আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬

মানবশরীরে বিশ্বাসবাহী জিন

লিখেছেন অনিগিরি

ঈশ্বরে বিশ্বাস-অবিশ্বাস বা আস্তিক-নাস্তিক ধরনের বিতর্কের এইবার, বোধহয়, চির অবসান হতে চলছে। জাপানের একদল জীববিজ্ঞানী মানবদেহে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসের জন্য দায়ী একটি জিন সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। একদল মানুষ যখন অন্ধভাবে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে, আরেকদল তখন কোন অবস্থাতেই স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করতে রাজি নয়! যুগ যুগ ধরে চলে আসা মানুষের এই চিরচরিত বৈশিষ্ট্যের বড় কারণটি এখন মানুষের হাতের নাগালে!

মানবদেহের ক্রোমোজোম ১১-তে এই জিনটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এর নামকরন করা হয়েছে ট্রাস্ট জিন-এক বা Trust-1. এই জিনটি যেসব মানুষের মাঝে প্রকটভাবে প্রকাশিত (Actively expressed) হয়, তারাই স্রষ্টাকে অকপটে বিশ্বাস করতে শুরু করে। সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই জিনটি প্রভাবিত (Induced) হতে থাকে এবং বৃদ্ধ বয়সে এর প্রকাশ বহুগুণে বেড়ে যায় এবং মানুষ স্রষ্টার প্রতি আস্থাবান হয়! আরো মজার ব্যাপার হলো, বিভিন্ন ধরনের শরীরিক বা মানসিক চাপ (Stress) এই জিনটিকে একটিভেট হতে সহায়তা করে, যার জন্য বিভিন্ন বিপদে-আপদে স্রষ্টাকে স্মরণ হয়।

কিছু কিছু মানুষের শরীরে এই জিনটি পুরোপুরি অকার্যকর (Inactivate) থাকে, এবং তারা কখনোই স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করে না। বিভিন্ন ধর্মের ৫০০ জন মানুষের মধ্যে গবেষণা করে ১৯৯ জন মানুষের মধ্যে এই জিনটি ইনএকটিভ/অকার্যকর পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ১৮০ জনই স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করেন। বহুদিন ধরে চলে আসা এই গবেষণার সর্বশেষ ফলাফলগুলো আরো চমকপ্রদ। মানবদেহের এই জিনটি যখন একটিভলি প্রকাশিত হয় তখন এটি KNW-7 নামের অন্য একটি জিনকে প্রকাশে বাধা দেয়। এই KNW-7 নামের জিনটি মূলত মানুষের মুক্তচিন্তা বা বুদ্ধিমত্বার বিকাশে সহায়ক। তাই যেসব মানুষ স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে, তাদের চিন্তা-চেতনা একটা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

বিস্ময়করভাবে মানবদেহের এই জিনটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব! জন্মের পরই Antisense RNA technology ব্যবহারের মাধ্যমে এই জিনটির প্রকাশ যেমন চিরতরে বন্ধ করে দেয়া যাবে, তেমনি বিশেষ ধরনের হরমোনাল Inducer ব্যবহার করে একে সারা জীবনের জন্য অ্যাকটিভ করে দেয়া যাবে। তাই সেইদিন হয়তো আর দূরে নয়, যেদিন সমগ্র জাতিকে সিদ্ধান্তে পৌছতে হবে যে, আমরা খোদাভীরু আস্তিক হব নাকি খোদাবিহীন নাস্তিক হব! কারণ জন্মের পরপরই অন্যান্য ব্যাধির টিকার সাথে আস্তিক-নাস্তিক টিকাও হয়ত বাজারে পাওয়া যাবে খুবই কম মূল্যে।

অধিকাংশ জীববিজ্ঞানীর মতে, এই জিনটিকে অকার্যকর করে দেয়ার মধ্যেই মানবজাতির সত্যিকার মঙ্গল নিহিত। মানুষের চিন্তা চেতনা আর বুদ্ধির বিকাশের জন্য এবং মানব সভ্যতাকে হিংসা-বিদ্বেষ আর যুদ্ধবিগ্রহ থেকে রক্ষা করে এক সত্যিকারের শান্তিময় পৃথিবী গড়তে এই জিনের প্রকাশ বন্ধ করার এখনই সময়! 

এটা একটি বায়োলজিক্যাল কল্পকাহিনী। এখানে KNW-7 জিন= Knowledge এবং Trust-1 জিন= এক স্রষ্টা বা ধর্মের প্রতি বিশ্বাস। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন