফেসবুকে খ্রিষ্টানদেরকে 'হ্যাপি ইস্টার' বলার অপরাধে তাকে হত্যা করেছে আরেক মুছলিম।

৩২. "আমি এক ইহুদিকে হত্যা করেছি, কারণ আল্যা সেই নির্দেশ দিয়েছে" - নিশ্চয়ই কোরানে ইহুদিবিদ্বেষী অসংখ্য আয়াতের বরাত দিয়ে এ কথা বলেছে উরুগুয়ের এই মুছলিম। 

৩৩. আল্যার নামে দুই কানাডীয় সৈন্যকে ছুরিকাহত করেছে এক খাছ মুছলিম। "আল্যার নির্দেশে আমি এ কাজ করেছি। আল্যা আমাকে বলেছে এখানে এসে মানুষহত্যা করতে," বলেছে সে।

৩৪. ইছলামে জোরজবরদস্তি বলে কিছু নেই, তবে অপহরণ করে মুছলিম বানানো যায়েজ। ১৪ বছরের খ্রিষ্টান বালিকার ঘটনা

৩৫. হয়তো নবীজিরে পাগলা কুত্তা কামড়াইসিল বলে ইছলাম কুকুর একটি অপবিত্র প্রাণী। তাই কুকুরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে হল্যান্ডের মুছলিম রাজনৈতিক নেতা।

৩৬. কোরান-হাদিসে স্পষ্ট করে বলা আছে, ইছলাম ত্যাগ করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অতএব ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানকে "আল্লাহু আকবর" ধ্বনি তুলে কুপিয়ে হত্যা করা ফরজ, হালাল ও ছওয়াবের কাজ। বাংলাদেশের এই ঘটনাটির সঙ্গে আইসিস-এর সংশ্লিষ্টতা আছে। এ দেশেই এক শিয়া হোমিও ডাক্তার হত্যাকাণ্ডের দায়ও নিয়েছে আইসিস। 

৩৭. ইছলাম জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না, আর তাই মুুছলিম জঙ্গির প্রশংসা করেছে স্কটল্যান্ডের এক মসজিদ-প্রধান। 

৩৮. নাইজেরিয়ার পার্লামেন্টে পুরুষ-নারীর সমতা বিষয়ক একটি বিল পাশ করা যায়নি দুটো কারণে - বাইবেল ও শরিয়া আইন।

৩৯. ব্রিটেনের ৫০০ জন মুছলিমের ভেতরে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, সমকামিতা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে শূন্য জন। অবশ্য চৌদি আজবসহ অনেক মুছলিম দেশই গোপন সমকামিতার বেহেশত, এ কথা কে না জানে!

৪০. শান্তিতে সুন্নতও আদায় করার উপায় নেই! ৭ বছরের দুই শিশুকে ধর্ষণ করে গ্রেপ্তার হয়েছে মাদ্রাসাশিক্ষক। এমনকি ইহকালীন গেলমানগমন চর্চা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ঈশ্বরদী হেফাজতে ইছলামের ৫০ বছর বয়সী সভাপতি।

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৩১


শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

শুভ ক্রুশবিদ্ধকরণ দিবস

যিশু নামের চরিত্রটির বাস্তব অস্তিত্ব কখনও ছিলো, সেই প্রমাণ বাইবেল ছাড়া কোত্থাও পাওয়া যায় না। অর্থাৎ আস্তিকীয় যুক্তির ধাঁচে বলা যায় - বাইবেলে লেখা আছে, যিশু ছিলো, অতএব যিশু ছিলো।

তো এই কাল্পনিক চরিত্রটিকে নাকি ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল এই দিনে। খ্রিষ্টধর্ম মতে, এই দিনটির নাম গুড ফ্রাইডে। আমরা তাহলে বলতেই পারি "শুভ ক্রুশবিদ্ধকরণ দিবস"।

আস্তিকতা-নাস্তিকতায় হস্তক্ষেপ

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার

একজন মানুষ যখন ধর্ম পালন করে থাকে, তা তার ব্যক্তিস্বাধীনতা বা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আবার কেউ যদি ধর্ম না মেনে থাকে, সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না করে থাকে, তাহলে সে ধর্ম পালন করবে না, সেটাও তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। সমস্যা ততক্ষণ পর্যন্তই উদ্ভব হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ কারো ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে। এখন লক্ষ্য করার বিষয়, এই দুই গ্রুপের মধ্যে কে কার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।

যে গ্রুপটা ধর্ম পালন করে থাকে অথবা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, তাদের সহজ করে আস্তিক বলে। এদের বিশ্বাসটা গোঁড়া ও যুক্তিহীন। আর দ্বিতীয় গ্রুপটাকে বলা হয় নাস্তিক। এরা কোনো কাল্পনিক ঈশ্বর ও কোনো ধর্ম মানে না এবং পালনও করে না। আস্তিক গ্রুপটার মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম বিষয়ে পার্থক্য ও মতামতে মিল নাও থাকতে পারে, কিন্তু ঈশ্বর বিষয়ে সকলেই একমত। এরা সকলেই ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে। ঈশ্বর বলে কেউ আছে - এটা তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে নেয়। সেটা হোক কোনো হুবাল অথবা আবাল।

আর নাস্তিকদের একটিই কথা - কোনো প্রমাণ নেই বলে তারা কোনো হুবাল-আবাল ঈশ্বরের অস্তিত্বের দাবি মেনে নেয় না অর্থাৎ কোনো ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। এরা চায় যুক্তিসহ প্রমাণ। নাস্তিকতার মধ্যে কোনো গোঁড়ামি থাকা সম্ভব নয় বাই ডেফিনিশন। ভিত্তিহীন, প্রমাণহীন দাবিকে অস্বীকার করায় গোঁড়ামি কোথায়?

এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে, কোনো নাস্তিক কি প্রমাণ করতে পেরেছে ঈশ্বর বলে আসলে কেউ নেই? আছে কি নেই, এটার প্রমাণ তো ঈশ্বরের অস্তিত্ব দাবিকারী বা স্বয়ং ঈশ্বরেরই দেয়া উচিত। ঈশ্বর কি কানে বোবা ও মুখে কালা? নাস্তিকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বলতে পারে না - আমি আছি আমি আছি?

আবার অনেকে বলে, কেন আপনারা কি দেখেন না, পবিত্র বইগুলোতে ঈশ্বর আছে বলে লেখা আছে? বিষয়টা 'কালুর গরু খাতায় আছে, কিন্তু গোয়ালে নেই'-এর মতো। তারপরও যদি বিষয়টা নিয়ে তারা বলতে থাকে, তাহলে আমিও বলি: আমিও একটা পবিত্র বই পড়েছি, সেই বইটাতে লেখা আছে - আকাশ থেকে প্রতিদিন অদৃশ্য ধারায় বাল ঝরে পড়ে। এখন কি আপনি বিষয়টা মেনে নেবেন? বিশ্বাস স্থাপন করবেন সেই বইটার ওপর? নাকি প্রমাণ চাইবেন?

এখন কথা হচ্ছে, কে কার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। ধর্ম তথা আস্তিককুল সব সময় নাস্তিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে আসছে। তারা জোর জবরদস্তি দিয়ে ঈশ্বরে বিশ্বাস করার কথা বলে। এমনকি অসংখ্য মানুষহত্যাও করেছে। আগের যুগে যে কত খুন হয়েছে, সেটা বলতে পারি না, কিন্তু আপনারা নিজেরাই এখন লক্ষ্য করে দেখুন, সমসাময়িক সময়ে কত মানুষকে ধর্ম না মানার কারণে হত্যা করা হয়েছে।

এমন কি আস্তিকদের কিতাবগুলোতে নাস্তিকদের হত্যার বিষয়ে বলা আছে। এই বিষয়ে ইসলাম ধর্মে কী বলা আছে, নিচে কিছু কুরানের আয়াত দিচ্ছি।
  • অবিশ্বাসীদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই। যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। (সুরা ২:১৯১-২)
  • তোমাদের সাথে সন্ধি না রাখে এবং স্বীয় হস্তসমূহকে বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে প্রকাশ্য যুক্তি-প্রমাণ দান করেছি। (সুরা ৪:৯১)
  • মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। (সুরা ৯:৫)
ইহুদি-খ্রিষ্টানদের জন্যও আছে পরম বাঁশ:
  • খ্রিষ্টান এবং ইহুদীরা মান্য করে প্রতিমা ও শয়তানকে এবং বড়াই করে যে এরা মুসলমানদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক পথে রয়েছে। (সুরা ৪:৫১)
  • কাফেরদের জন্য দোযখের শিখায়িত আগুনই যথেষ্ট। (সুরা ৪:৫৫)
অন্য ধর্মগুলোও কিন্তু নাস্তিকদের বিষয়ে এরকমই অবস্থান নেয়। যেহেতু আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, সেক্ষেত্রে ইসলাম সম্পর্কে বেশি জানি এবং বলি।

পক্ষান্তরে নাস্তিকরা কিন্তু কখনো ধার্মিকদের ধর্ম মানতে বাধা দেয়নি। আশা করি, কখনো দেবেও না। আস্তিককুলের মত নাস্তিকদের তো কোনো পবিত্র বইও নেই যে, তারা সেটার বিধান মেনে চলবে। অনেকে বলে, নাস্তিকেরা লেখালেখির মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে, আস্তিকদের অনুভুতিতে আঘাত দেয়। তাদের বিশ্বাসকে আঘাত করে। ইতিহাস প্রমাণ করে, প্রচলিত বিশ্বাসে আঘাত না করে পৃথিবী এগোতে পারে না। আর তাছাড়া বিশ্বাসে আঘাত পেলেই হত্যা করাটা কি মানবিক কাজ? 

আমার বোরখা-ফেটিশ – ১৭৪


বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬

বোমাবহনবান্ধব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পোশাক

ইছলামী জিহাদীদের বোমা বহনের সুবিধের জন্য মানবশরীরে হাত ছাড়াও অন্যান্য কিছু অঙ্গ দান করেছে পরম করুণাময় আল্যাফাক:

১. স্তন।

২. মলনালী।

৩. পাকস্থলী।

এমনকি কিছু পোশাকও আল্যাফাকের নিয়ামত, যেগুলো জিহাদীদের বোমা বহনে সহায়ক।

১. আন্ডারওয়্যার।

২. টুপি।

পষ্ট কইরা লেখা - ৩০

কেঁচো খনন ও সাপ আবিষ্কারের কাহিনী

লিখেছেন পুতুল হক

ইসলাম একটা শিশুনির্যাতনকারী ধর্ম। এখানে সাত বছরের বাচ্চা ছেলেমেয়েদের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপর যদি তারা নামাজ না পড়ে, তাহলে প্রহার করা বাবা-মা'র জন্য বাধ্যতামূলক। এতেও কাজ না হলে বাচ্চাদের খাবার বন্ধ করে দিতে হবে। আর একটু বড় হবার পরেও যদি নামাজ না পড়ে, তাহলে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে। মোহাম্মদের নিজের ছেলেমেয়ে থাকলে এমন কঠিন নিয়ম করতে পারতো কি না, সন্দেহ হয়।

ইসলাম ত্যাগ করার পুরস্কার কী? আমি কোনো টাকাপয়সা পাইনি। যেটা পেয়েছি, তার মুল্য অর্থের চাইতে অনেক বেশি। মনের ওপর থেকে মস্ত এক বোঝা নেমে যাবার স্বাদ পেয়েছি। মুক্তির অনাবিল আনন্দ পেয়েছি। বর্বরতাকে ঝেড়ে ফেলে আমি গর্বিত হয়েছি। কিন্তু ইসলামের কাছে আমি ভয়ানক অপরাধী। আমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। 

মানুষের তৈরি আইনগুলো দেখুন, এখানে যে কোনো অপরাধী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়। ইসলাম কি আমার কাছে জানতে চায়, কেন আমি ইসলাম ত্যাগ করলাম? আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দিলো। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেও মানুষের সমান মানবতা দেখাতে পারে না।

ইসলাম বলে এতিমদের প্রতি সদয় হতে। একটু খোঁজ নিয়ে দেখলেই জানতে পারবেন, শুধুমাত্র মুসলমান এতিমদের প্রতি সদয় হতে বলা হয়েছে। 

চল্লিশ ঘর প্রতিবেশীর কাউকে অভুক্ত রেখে পেটপুরে খেয়ে ঘুমাতে যেতে পারবে না মুমিন, কিন্তু চল্লিশ ঘরের মধ্যে যদি কোনো বিধর্মীর ঘর থাকে, তবে ভিন্ন কথা। 

আল্লাহর সব রহমত কেবল মোহাম্মদের কথা যারা মেনে নিয়েছে তাদের ওপর। মোহাম্মদের কথা বিশ্বাস করলো না বলেই বিধর্মীদের প্রতি আল্লাহর অ্যাত্তোগুলা রাগ হয়ে গেলো।

ইসলামকে যতই জানার চেষ্টা করি, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেড়িয়ে পড়ে। মেরাজের কথা জানতে গেলে উম্মে হানি বের হয়, মহতী আয়েশার জীবন জানতে গেলে সাফওয়ান বের হয়, ওহী নাযিলের কথা জানতে গেলে ওয়ারাকা বিন নওফেল সহ আরো খ্রিষ্টান পাদ্রী বের হয়, মদিনার ইসলামীকরণ জানতে গেলে বনু কুরাইজা বের হয়... আরো কত কী যে বের হয়!

শুরু করেছিলাম ইসলামের শিশুনির্যাতন নিয়ে, তারপর কোথায় কোথায় চলে গেলাম! ইসলাম ব্যাপারটাই এমন - পুরাই অস্থির। হয় আপনি অস্থির জঙ্গি হবেন, নয়তো অস্থির নাস্তিক হবেন।

অর্থহীন, ব্যর্থ প্রার্থনা

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

উছিলা পীরন্তনী

লিখেছেন জর্জ মিয়া

১. বিকেল ৪ টার দিকে গেলাম ঢাকা কিডনি হাসপাতালে, এক বন্ধুর আব্বা এসেছেন রোগী হয়ে, তাকে দেখতে। গিয়ে শুনলাম, বেচারাকে ভুলভাবে এখানে আনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারে ডায়রিয়া হওয়ায় স্থানীয় এক ফার্মাসিস্টের পরামর্শে স্যালাইন দেয়া হয়, তাকে এ কারণেই নাকি তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। গত দু'দিন সে প্রস্রাব করেননি। গতকাল লঞ্চে উঠেছে, লঞ্চ ছাড়তেই তিনি প্রস্রাব-পায়খানা ঠিকমত করেছেন। শেরে বাংলা থেকে এখানে পাঠানো হয়েছে, এখানকার ডাক্তাররা বললো, কিডনিতে এমন কোনো সমস্যা হয়নি, যার জন্য তিনি এখানে থাকতে পারেন। টেস্ট করানোর পরেও কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। 

প্রশ্ন হচ্ছে: শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার তবে তাকে কিসের ভিত্তিতে এখানে পাঠালো? আমি ডাক্তার নই, তাদের মুখে আমি যতটুকু শুনেছি, সেই শোনা কথাতেই আমার মাথায় প্রশ্নটা ঘুরপাক খেল। 

২. হাসপাতালের আংকেলের (বন্ধুর বাবা) বেডের পাশের বেডে আর এক ভদ্রলোক বসে আছেন। কথা বলেন খুব। সকালে তাঁর ডায়ালাইসিস করানো হয়েছে, বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন বোঝা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ তিনি আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। আমি না পারছি কিছু বলতে, না পারছি সইতে, বেচারা অসুস্থ মানুষ, হয়তো তাই সবার সাথে কথা বলে মন ভালো করার চেষ্টা করছেন। বেশ কিছু সময় আলাপের পরে এই ডায়ালাইসিস ভদ্রলোকের কাছে আর একজন লোক এলেন। তাঁদের কথোপকথনটা তুলে দিই।

ডায়ালাইসিস করানো ব্যক্তি: ভাই, এখন কি অবস্থা আপনের মেয়ের জামাইয়ের?
- জ্বি, বাই, এখন অনেক ভাল। আগে না এনে ভুল করেছি, ময়মনসিংহতে না নিয়ে যেয়ে এখানেই আগে আনার দরকার ছিল। আজকে ২২ দিন বাড়িত্তে বার অইসি, যখন বাইর অইসি, তখন কইসি আল্লা আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটিই রাখবো না ইনশাল্লা। আমার মেয়ের জামাইকে তুমি সুস্থ করে দেওয়ার মালিক। 

মেজাজ গেল খিঁচে, এমনিতেই আংকেলকে শুধু শুধু ঢাকা আনানো হয়েছে। তার ওপরে এই দুই বাচালের আমদানিতে বিরক্ত হয়ে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তাঁদের কথোপকথনে শুনলাম, এই শ্বশুর ভদ্রলোক চরমোনাইর মুরিদ।
- চাচা মিয়া, হুজুরের কাছে নিয়ে যান নাই? 
- না, বাবা।
- কেন, চাচা? তিনি তো পীর! তিনি কি পারতেন না ঠিক করে দিতে আপনের জামাইরে? চেষ্টার কোনো ত্রুটিই রাখবেন না। আল্লার কাছে শপথ করলেন, জামাই নিয়া চলে আসলেন মেডিকেলে! কেন গো, চাচা? এই মেডিকেলের চিকিৎসার চেয়ে কি আপনের হুজুরের দোয়া কম কার্যকরী? এইখানে নিয়া আইলেন, ধরেন, আপনের জামাইর হায়াত আল্লা দিসে আগামীকাল পর্যন্ত। এখন আপনে আমারে বলেন এই ডাক্তারদের কি কোনো ক্ষমতা আছে এরে বাঁচানোর?
- না, ঠিক তা নাই।
- তাইলে এইখানে ক্যান? সবার আগে আপনের দরকার ছিল পীরের কাছে যাওয়া। আল্লা চাইলে এই কামেল পীরের উছিলায়ত আপনের মেয়ের জামাইরে ভাল কইরা দিতে পারে না কি? 

আমি এ কথা বলায় দু'জনেই চুপ রইলেন, যতক্ষণ আমি সেখানে ছিলাম।

শান্তিকামী (peace fucker) ইছলাম

শিশুকামীরা শিশু ধর্ষণ করে, পশুকামীরা পশুসঙ্গম করে, শান্তিকামী ইছলাম শান্তিরে োদে...



মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০১৬

নাস্তিকতা ফ্যাশন হলে সমস্যা কী?

লিখেছেন লিটন লিটু

অনেকে বলেন, নাস্তিকতা আজকাল ফ্যাশন হয়ে গেছে। বর্তমান পোলাপাইন ভাব ধরার জন্য বলে, সে একজন নাস্তিক।

আমি বলি, কিছু কিছু ধর্মের উৎপত্তি ১৪০০ বছর, ২৫০০ বছর আগে, আবার কিছু কিছু ধর্ম এত আদিম ও প্রাচীন যে, এগুলোর নির্দিষ্ট কোনো উৎপত্তি কালই নেই। এই সব পুরনো জিনিস কি ফ্যাশনের যোগ্য? এই যুগে বাস করে আপনাকে যদি আমি কাপড় না পরে গাছের বাকল পরতে বলি কিংবা নগ্ন থাকতে বলি, আপনি আমাকে বন্য ও অনাধুনিক বলে ঠিকই গালি দেবেন । কিন্তু বিশ্বাসের ক্ষেত্রে আপনি ঠিকই এইসব প্রাচীন ধারণা অক্সিজেনের মত ফুসফুসে ধারণ করে আছেন। এমনকি এই সব ধর্মীয় ধারণায় যে ভুল থাকতে পারে, সেটাই অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করে না। তাহলে আপনি কীভাবে আধুনিক হলেন? অনাধুনিক বিশ্বাস ধারণ করে আধুনিক কাপড় চোপড় পরিধান করলেই কি আধুনিক হওয়া যায়? 

এই ক্ষেত্রে নাস্তিকতা ফ্যাশন হলে সমস্যা কী? নাস্তিকতার পেছনে যুক্তি ও প্রমাণ আছে। আর ধার্মিক অনাধুনিকদের আছে শুধু ভিত্তি-প্রমাণহীন বিশ্বাস। ধর্মবিশ্বাসীরা হাগু করা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই বিজ্ঞানের মজা উপভোগ করে, কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে... হা হা হা! তাহলে এরা কীভাবে আধুনিক হয়? 

নাস্তিকতা নিয়ে ফ্যাশন করার কিছু নেই, কারণ নাস্তিকতা হল চিন্তার যৌক্তিক পরিবর্তন। তারপরও যারা নাস্তিকতা নিয়ে ভাব দেখায় কিংবা ফ্যাশন দেখায়, তারাও কিন্তু ধর্মবিশ্বাসীদের চাইতে কোটি কোটি গুণ এগিয়ে। কারণ তারা আপনাদের মত আধুনিক পোশাক পরিধান করে হাজার হাজার বছরের পুরাতন ধর্মীয় বিশ্বাস ধারণ করে ফ্যাশন দেখায় না। তারা আধুনিক পোশাক পরিধান করে আধুনিক ধ্যান-ধারণা ধারণ করে ফ্যাশন দেখায়। 

আধুনিক মানুষ হওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক চিন্তা আধুনিক পোশাকের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

* ২৫.১২.১২ তারিখে প্রকাশিত 

নিজেরে যখনই আবাল মনে হবে - ১১

ধর্মাতুল কৌতুকিম – ৭৪

২১৮.
শেষ বিচারের দিনে আল্যা জেরা করছে:
- মানুষ হত্যা করেছো?
- করেছি।
- নারীধর্ষণ করেছো?
- করেছি।
- শিশুবালিকাকে বিয়ে করেছো?
- করেছি। 
...
- হস্তমৈথুন করেছো?
- অবশ্যই না! আমি তো সাচ্চা মুছলিম।

২১৯.
আল্যা প্রথমে সৃষ্টি করলো আদমকে, পরে হাওয়াকে। এর পর থেকে সে আড়াল থেকে তাদের কার্যকলাপ অবলোকন করতো। এভাবেই সৃষ্টি নিলো দর্শনকাম (voyeurism)।

২২০.
ইহুদি-নাছারাদের দেশের একটি স্কুলে শিক্ষক প্রশ্ন করলেন ক্লাসে:
- তোমাদের মধ্যে কে কে ধর্মবিশ্বাসী?
শিক্ষককে খুশি করতে হাত তুললো বাকি সকলেই। একজন ছাড়া। তার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে শিক্ষক জানতে চাইলেন:
- তুমি হাত তুললে না কেন?
- কারণ আমি নাস্তিক।
- তুমি নাস্তিক কেন?
- কারণ আমার মা-বাবা দু'জনেই নাস্তিক। আমাকেও ধর্ম-ঈশ্বর এসব টানে না। তাই আমিও নাস্তিক।
- কিন্তু এমনও তো হতে পারে, তোমার বাবা-মা নির্বোধ।
- না, স্যার। আমার বাবা-মা নির্বোধ হলে আমি নির্ঘাত ধর্মবিশ্বাসী হতাম।

আলহামদু লীলা আল্যার

পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

ইছলাম ত্যাগের কারণসমূহ - ২৫

ব্রিটেনের কাউন্সিল অভ এক্স-মুসলিম নামের সংগঠনের উদ্যোগে #ExMuslimBecause নামে টুইটারে একটি প্রচারণা অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রাক্তন মুছলিমরা উপস্থাপন করছে ইছলাম ত্যাগের বিবিধ কারণ। অতি দীর্ঘ ও ক্রমবর্ধমান এই কারণ-তালিকা থেকে কিছু সরস ও সিরিয়াস কারণ অনুবাদ করে প্রকাশ করা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। এতে যুক্ত করা হচ্ছে/হবে ধর্মকারীর ঠিকানায় পাঠানো লেখা/ছবি/ভিডিওও।

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪

Ahmed Ahmedaa: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ইছলাম শেখায়, নিরীহ মানুষদের জীবনের চেয়ে ধর্ম বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

Jihadi Kermit: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ কোনও নারীর ইছলাম গ্রহণ - এ যেন কেএফসি-র কাছে কোনও মুর্গির আত্মসমর্পণ।

Ibrahim Abdallah: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত সৃষ্টিতত্ত্বের প্রধান লক্ষ্য - আজ্ঞানুবর্তিতা শেখানো। আজ্ঞানুবর্তিতার মায়েরে বাপ! আমাদের প্রয়োজন তথ্য-প্রমাণ। এটা ২০১৫ সাল।

Seyf Med: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ হিজাব কী করে নিজের 'চয়েস' হতে পারে, যখন একেবারে শৈশব থেকে মাথায় সেঁধিয়ে দেয়া হয় যে, হিজাব না পরলে তুমি ভালো মুছলিমা নও?

agent_ny17: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ১৪০০ বছর আগে বাস করা এক ভণ্ডকে আমার জীবন পরিচালিত করার সুযোগ না দিয়ে আমি নিজের মগজটা খাটাবো।

Leah: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ ইছলামে নারীর ভূমিকা আমাকে এতো গভীর এক বিষাদগ্রস্তায় ডুবিয়ে দিয়েছিল যে, ইছলাম ত্যাগই আমাকে আবার সুখী করেছে।

রাফাত সিরাজ নির্ঝর: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ কোরান অগণ্য যৌনদাসী ও চার স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয় পুরুষকে। ইছলামের সহজাত নারীবিদ্বেষ অন্যায্যভাবে অনৈতিক।

Badia: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ অমুছলিমদেরকে ইছলাম মনে করে অভিশপ্ত, বিপথগামী, অশুচি, কুকুর, গাধা, বানর, শুয়োর...

Hadi Hairan: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ মাদ্রাসায় পড়ার সময় আমার উপলব্ধি হয়, আমি ঘৃণা, সহিংসতা ও কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই শিখছি না।

Luke Khan: আমি প্রাক্তন মুছলিম, কারণ মুছলিমরা কখনওই রূঢ় না হয়ে ও আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ না করে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারে না।