আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬

আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন কত দিনে

লিখেছেন বর্ণ সরকার

আল্লাহ এই মহাবিশ্ব কত দিনে সৃষ্টি করেছেন, তা নিয়ে একটু আলোচনা করি।
১. নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা কর না ? (কোরান ১০:৩)
২. তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। আর যদি আপনি তাদেরকে বলেন যে, "নিশ্চয় তোমাদেরকে মৃত্যুর পরে জীবিত ওঠানো হবে, তখন কাফেরেরা অবশ্য বলে এটা তো স্পষ্ট যাদু! (কোরান ১১:৭)
৩. নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।(কোরান ৭:৫৪)
ওপরের ১, ২ ও ৩ নং আয়াত থেকে আল্লাহ আংশিক অস্বচ্ছতার সাথে প্রমাণ করেছেন, সত্যিই তিনি এই নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলসহ সমগ্র মহাবিশ্ব ৬ দিনে সৃষ্টি করেছেন। আসুন, এবার নিচের আয়াতটা দেখি:
৪. আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি। (কোরান ৫০:৩৮)
আগের আয়াতগুলিতে ভূমণ্ডল ও মভোমণ্ডল তৈরি করেছেন ৬ দিনে। তবে এই ৪ নং আয়াতে বলছেন, ভূমণ্ডল ও নভোমণ্ডলের মাঝে যা আছে, তা তৈরি করেছেন ৬ দিনে। তাহলে ওপরের আয়াতগুলি থেকে কি এই এই প্রমাণ হয় না যে, নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল তৈরিতে ৬ দিন এবং নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের মাঝের অংশ তৈরিতে ৬ দিন - সর্বমোট ১২ দিনে লেগেছে? এবার লক্ষ্য করুন নিচের আয়াতগুলিতে কয় দিনের কথা বলেছেন:
৫. বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা (কোরান ৪১:৯) 
৬. তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। (কোরান ৪১:১০) 
৭. অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।(কোরান ৪১:১১)
৮. অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। (কোরান ৪১:১২) 
৫ নং আয়াতে ২ দিন, ৬ নং আয়াতে ৪ দিন, ৭ নং আয়াতে ২ দিন অর্থাৎ ২ + ৪ + ২ = ৮ দিন। খাইছে! আগে কইল ১২ দিনে, এখন আবার ৮ দিন হইল ক্যান? আল্লাহ কি হিসাবে কোথাও ফাঁকি দিছে, নাকি হিসাবই জানে না?

অনেকেই আবার আল্লাহর বা নবীর অলৌকিকতাকে প্রমাণের জন্য বলতে পারেন, আল্লাহর দিন ও আমাদের দিনের হিসেব এক নয়। তাদেরর জন্য নিচের আয়াতই মনে হয় যথেষ্ট। দেখুন:
নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে কাফেরগণ গোমরাহীতে পতিত হয়। এরা হালাল করে নেয় একে এক বছর এবং হারাম করে নেয় অন্য বছর, যাতে তারা গণনা পূর্ণ করে নেয় আল্লাহর নিষিদ্ধ মাসগুলোর। অতঃপর হালাল করে নেয় আল্লাহর হারামকৃত মাসগুলোকে। তাদের মন্দকাজগুলো তাদের জন্যে শোভনীয় করে দেয়া হল। আর আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। (কোরান ৯:৩৬-৩৭)
এই দুই আয়াত দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় যে, আমাদের দিন ও আল্লাহর দিন একই, যা সৃষ্টির শুরু থেকেই চলে আসছে বলে আল্লাহ স্বীকার করেছেন।... তারপরেও কথা থেকেই যায়। দেখুন:
তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। আর যদি আপনি তাদেরকে বলেন যে, "নিশ্চয় তোমাদেরকে মৃত্যুর পরে জীবিত ওঠানো হবে, তখন কাফেরেরা অবশ্য বলে এটা তো স্পষ্ট যাদু! (কোরান ১১:৭)
তাহলে আল্লাহ এই বিশ্ব তৈরির আগে তার আরশ পানির উপরে কীভাবে থাকল? সেই পানি তৈরি করেছিল কে, আর পানিই বা ছিল কোথায়? এখন আপনারাই বলুন, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতে আল্লাহর সত্যি সত্যিই কত দিন লেগেছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন