আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

মসজিদ-মাফিয়া

লিখেছেন কাক তাড়ুয়া

ছি! ছি! ছি! আমার ভাবতেই বড় লজ্জা হয়, আমি একজন মুসলিম! এই কথাগুলো শুনে কোনো হুজুরের ঈমানদণ্ড দাঁড়িয়ে গেলে কিছুই করার নেই, কারণ তোদের তো দণ্ডটি খুব স্পর্শকাতর এবং স্পর্শের জন্যও কাতর। যাই হোক, বেশি কিছু ফাঁস করবো না, সামান্য একটু। হাজার হলেও আমি একজন মুসলিম তো। তাই বেশি কিছু ফাঁস করাটা ঠিক হবে না। তাহলে শুরু করি...

আমি একজন হুজুরের সাথে পরিচিত হলাম। বেশ ভালোই বন্ধুত্ব হয়ে গেলো। আর যেহেতু সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, তাই আমিও কিছুটা হুজুর টাইপের হয়ে গেলাম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করলাম। তো একদিন আমাকে ঐ মসজিদের হুজুর বলল, "সবাইরে তো দিছি, তুমি তো নেও নাই। একটা বান্ডিল নিয়া যাও। আল্লার কামে সহযোগিতা করলে আল্লা খুশি হয়।" বলেই আমার হাতে একটা মসজিদের টাকা তোলার বিরাট রিসিট বই ধরিয়ে দিলো। 
আমি বললাম, "আমি টাকা তুলতে পারবো না।"
হুজুর নরম গলায় বললেন, "আল্লার কামে শরম করতে নাই।"
আমার সেই হুজুর বন্ধুটি আমাকে বলল, "অসুবিধা নাই, নিয়ে নাও। আমি তো আছিই, আমি উঠিয়ে দিবো।"
আমি হুজুর বন্ধুর উৎসাহ পেয়ে রিসিটটা নিয়ে কিছু না দেখেই পকেটে ভরলাম।

তার কিছুদিন পরে, আমি আমার হুজুর বন্ধুকে বললাম টাকা তোলার জন্য, কিন্ত বন্ধুর সোজা কথাম "আমি ওগুলো পারবো না।"
"পারবে না, তাহলে রিসিটটা নিতে বললে কেন?" কিন্তু বন্ধুর মুখে কথা নাই।
তাই বাধ্য হয়ে রিসিটটা যেভাবে নিয়েছিলাম, সেভাবেই ফেরত দিতে গেলাম। গিয়ে দেখি, হুজুর সাহেব মসজিদে নাই। তাই হুজুরের এক চার্লিকে বললাম, "আমি টাকা তুলতে পারিনি। হুজুরকে রিসিটটা দিয়ে দিবেন। তিনি বইটা নিয়ে রেখে দিলেন।

বিকেল সাড়ে পাঁচটা পঞ্চাশ মিনিটে হুজুর-বন্ধুর কল, "ঐ, একটু মসজিদে আসো তো! ভেজাল হইছে।"
- কেন, কী হইছে?
- তুমি হুজুররে রিসিট দিছো, কিন্তু টাকাগুলা দিলা না কেন?
- আমি তো টাকা তুলি নাই!
- কিন্তু বইয়ে তো টাকা লেখা আছে!

মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো আমার। তড়িঘড়ি করে চলে গেলাম মসজিদে। হুজুর বাবাজি সুন্দর করে বললেন, "কী রে, টাকাগুলা আনছোস?"
আমি বললাম, "আমি তো টাকা তুলি নাই।"
তিনি আমাকে বই দেখালেন, প্রথম পেজে লেখা ৫০০০ টাকা, নাম হানিফ কন্ট্রাকটর। দ্বিতীয় পেজে লেখা ৫০০০ টাকা, রফিক মিয়া। তৃতীয় পেজ পুরোটাই ছেঁড়া। হুজুর বাবাজি আমাকে বললেন, "এই পেজে ১০ হাজার লেখা ছিল, তাই তুই পেজটা ছিঁড়ে ফেলছোস। ৫+৫+১০ = ২০ হাজার টাকা তাড়াতাড়ি বাইর কর। নাইলে কমিটির লোকে তরে বাইন্দা পিডাইবো।"

আমার মনে হলো, পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে, আমার দিকে সবাই কেমন চোর-দেখার মতো করে চেয়ে আছে। কাগজে আমার সাইন করাও আছে, যদিও বাপের জন্মেও কোনোদিন কোথাও সাইন করিনি। আমি অসহায় এর মতো বললাম, "এইটা আমার হাতের লেখা না। বিশ্বাস করেন আমি..."
আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো নরম গলায়, " না, এইখানে তোর সাইন আছে, ট্যাকা বাইর কর।"

অনেক সময় চেয়ে থাকলাম কাগজের লেখার দিকে। হঠাৎই চোখে পড়লো লেখা আছে, ১.০৯.২০১৫ তারিখ। আমি বললাম,  "এই যে তারিখ দেওয়া আছে। এইটা তো অনেক আগের লেখা।"
হুজুর বলল, "এইটা তুই লেখছোস ইচ্ছা কইরা।"
তখন ইমামের আগমন হইলো। তিনি বললেন, "আরে এইটা তো অনেক আগের। এগুলা আমি লিখছিলাম।"
তখন হুজুর রেগে গিয়ে বললেন, "আপনি তো বড় চোর! এতখন কিছুই কইলেন না। আমি কিন্তু সব খবর রাখি, কতো খান, কী করেন..."
ইমাম: কী! আমি চোর না! আর আপনি যে টাকা পাইলেই পকেটে ভরেন আগে? ঐটা কী?
হুজুর: বেশি কথা কইবেন না, সব কইলাম জানি..."

সব শুনে আমার মনে হলো, আমি কই আছি? আমি তাদের দিকে চেয়ে আছি দেখে বললেন, "বাবা, আমাগোই ভুল হইছে, কিছু মনে কইরো না। যাও, তুমি যাও।"

আমি সেইদিন আর কিছুই বলিনি। চলে এসেছি। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত মসজিদের ভেতরে ঢুকিনি। আর যখন দেখি, রাস্তার পাশে.মাইক দিয়ে বলছে, "কতো টাকা কতো পয়সা অকারণে...", তখনই পুরো শরীরটি কেমন যেনো শিউরে ওঠে। এই বুঝি শার্টের কলার ধরে বলবে, "জলদি টাকা বাইর কর..."

বর্তমানে আমার দু'জন ঈশ্বর - বাবা আর মা। আর আল্লা নামের ঐ বস্তুটিকে চোদার টাইম নাই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন