আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬

কিছু ইছলামী ত্যানার জবাব

লিখেছেন সাঈদুর রহমান

১. সাম্প্রতিক কালে যেসব ধবংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটছে, সেসবের সাথে ইসলামের নাম আসছে কেন?
ক. ইসলাম এসবের কিছু করতে বলছে না। যা করা হচ্ছে, তা ইসলাম ধর্ম বহির্ভূত।
খ. যা করা হচ্ছে, তা করতে ইসলামই অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
২. এসব কর্মকাণ্ডের সাথে ইসলামকে জড়ানোর উদ্দেশ্য কী?
ক. কেউ চাচ্ছে ইসলামের (বদনাম) ক্ষতি করতে।
খ. কেউ চাচ্ছে ইসলামের উপকার করতে।
প্রথম প্রশ্নে আসি।

গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের অনেক জায়গায় বোমা ফোটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিংবা বন্দুক দিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। খবরের কাগজ এবং টিভি চ্যানেলগুলোর সংবাদমতে, যারা এই কাজগুলো করেছে, তারা কাজগুলো করার ঠিক আগ মুহুর্তে "আল্লাহু আকবার" ধ্বনি তুলেছে। সূত্রপাতটা এখানেই।

আল্লা ইসলাম ধর্মের ঈশ্বর। "আল্লাহু আকবার" অর্থ হল - আল্লা সর্বশ্রেষ্ঠ। আযান হোক, নামায হোক, কোরবানি হোক বা আল্লাকে শুকরিয়া জানাতেই হোক, যারা ইসলামকে অনুসরণ করেন, আমার জানা মতে - তাঁরাই "আল্লাহু আকবার" শব্দবন্ধটি উচ্চারণ করেন। হাদিস ঘাঁটলে দেখা যায়, মুহাম্মদ এবং তার সঙ্গীরা যখন কোনো জায়গায় হামলা চালাতেন, তখনও এই শব্দবন্ধ উচ্চারণ করতেন। যেমন, সহীহ বুখারির ৫:৫৯:৫১০ নাম্বার হাদিস মতে, মুহাম্মদ যখন তার সাথীদের নিয়ে রাতভর অপেক্ষা করে ভোরবেলা খাইবারবাসীদের ওপরেও অতর্কিত হামলা চালিয়েছিলেন, তখন "আল্লাহু আকবার" বলেই হামলাটি করেছিলেন।

যাঁরা ইসলাম সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখেন, তাঁরাও নিশ্চয়ই জানেন, মুহাম্মদ হলেন ইসলাম ধর্মের মূল হোতা। ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ কোরআনে একের অধিকবার বলা হয়েছে মুহাম্মদের আনুগত্য স্বীকার করে (কোরান ৪:৫৯) তাঁকে অনুসরণ করতে (কোরান ৩:৩১); এমনকি মুহাম্মদকে আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপ জান্নাতে পাঠানোরও অঙ্গীকার করা হয়েছে (কোরান ৪:১৩)।

এবার আমার মূল কথাগুলো বলছি।

★ কোরানকে বলা হয় মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টিকারী ঈশ্বর আল্লার বাণী।
★ কোরানে বলা হয়েছে মুহাম্মদকে অনুসরণ করতে।
★ মুহাম্মদ যখন কোনো অভিযানে যেতেন, তখন হামলা করার আগে "আল্লাহু আকবার" বলতেন।
★ সম্প্রতি যারা জঙ্গি হামলা করছেন, তারাও সেগুলো করার আগে "আল্লাহু আকবার" উচ্চারণ করছেন।
★ তারা যদি মুসলিম হয়ে থাকেন (অমুসলিম হলেও) তাহলে তারা মুহাম্মদকেই অনুসরণ করছেন।
★ যেহেতু মুহাম্মদই ইসলামের মূল হোতা সুতরাং মুহাম্মদকে অনুসরণ করে তারা মূলত ইসলামকেই অনুসরণ করছেন।

ওপরোক্ত পয়েন্টগুলো দ্বারা আমি প্রথম প্রশ্নটির দুই নাম্বার অপশনটাকে বেছে নিলাম। যাঁরা ইসলামকে ডিফেন্ড করে বলতে চাইবেন, ইসলামের সাথে ঐ লোকগুলা, যাদের আমরা জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করছি, তারা ইসলামকে অনুসরণ করছে না, তাঁরা আমার ওপরোক্ত পয়েন্টগুলোকে ভুল প্রমাণ করে দেখান। তবেই প্রথম অপশনটি অর্থাৎ তারা যা করছে তা ইসলামে নেই সেটা মানার যোগ্য বলে বিবেচনা করব।

এখানে হয়তো আরেকটা বিষয় আসবে। সেটা হল, কেউ হয়ত বলতে পারেন যারা এসব করছেন তারা ১. সহি মুসলিম নন; ২. মুসলিমই নন অর্থাৎ অমুসলিম।

প্রথম অবজেকশনটি একেবারেই এখানে অপ্রাসঙ্গিক। এমনকি তা প্রাসঙ্গিক হলেও ভুল বলা হবে। কারণ হল, প্রথমত - সহি মুসলিম বা অসহি মুসলিম বলে কোনো কথা নেই। মুসলিম করছেন, এটাই মূল কথা। আর দ্বিতীয়ত - আমি হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে বলেছি যে, স্বয়ং মুহাম্মদ এগুলো (হামলার আগে "আল্লাহু আকবার") করতেন। আর জঙ্গিরা যদি সহি মুসলিম না হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে, মুহাম্মদও সহি মুসলমান ছিল না।

আর দ্বিতীয় অবজেকশন তোলা হলে প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে, হামলাকারীরা মুসলিম নন। যারা ভাবছেন আমি প্রমাণ করে দেখাব যে, তারা মুসলিম, তাদের বলছি, হামলাকারীরা যেহেতু "আল্লাহু আকবার" বলছে এবং সেটা ইসলামসম্মত, তাহলে আমার এখানে কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। আপাতদৃষ্টিতে তাদের মুসলিম মনে করাটা আমার অযৌক্তিক কোনো অবস্থান নয়। প্রমাণের দায়িত্ব এসে পড়বে তাদের ওপরে, যারা ডিফেন্ড করবেন যে, জঙ্গিরা মুসলিম নন।

এবার আসা যাক দ্বিতীয় প্রশ্নে।

যারা বলবেন এসব জিহাদীরা অর্থাৎ জংগিরা (সহি) মুসলমান নন এবং তাদের উদ্দেশ্য ইসলামের ক্ষতি করা তাদেরকে অবশ্যই সেগুলো প্রমাণ করে দেখাতে হবে। যারা এমনটা করতে যাবেন, তাদের কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে বলছি।

প্রথমত, আপনারা যদি ভাবেন তারা যেসব ধবংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, এতে করে ইসলামের আরো ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে এখানে আপনারা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছেন। কারণ হল, উদ্দেশ্য এবং ফলাফল দুটো ভিন্ন বিষয়। উদ্দেশ্য যদি ভাল থাকে এবং ফলাফল যদি খারাপ হয়, তাহলে উদ্দেশ্যটাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি কাউকে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু একটা করতে গেলেন। দেখা গেল, কোনো এক কারণে লোকটার ক্ষতি হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে আপনার উদ্দেশ্যটাকেই বড় করে দেখা হবে। আপনাকে এখানে দোষ দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

আর দ্বিতীয়ত, যদি বলে থাকেন - তাদের উদ্দেশ্যই ইসলামের ক্ষতি করা, তাহলে এর সপক্ষেও প্রমাণের অপেক্ষায় রইলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন