আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মুছলিম মানসপট

লিখেছেন পুতুল হক

যখনই কোনো মুসলমান শুনতে পায়, কোনো অমুসলিম দেশে মুসলমান অধিবাসীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী দশ, বিশ বা ত্রিশ বছরের মধ্যে তারাই হয়ে যাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তখন তাদের চেহারায় একটা নূরানি খুশি খেলে যায়। যেন, "এইবার তোমরা যাইবা কৈ?" সংখ্যা দিয়ে এরা বিশ্বজয়ের কথা ভাবে। 

কতটা গেঁয়ো, গোঁয়ার আর বিকৃত মানসিকতা হলে এমনটা ভাবা সম্ভব! আরো অদ্ভুত কথা হল, এই মানুষগুলো পৃথিবী দখল করে পৃথিবীকে কোনো সুন্দর স্থান হিসেবে গড়ে তোলার কথা ভাবে না। এরা পৃথিবীকে নিয়ে যেতে চায় ১৪০০ বছর আগের আরবের সমাজপ্রথায়। যেখানে -
নারী মানে মেধাহীন যোগ্যতাহীন বস্তাবন্দী ও বাচ্চা পয়দা করার মেশিন, 
ক্ষুধার জন্য কোনো শিশু খাবার চুরি করলে তার হাত কেটে ফেলা হয়, 
শুধুমাত্র "লা ইলাহা ইল্লাললাহু" না বলার কারণে যে কোনো মানুষকে মেরে ফেলা সওয়াবের কাজ... 

পৃথিবী যাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, তারা পৃথিবীকে সুন্দর করবে না। মুসলমানের কাছে ক্ষণস্থায়ী জীবনের কোনো মূল্য নাই, মানুষের কোনো মূল্য নেই। তারাই মানুষের জন্য কাজ করে, যারা মানুষ নিয়ে ভাবে। তারাই পৃথিবীর উন্নয়নে অবদান রাখে যারা পৃথিবীকে ভালোবাসে। মুসলমান পৃথিবীতে আসে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আর আল্লাহর সাম্রাজ্য বিস্তারে অবদান রাখার জন্য। তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য - আখেরাত। 

এখানে আমার হিসেব মেলে না। যাদের কাছে পৃথিবীর জীবন অর্থহীন, তারা পৃথিবীর ওপর দখল প্রতিষ্ঠার জন্য এতো মরিয়া কেন? ঘরে বসে যার যার মত করে আল্লাহর ইবাদত করলে আল্লাহ কেনই সন্তুষ্ট হতে পারেন না? 

আল্লাহ-নবীকে ভালবেসে কাছে পাওয়া যদি ইহকাল এবং পরকালের সব সুখের চাবিকাঠি হয়, তবে অন্যের জীবনাচার নিয়ে এতো মাথাব্যথার কারণ থাকার কথা তো নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন