আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আল্লার আকিকা ও কিছু আজাইরা প্যাচাল

লিখেছেন নরমপন্থী

হিন্দু মানুষকে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলে যদি বাড়িতে ফেরেশতা না আসে বলিয়া মনে করেন, তাহলে পরকালে দীর্ঘ নরকবাস করিবার কালে অত্যাচারী বোবা কালা ফেরেশতাদের থেকে নিরাপদ রাখতে হলে হিন্দুদের কাছে-ধারে থাকা জরুরি। হিন্দুদের কাছে রাখিবেন, নরকের ফেরেশতারা মুগুর নিয়া কাছে ঘেষিতে পারিবে না। 

আমার সন্তান জন্মাইবার পরে শুনিয়াছিলাম, পুরুষ সন্তানের নাম রাখিলে দুইখান ছাগল জবাই দিয়া আকিকা করিতে হবে। একজন নারী সন্তান (সম্ভবত ইসলামে নারীদের সস্তা বানানোর চেষ্টা করা হয় বলিয়া) একখান ছাগল জবাই দিতে হইবে। বিষয়টা আমাকে চিন্তায় ফেলিয়া দিল। “আল্লায় মাইন্সের আত্মা দুইনায় পাঠাইয়া বিনিময়ে ছাগলের আত্মা আসমানে নিয়া কী করে?” পরে বুঝিলাম, সম্ভবত, আল্লার কোনো কেরানী-ফেরেশতা ঐ সব ছাগলের আত্মা বোতলে ভইরা রাইখ্যা হিসাব রাখে মোসমানের ঘরে কয়ডা বাচ্চা প্রেরণ করিয়াছেন।

তবে কিছুতেই মাথায় ঢুকতেছে না পিতামাতাহীন “এতিম” আল্লাহ সুভানাউতায়ালা কেন তিন বার নাম বদল করলেন। প্রথমে তার নাম আছিল ইয়াউয়ে, তারপর গড/ফাদার/জিসু এবং শেষে আল্লাহ। তার মানে, মনে হইতেছে, তার আগেও যতবার নবী রাসুল পাঠাইছেন, সাথে প্রতিবারই নাম বদলাইছেন। নতুন নাম রাখার জন্য আকিকা দিতে হয়। আল্লাহ তো আর সুলিমুদ্দি-কলিমুদ্দি না যে, দুইটা ছাগল জবাই কইরা আকিকা দিবেন। তার দরকার মানুষ বলী - বান্দা বলী। আর প্রতিবার নতুন নবী আসিয়া পুরাতন নবীর অনুসারীদের সাথে ঝগড়া-ফ্যাসাদ-হানাহানি তথা নরহত্যার মাধ্যমে আল্লার নাম বদলের আকিকার কাজ সম্পাদন করেছেন। বলুন সুভানাল্লাহ।

লালশালু উপন্যাসের কথা বাদ দিয়া কিছু বাস্তব বিষয়ের দিকে আসুন নজর দিই। দেওয়ানবাগী পী সাহেবের এবং তার মুরিদদের কিছু ভিডিও দেখুন ইউটিউবে। একটু ভেবে দেখলে এসব থেকে মৃত্যু- আর পরকালভীতিতে কাতর মানুষের বিশ্বাসপ্রবণনতার স্বরুপ অনুমান এবং তুলনা করা যায়। দেওয়ানবাগীর যে একটা সুন্নি-প্রধান দেশের মাঝখানে বসে, প্রচলিত মূলধারার ইসলামের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক হওয়া সত্ত্বেও, একবিংশ শতাব্দীর তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও বহাল তবিয়তে আস্তানা গেঁড়ে ভণ্ডামির রাজত্ব করে যাছেন এবং ভুরিভুরি অনুসারী পাচ্ছেন।

আমরা সামাজিক জীব। একই সঙ্গে আমাদের আছে জানার সীমাবদ্ধতা আর অজানার ভীতি। আর এই সব কারণেই সুযোগসন্ধানীরা যুগে যুগে ধর্ম নামের একটা অলীক ও হানিকর ধারণাকে ব্যবহার করে ব্যবসা ও অন্যান্য স্বার্থসিদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধর্মপ্রচারক ও ধর্মগুরুর ক্ষেত্রেই কথাটা সত্যি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন