আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬

সৃষ্টি হওয়া দৃষ্টিকোণে - ২

লিখেছেন সত্যের সন্ধানে

৪.
সবার মনে প্রশ্ন: নাস্তিকরা কেন শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে? আসলে নাস্তিকরা ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে না, নাস্তিকরা লেখে নির্লজ্জ মিথ্যাচার বা তাকিয়ার বিরুদ্ধে। আমার লেখা কোনো ব্যক্তি বা ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, এটা মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে।

আমি যদি আমার নিজের পরিবারের ইতিহাস লিখি, তাহলে প্রতিবেশীর সাথে আমার ঝগড়ার ইতিহাসে সব সময়ই প্রতিবেশীর দোষটাই বেশি প্রতিফলিত হবে। ইসলামের ইতিহাসের সমস্যাটা এখানেই। ইসলামের ইতিহাস জানতে হলে শুধু ইসলামী ঘরানার লেখকদের লেখনী বা সিরাত পড়ে জানতে হবে। হাদিস-কোরানের ব্যাখ্যাও তাদের মনগড়াটাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও সত্য লুকানো সম্ভব হয় না কিছু নাছোড়বান্দা নাস্তিকের কারণে, যেসব নাস্তিকের যুক্তির চাইতে তাদের মৃত্যুর পরে তাদের দেহ নিয়ে কী করা যেতে পারে, সেটা নিয়ে যুক্তিতর্ক হয়। আস্তিক হোক বা নাস্তিক, মানুষের লাশ কীটপতঙ্গই খায়, সেটা হুজুর ডেকে মৃতের পাছা ধুয়ে দিলেও খাবে, কিংবা লাখ মানুষের সামনে জানাজা পড়িয়ে কবর দিলেও খাবে। আস্তিক হোক বা নাস্তিক, মৃত্যুর পর আমরা সবাই কীটপতঙ্গের খাবার। 

আর কিছু ছাগলের নাস্তিকদের মুসলিম নাম দেখলে পেটের গুড়া কৃমি পায়ু পথের একেবারে মুখের কাছে চলে আসে, ফলে তাদের পায়ুপথে চুলকানির উদ্রেগ হয়। আরে গর্দভের দল, নাম কখনো ধর্মভিত্তিক হয় না। নাম হয় ভাষা- আর সংস্কৃতিভিত্তিক। যেমন, তোদের মিকাইল যখন উড়ে অন্য কথাও যায়, তখন তার নাম হয় মাইকেল, ইসাক হয় আইজ্যাক।

৫.
সত্য কখনো বার বার সামনে আনতে হয় না। কোরানের কথিত বিজ্ঞান যদি সত্যি হতো, তাহলে সব বিজ্ঞানীই সেটা মেনে নিত। লিঙ্গ কাটা বিজ্ঞানীদের কথা যদিওবা আলাদা।

৬.
নাস্তিকদের প্রায় প্রতিদিন একটি অবান্তর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়: এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করেছেন কে? প্রশ্নটি অবান্তর, কারণ প্রশ্নটি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট। প্রশ্নকর্তা ধরেই নিয়েছেন যে, সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ একজন আছেন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আরও অনেক প্রশ্নের অবতারনা করা হয়, যেগুলো প্রথম প্রশ্নের চাইতেও বেশি অবান্তর। আস্তিকরা প্রশ্ন করে, কেন বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। উত্তর হলো, বিজ্ঞান কখনও "কে সৃষ্টি করেছেন", এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে না, বিজ্ঞান খোঁজে "কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে" সেই প্রশ্নের উত্তর। এখন বিজ্ঞানীরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে "কীভাবে সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে" আর সেই সাথে বাতিল করে দিয়েছে সব ধরনের "কে" জাতীয় প্রশ্ন। তাই আস্তিকদের প্রতি অনুরোধ, বিজ্ঞানের চোখে অবান্তর প্রশ্ন "কে" করে সময় নষ্ট করবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন