আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

খায়বার যুদ্ধ - ১০: যৌনদাসী হস্তগত! কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১৩৯): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত তেরো

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।" 

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীরা আল-সাব বিন মুয়াধ দুর্গ জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার পর কী ভাবে তার মধ্যে থেকে এক ইহুদিকে ধরে নিয়ে এসে তার গলা কেটে হত্যা করেছিলেন; আল-নাইম, আল-সাব বিন মুয়াধ ও নাটার অন্যান্য দুর্গের ইহুদিরা প্রাণভয়ে ভীত হয়ে যখন ‘কালাত আল-যুবায়ের’ নামের এক দুর্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন মুসলমানরা কীভাবে তাদেরকে ঐ দুর্গ  মধ্যে ঘেরাও ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন; ইহুদিদের মধ্যে থেকে ঘাযযাল নামের এক ব্যক্তি কী শর্তে মুহাম্মদকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছিলেন; ঘাযযাল মুহাম্মদকে ঐ দুর্গের ভিতরের কোন গোপন তথ্যটি জানিয়েছিলেন ও মুহাম্মদকে তিনি কী পরামর্শ দিয়েছিলেন; মুহাম্মদ কীভাবে তার সেই পরামর্শটি কার্যকর করে দুর্গ-মধ্যে অবস্থিত সকল লোকদের পানিবঞ্চিত ও পিপাসিতরেখে প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতায় তাঁদেরকে তিলে তিলে নিদারুণ যন্ত্রণা ও কষ্ট দিয়েছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। 

আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) অব্যাহত বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১৩৮) পর:

‘আবু উফায়ের মুহাম্মদ বিন সাহল বিন আবি হাতমা-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুসা বিন উমর আল-হারিথি আমাকে বলেছেন, সে বলেছে:

যখন আল্লাহর নবী আল-শিইক এ গমন করেন, যেখানে ছিলো অনেকগুলো দুর্গ, তিনি যে দুর্গটিতে সর্বপ্রথম অভিযান শুরু করেন, সেটি হলো উবাই দুর্গ।আল্লাহর নবী যে-দুর্গটির সম্মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার নাম হলো সুমরান (Sumran); তিনি এই দুর্গের লোকদের বিরুদ্ধে ভীষণ যুদ্ধ করেন। ইহুদিদের মধ্যে থেকে ঘাযযাল নামের এক ব্যক্তি বের হয়ে আসে ও দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান করে। আল-হুবাব বিন আল-মুনধির তার সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করে ও তারা এক অপরকে আঘাত করে। অতঃপর হুবাব তাকে আক্রমণ করে ও তার বাহুর মাঝখান থেকে ডান হাতটি কেটে ফেলে। ঘাযযাল-এর হাত থেকে তার তরবারিটি পড়ে যায় ও সে অসহায় (defenseless) হয়ে পড়ে। সে পরাস্ত হয়ে দুর্গের দিকে যাত্রা করে। আল-হুবাব তাকে অনুসরণ করে ও তার পায়ের কব্জি কেটে ফেলে। ঘাযযাল ভূপতিত হয়, অতঃপর আল-হুবাব তাকে শেষ করে ফেলে।

অতঃপর আর একজন চিৎকার করতে করতে বের হয়ে আসে, "কে আমার সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করবে?" মুসলমানদের মধ্যে থেকে জাহাশ পরিবারের এক ব্যক্তি তার সাথে দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করে ও জাহাশি হয় নিহত। সেই ইহুদিটি তার অবস্থানে থেকে আরেকজনকে যুদ্ধে আহ্বান করে এবং আবু দুজানা, যে তার মস্তকের টুপির ওপরে একটি লাল রংয়ের ব্যান্ড জড়িয়ে রেখেছিলো, অতিমাত্রায় আত্মগর্ব করতে করতে সদম্ভে তার সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দেয়। ইহুদিটির অসাবধানতায় আবু দুজানা তাকে পাকড়াও করে ও তার দুই পা কেটে ফেলে; অতঃপর সে তাকে শেষ করে ফেলে এবং তার বর্ম ও তরবারি লুণ্ঠন করে। সে সেগুলো আল্লাহর নবীর কাছে নিয়ে আসে, আর আল-নবী তাকে সেগুলো দিয়ে দেয়। 

এই ঘটনার পর তারা দ্বন্দ্ব যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকে। মুসলমানরা আবু দুজানার নেতৃত্বে উচ্চস্বরে 'তাকবীর' ঘোষণা [পর্ব-১৩৬:] করতে করতে দুর্গ আক্রমণ করে ও তার ভিতরে প্রবেশ করে। তার ভেতরে তারা দেখতে পায় আসবাবপত্র, সম্পদ, গবাদি পশু ও খাদ্যদ্রব্য। ভেতরে যে যোদ্ধারা ছিলো, তারা পালিয়ে যায়। তারা হরিণের মত দেয়ালের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পালায় যতক্ষণে না তারা আল-শিইক এর আল-নিযার (al-Nizar) দুর্গে এসে পৌঁছে। আল-নাটার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে যারা রয়ে গিয়েছিলো, তারা আল-নিযার দুর্গে আসতে থাকে, তারা সেখানে একতাবদ্ধ হয় ও এর ভিতের তারা নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করে।

আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হন ও তাদের সাথে যুদ্ধ করেন। তারা ছিলো আল-শিইক এর সবচেয়ে শক্তিশালী জনগণ, যারা যুদ্ধ করেছিলো। তারা মুসলমানদের লক্ষ্য করে তীর ও পাথর নিক্ষেপ করে। আল্লাহর নবী তাদের সঙ্গেই ছিলেন যে পর্যন্ত না একটি তীর আল্লাহর নবীর পোশাকে এসে লাগে ও তাতে ঝুলে থাকে। অতঃপর তিনি এক মুষ্টি নুড়ি পাথর উঠিয়ে নেন ও সেগুলো তাদের দুর্গের দিকে ছুড়ে মারেন। তাতে ওটা কাঁপতে থাকে ও তারপর তা মাটিতে ডুবে যায়।

ইবরাহিম বিন জাফর হইতে বর্ণিত:
যখন মুসলমানরা সেখানে এসে হাজির হয়, তখন তা মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিলো ও তারা সেখানকার লোকদের সম্পূর্ণরূপে ধরে ফেলে। যার ভেতরে ছিলো হুয়েই-এর কন্যা সাফিয়া ও তার আংকেলের কন্যা।

উমায়ের নামের আবু আল-লাহম এর নিকট আশ্রিত এক ব্যক্তি যা বলতো, তা হলো: 
আমি সাফিয়া-কে তার কাজিন  ও আল-নিযার দুর্গের অন্যান্য যুবতী মেয়েদের সাথে ধরে নিয়ে আসতে দেখেছি। যখন আল্লাহর নবী আল-নিযার দুর্গটি দখল করেছিলেন, আল-শিইক এর কিছু দুর্গ তখনও বাকি রয়ে গিয়েছিলো। সেখানকার লোকেরা পালিয়ে যায় যতক্ষণে না তারা আল-কাতিবা, ওয়াতিহ ও সুলালিম এর জনগণদের কাছে গিয়ে পৌঁছে। মুহাম্মদ বিন মাসলামা যা বলতো, তা হলো, আল্লাহর নবী আল-নিযার দুর্গের দিকে তাকিয়েছিলেন ও বলেছিলেন, "এইটিই হলো খায়বারের সর্বশেষ দুর্গ, যেখানে যুদ্ধ হবে।" আমরা এই দুর্গটি দখল করার পর আল্লাহর নবীর খায়বার থেকে প্রস্থান করা পর্যন্ত আর কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি।--'

- অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।

>>> আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা আল-নাটার দুর্গগুলোর মতই আল-শিইক এর সকল দুর্গ জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছিলেন। এই কর্মে তারা খায়বারের নিরপরাধ জনগণের ওপর কীরূপ নৃশংসতা প্রদর্শন করেছিলেন, তা আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও স্পষ্ট। ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি, আক্রান্ত অবস্থায় প্রাণভয়ে ভীত ইহুদিরা আল-শিইকের অন্যান্য দুর্গ থেকে পালিয়ে এসে আল-নিযার দুর্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সেখানে এসে সমবেত হয়েছিলো আল-নাটার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে অবস্থিত সর্বশেষ আক্রান্ত দুর্গটি ('কালাত আল-যুবায়ের [পর্ব: ১৩৮])' থেকে পালিয়ে আসা ইহুদিরাও। অতঃপর তাঁরা দুর্গ মধ্যে থেকে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

আল-ওয়াকিদির ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় মুহাম্মদের এক মোজেজার উপাখ্যান উল্লেখিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, আক্রান্ত অবস্থায় মুহাম্মদ "এক মুষ্টি নুড়ি পাথর উঠিয়ে নিয়ে তা আল-নিযার দুর্গের দিকে ছুড়ে মারেন, আর তাতে এই দুর্গটি কাঁপতে কাঁপতে ধ্বসে পড়ে ও তারপর তা মাটিতে ডুবে যায়।" ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হলো মুহাম্মদের স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ কুরান। কুরান সাক্ষ্য দেয়, মুহাম্মদ তাঁর সমগ্র নবী জীবনের বিভিন্ন সময়ে অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় তাঁর নবুয়তের সপক্ষে একটি মোজেজাও হাজির করতে পারেননি, যার বিস্তারিত আলোচনা 'মুহাম্মদের মোজেজা তত্ত্ব (পর্ব: ২৩-২৫)'পর্বে করা হয়েছে। সুতরাং, মুহাম্মদের মৃত্যুপরবর্তী সময়ের মুসলিম ঐতিহাসিকদের লিখিত সিরাত ও হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত মুহাম্মদের এই রূপ অত্যাশ্চর্য মোজেজা প্রদর্শনের বর্ণনা যে যে অতি উৎসাহী নিবেদিতপ্রাণ মুসলিম বর্ণনাকারীর মস্তিষ্কপ্রসূত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি যে, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব (পর্ব: ১২৪), তাঁর কাজিন ও অন্যান্য যুবতী মেয়েদের আল-শিইক এ অবস্থিত “আল-নিযার দুর্গ” থেকে হস্তগত করেছিলেন।সাফিয়ার পিতা হুয়েই বিন আখতাব-এর, যাকে বনি কুরাইজা গণহত্যার দিনটিতে হত্যা করা হয়েছিল (পর্ব: ৯১-৯২), দুর্গটি ছিলো খায়বারের সুলালিম (Sulalim) নামক স্থানে। সাফিয়া ও তাঁর কাজিন কীভাবে আল-শিইকের এই দুর্গটিতে এসে পৌঁছেছিলেন ও তাঁরা ছাড়াও খায়বারের অসংখ্য মহিলাদের মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা খায়বারের কোন স্থান থেকে বন্দী করে এই মুক্ত মানুষদের যৌনদাসী রূপে রূপান্তরিত করেছিলেন, তার বিস্তারিত আলোচনা আগামী পর্বে করা হবে।

ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে আল-ওয়াকিদির মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি।


The detailed narrative of Al-Waqidi (Continued): [1]

‘Musa b Umar al-Harithi related to me from Abu Ufayr Muhammad b Sahl b Abi Hathma, who said:

When the Messenger of God moved to al-Shiqq, which possessed numerous fortresses, the first fortress he started at was the fortress of Ubayy. The Messenger of God stood before a fortress (‘qal’a’) called Sumran. He fought a severe battle against the people of the fortress. A man from the Jews named Ghazzal came out and called for duel. Al-Hubab b al-Mundhir dueled with him and they exchanged blows. Then Hubab attacked him and cut of his right hand from the middle of his arm.The sword fell from the hand of Ghazzal and he was defenseless. He returned defeated to the fortress. Al-Hubab followed him and cut his Achilis tendon. Ghazzal fell down, and al-Hubab finished him off.

Then another came out shouting, “Who will duel with me?” A man from the Muslims from the family of Jahsh dueled him and the Jahshi was killed. The Jew stayed in his place inviting another challenger and Abu Dujana who wore a red band wrapped around his head above his skull cap, answered him with a conceited swagger. Abu Dujana took the Jew unawares and cut his legs; then he finished him off and took the booty:his armor and his sword. He brought it to the Prophet, and the Messenger of God gave them to him.

After that, they refrained from dueling. The Muslims proclaimed ‘Takbir’, attacked the fortress and entered it, and Abu Dujana led them. They found in it furniture, property, cattle and food. The worriors who were in it fled. They jumped the walls like gazelles until they came to the fortress of al-Nizar in al-Shiqq. Those who remained from the highest peaks of al-Nata kept coming to the fortress of al-Nizar, and they became attached to it and fortified themselves in it. The Messenger of God marched to them with his companions and fought them. They were the strongest people of al-Shiqq who fought. They aimed at the Muslims with arrows and stones. The Messenger of God was with them until the arrow grabbed the garment of the Messenger of God and hung in it. The he took a handful of pebbles and threw them at their fortress. It trembled with that and then sank to the ground. 

‘Ibrahim b Jafar said: It was leveled to the ground when the Muslims came, and they took its people completely. In it were Safiyya the daughter of Huyayy and the daughter of her uncle. Umayr, the ‘mawla’ of Abu I-Lahm used to say: I saw Safiyya brought with her cousin and the young girls from the fortress of al-Nizar. When the Messenger of God conquered the fortress of al-Nizar, some fortress of al-Shiqq remained. The people there fled until they reached the people of al-Katiba, Watih, and Sulalim. Muhammad b Maslama used to say, the Messenger of God looked at the fortress of al-Nizar and said, “This is the last fortress of Khayber in which there will be fighting.” After we took this fortress there was no more fighting until the Messenger of God set out from Khaybar. -------’

(চলবে)

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৬৭-৬৬৯; ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩২৮-৩২৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন