আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬

জ্বিন জাতির কাছে প্রশ্ন

লিখেছেন Amber Ainen

‘জ্বিন’ শব্দটি শুনলেই অনেকের দেহ-মনে আসে এক অস্বাভাবিক কম্পন। শিক্ষিত, শহুরে মানুষ, যারা ভূতের কথা হেসে উড়িয়ে দেন, তাদের কাছেও জ্বিন বাস্তব, কেননা আল্লাহ বলেছেন, জ্বিন আছে।

প্রায় প্রতিটি পরিবারের কাছে জানতে চাইলেই পাওয়া যাবে জমজমাট, রক্ত হিম করা কাহিনী – কেমন করে তাদের এলোচুলের মেয়েকে কিংবা কাজের লোকটির ঘাড়ে চেপে বসেছিল ভয়াবহ এক জ্বিন। তবে জ্বিনদের রূপের বর্ণনা অবশ্য সমাজভেদে ভিন্ন।

মূলত, কোরানের বিভিন্ন আয়াতে জ্বিনের বর্ণনা আছে। সেখানে তাদের গঠন পদ্ধতি এবং সৃষ্টির কারণ জানা যায়। সবাই স্বীকার করেন, জ্বিন আগুনের তৈরি।

আগুন! সত্যিই কি তাই?

আগুন এক প্রকার প্রক্রিয়া যেখানে জ্বালানী এবং অপর একটি পদার্থ উচ্চ তাপমাত্রায় (ইগ্নিশন পয়েন্টের ঊর্ধ্বে) পরিবেশে অবস্থিত অক্সিজেনের সাথে বিকিয়া করে তাপ, আলো ও অন্যান্য পদার্থ (যেমন: কয়লা, ছাই প্রভৃতি) নির্গমন করে। প্রকৃতপক্ষে, আগুন কোনোরূপ পদার্থ নয়, এটি স্রেফ কোনো বিক্রিয়াকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত নাম। বাষ্পায়ন, ভাজা, ফুটানো, সিদ্ধ হওয়া, তুষারপাত ইত্যাদির সাথে আগুনের তুলনা করা যায়।

তাহলে? এগুলোকে কি আপনি পদার্থ বলে গণ্য করেন? এ সকল শব্দ দ্বারাই আমরা কোনো প্রসেসকে নির্দেশ করছি, কোনো কিছু হওয়া বোঝাচ্ছি।

কোনো জীবের পক্ষেই কি এমন ‘অ-বস্তু’ দ্বারা গঠিত হওয়া সম্ভব? তার দেহের কোষকলা গঠন এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তিয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার ক্ষমতা কি তার থাকবে?

যাকগে! আমরা জানি, জ্বিনের বুদ্ধিমত্তা মানুষের অনুরূপ। (সবচে বিখ্যাত উদাহারণ, বোধহয়, শয়তান – তবে সে জ্বিন না ফেরেশতা, তাই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে)।

বুদ্ধিমান জীবমাত্রই নিজের উন্নয়ন ঘটাতে চায়, অন্যান্য বুদ্ধিমান জীবের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চায়। মানুষ এলিয়েনদের সন্ধানে নিরন্তর যেমন মহাকাশে সিগন্যাল পাঠিয়ে চলেছে। এখন জ্বিনরা মানুষের সাথে একই গ্রহবাসী। দু-একটা ধোঁয়াটে, অবৈগ্যানিক স্মৃতিচারণ, ইমামের জ্বিন-পোষার ইতিকথা আর জ্বিনের বাদশাহের ফোনকল বাদে তাদের স্বরূপ গোটা বিশ্ব আজও দেখতে পায়নি।

আণুবীক্ষণিক প্রাণী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, অ্যামিবা পর্যন্ত মানুষ আবিষ্কার করে ফেলল, অথচ স্বয়ং কোরান স্বীকৃত জ্বিনের টিকিটিরও নাগাল পাওয়া সম্ভব হল না।

প্রিয় জ্বিন ভাই-ও-বোনেরা, আপনারা ধর্মকারী ব্লগটি পড়েন কি? আমার লেখাটি চোখে পড়ে থাকলে আমার অতি নিরীহ এবং শিশুসুলভ প্রশ্নগুলোর জবাব দিন। অপেক্ষায় রইলুম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন