আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ৩৪

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

১৬৬.
সমস্ত পৃথিবী খুঁজে এমন একজন মোসলমান বের করা কি সম্ভব, যে সমকামিতা ঘৃণা করে না? যে সমকামীদের ঘৃণা করে না? যে মোসলমান কর্তৃক সমকামী হত্যা সমর্থন করে না?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কাকে ভালোবাসবে, কার সাথে যৌনসম্পর্ক করবে, তা তার নিজের ব্যাপার সম্পূর্ণভাবে। অন্যের ক্ষতি না করে প্রাপ্তবয়স্কদের পারস্পরিক সম্মতিতে কোনো সম্পর্ক হলে তা কোনোভাবেই অপরাধ নয়। ইসলাম ও মোসলমানদের কে অধিকার দিয়েছে অন্যের প্রেম ও যৌনজীবনে তাদের নাক ঢুকিয়ে দিতে? হত্যা ও সব ধরনের ধ্বংসলীলা ছাড়া আর কিছুই কি তারা করতে জানে না?

১৬৭.
পৃথিবী সৃষ্টি করার আগে আল্লার কাম-কাজ কী ছিল? পৃথিবী সৃষ্টি করার পরেই বা তার কাম-কাজ কী?

১৬৮.
মানুষের জন্য একটা সুন্দর নিরাপদ পৃথিবীর প্রয়োজন। যেখানে মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসতে পারবে, শিল্প-সাহিত্য-সুন্দরের চর্চা করতে পারবে, অন্যের ক্ষতি না করে সবাই নিজের মতো করে বিকশিত হতে পারবে, যেখানে লিঙ্গের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজিত করা হবে না, যেখানে সবার মুক্ত মত ও বুদ্ধির চর্চা থাকবে অবারিত। এরকম একটা পৃথিবী গড়তে হলে জগতের সমস্ত মোসলমানকে এক জায়গায় একত্রিত করে সেই জায়গাটাকে সীল মোহর করে দিতে হবে। মোসলমানদেরকে সঙ্গে রেখে সুন্দর ও নিরাপদ পৃথিবী গঠন অসম্ভব। কারণ ইসলামে গান হারাম, কবিতা লেখা হারাম, ছবি আঁকা শিরক, অমোসলমানদের সাথে বন্ধুত্ব হারাম, নারীরা নাপাক। এরকম সমস্ত সুন্দর ও ভালো কাজ ইসলামে হারাম। ইসলামের কেতাব কোরানে মোসলমানদের বলা হয়েছে অমুসলিমদের হত্যা করতে, অমুসলিম নারীদের ধর্ষণ করতে, দাসীদের সম্ভোগ করতে, অমুসলিমদের ধন-সম্পদ লুট করতে। যতো ঘৃণ্য অপকর্ম আছে, সব ইসলামে হালাল। মোসলমানরা তাই করে করে জগতজুড়ে তাণ্ডবলীলা ঘটিয়ে চলেছে।

১৬৯.
- কোরানের চেয়ে জঘন্য কিতাবের নাম কী?
- হাদিস।
- হাদিসের চেয়ে জঘন্য কিতাবের নাম কী?
- কোরান।

১৭০.
গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, জীবহত্যা মহাপাপ। এটা শুধু তাঁর মুখের কথাই ছিল না। এই কথাকে তিনি বাস্তবায়িতও করেছিলেন তাঁর জীবনে। নিজের স্ত্রী ও সদ্যভূমিষ্ঠ পুত্রকে ত্যাগ করে তিনি চিরতরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। নিজের সন্তানকে তিনি কোনোদিন পিতৃস্নেহ দেননি। সন্তান ও স্ত্রীর প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করেননি। তবে তিনি ওদেরকে হত্যা করেননি কিন্তু, যেহেতু ওরা জীব ছিল। 

দেখলেন তো, গৌতম শুধু কথায় নয়, কাজেও তাঁর মহত্বের প্রমাণ রেখে গেছেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন