আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

প্রগতি ও সভ্যতায় ইসলামের অবদান

লিখেছেন পুতুল হক

মুসলমানরা যে দাবি করে, ইসলামের আগের যুগ ছিল আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ বা অন্ধকারের যুগ, তো ইসলাম আসার পর জগৎকে কী আলোটা দিয়েছে? মুসলমানরা কি কোন নতুন সভ্যতা গড়তে পেরেছে? জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শিল্পে, সাহিত্যে, দর্শনে মুসলমানের অবদান কী? আমার জানা আছে, এই কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে কিছু ইসলামত্যাগী মনীষীকে মুসলমান দাবি করে কিছু মুমিন ঝগড়া করতে আসে।

ইসলামের জন্মের একশ বছরের মধ্যে মক্কা-মদিনার মুসলমানের যুদ্ধ ছাড়া ইসলামের কী অবদান আছে? ইরাক, ইরান বা ভারতবর্ষের উন্নত সভ্যতাকে অনেকাংশে ধ্বংস করেছে ইসলাম। কিছুটা তাদের সাথে মিশেছে এবং নিজেকে সভ্য দাবি করে এভাবে। আসলে ইসলামে সৃষ্টিশীলতার কোনো স্থান নেই। ইসলাম একটা জবরদখলের ধর্ম। ইসলামের জন্ম হয়েছে যুদ্ধ করার জন্য। জন্মের সাথে সাথে কাফেলা লুট করা আরম্ভ করে। এরপর যারা ইসলামে বিশ্বাসী নয়, সে সব গোত্র আক্রমণ করে। এরপর দেশে দেশে হুমকি দিয়ে পত্র লেখে। 

অন্যান্য ধর্মের মানুষ যখন শিক্ষা আর পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন করে, তখন মুসলমানের জাত ফন্দি-ফিকির খোঁজে কীভাবে অন্যের সম্পদ জবরদখল করা যায় ইসলামের নামে। মোহাম্মদ কোনো নতুন ধর্মও দিতে পারেনি পৃথিবীকে। ইহুদি, খ্রিষ্ট আর পৌত্তলিকতার এক খিচুড়ি দিয়েছে। ইসলাম ধর্মের কোনো মৌলিকত্ব নেই, তাই তো মুসলমানেরা সব সময় আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগে। একমাত্র মক্কা-মদিনা ছাড়া বাকি সব জায়গার মুসলমানের অবস্থা "না ঘরকা, না ঘাটকা।" এসমস্ত পাজলড লোকজন যে সব সময় মারমার কাটকাট অবস্থায় থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।

মুসলমানের প্রতি তাদের আল্লার নির্দেশ আছে, সারা জীবন যুদ্ধ করে যেতে হবে। ছেলের হাতের মোয়া নাকি? আল্লা যদি সব কিছুর মালিক হয়, তো যুদ্ধ করে দখল করার দরকারটা কী? আল্লা নিজেই কেন সব কিছু নিজের করে নিচ্ছে না? কেন মুসলিম হবার নামে কিছু মানুষকে অন্য মানুষের প্রাণ নিতে বলা হয়েছে? মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দেয়া নিশ্চয়ই সৎ কোনো উদ্দেশ্য হতে পারে না। মোহাম্মদ কোনো শান্তির বাণী প্রচার করেননি, তিনি যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে গেছেন। সেই দামামা নাকি পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত মুসলমানের জাত বাজিয়ে যাবে। 

আমি কম জানি, কম বুঝি। দেখছি যে, নব্বুইয়ের দশক থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবী অনেক কিছু নতুন নতুন দেখেছে, শিখেছে, গড়েছে। বাইরের দেশের মানুষের কথা বলছি না, আমাদের কথাই ধরি। আমাদের দাদা-দাদীদের তুলনায় আমরা কি অনেক আরামের জীবন কাটাচ্ছি না? মাত্র পঁচিশ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশ কি এক? তো, এই যে আমাদের এগিয়ে চলা, এখানে ইসলামের অবদানটা কোথায়? বাংলাদেশ যে এখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলে, এখানে ইসলামের অবদান কী? এখন পর্যন্ত বিশেষ কোনো অর্জন না থাকলেও সামনে নিশ্চয়ই থাকবে। তখন এদেশে ক্রিকেটকে ইসলামীকরণ করবে। "বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে মুসলমান ক্রিকেটারদের অবদান" শীর্ষক বই পাওয়া যাবে তখন।

কোনো ধর্মই মানুষকে আবিষ্কারের স্বাধীনতা দেয় না, সৃষ্টির স্বাধীনতা দেয় না। সব ধর্ম অনুযায়ী - এসব কাজ সৃষ্টিকর্তার কপিরাইট করা। মানুষ নামের প্রাণীটি যখন পৃথিবীতে এলো, তখন সে এতো জ্ঞানী আর শক্তিশালী ছিল না। আজকের মানুষের এই অবস্থান শুধুমাত্র মানুষেরই কৃতিত্ব ও অবদান। ধর্মবাণী যারা প্রচার করেছেন, তারা কোনো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ দেননি, যা দিয়ে রাতারাতি মানুষ আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছে। ধর্মপ্রচারকেরা ও তাদের ধর্মগুলো বরং মানুষের উন্নতির গতি বাধাগ্রস্তই করেছে ও করে চলেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন