আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

অনেক উচ্চশিক্ষিত ও বুদ্ধিমান লোক ধার্মিক কেন

লিখেছেন আক্কাস আলী (ফেসবুক পেজ Bitter Truth-এর সৌজন্যে)

সমাজের অনেক উচ্চশিক্ষিত ও বুদ্ধিমান লোক ধার্মিক। ধর্ম যদি ভুয়াই হবে, তাহলে তারা ধর্ম পালন করে কেন?

মনে করুন, শবনম একজন ডাক্তার। তিনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ। একদিন তার কাছে কেউ একজন এসে একটা ভ্রান্ত দাবি করলো যে, এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে একটা গরু, গরুটা আকাশের ওপর আছে এবং গরুটাই সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

তো, এবার বুদ্ধিমান ডাক্তার কী করবে? প্রথমে আধঘণ্টা অট্টহাসি হাসবে, তারপর ঐ ভ্রান্ত দাবিকারি লোকটাকে পাবনার একটা বাসের টিকেট কিনে ধরিয়ে দেবে।ঠিক বলেছি?... হ্যা, ঠিকই বলেছি। আহাম্মক কেউ হলে বিশ্বাস করে বসে থাকতো, কিন্তু ড. শবনম যেহেতু বুদ্ধিমান, তাই তিনি সহজেই বুঝে ফেলেছেন যে, এইটা একটা ফাউল দাবি। 

এবার সিকুয়েন্সটা বদলে দিই, চলুন।

আমরা চলে যাই ড. শবনমের একদম ছোটবেলায়। যখন থেকে সে বুঝতে শিখেছে, তখন থেকেই তার বাবা মায়ের মুখ থেকে শুনলো যে, আকাশের ওপর একটা গরু থাকে, যেটা মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে। শবনম তখন কিছুই বোঝে না, যাচাই বাছাই করতে পারে না। জ্বীনগতভাবে এই পৃথিবীতে মানুষ সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে তার মা আর বাবাকে। তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি আস্থা থাকায় তাদের কথা সহজেই বিশ্বাস করে। আর ড. শবনমও তাই তার পিচ্চিকালে মা-বাবার কথা সহজেই মেনে নেবে, এটাই স্বাভাবিক।

তো, সে ছোটবেলা থেকেই মা আর বাবার কাছে শুনলো যে আকাশে একটা গরু থাকে, যেটা আমাদের এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিলো যে, একটা গরু আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে। কথা সইত্য। এরপর সে বড় হতে থাকলো, শুধু পরিবার না, তার স্কুল, শপিং সেন্টার, জিম, পার্লার, বাস স্টপেজ সবখানে এই একই ধারণা্র লোকদের সাথে তার ওঠাবসা, সবসময় তার কানে একটা কথাই ঢুকছে, তা হচ্ছে - একটা গরু আসমানের ওপর থাকে এবং সেটা সর্বশক্তিমান। এভাবে সবার কাছে শুনতে শুনতে তার কাছে এই দাবিটা আর ফাউল/ভ্রান্ত মনে হয় না। তার কাছে এটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। সে নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধি হারিয়ে সবসময় শুনে আসা কথাই আরামসে বিশ্বাস করে যায়।

এ অবস্থায় যদি আক্কাস আলী তার কাছে গিয়ে বলে, "আরে, শবনম, আসমানের উপর গরু বইল্যা কিছু নাই... সব ভুয়া", তখন ড. শবনম ক্ষেপে গিয়ে উল্টা আক্কাসকেই ফাউল, জ্ঞানহীন, ও মানসিক রোগী মনে করবে।

--- কাহিনী এটাই। সবখানে সবসময় আমরা সেই পিচ্চিকাল থেকেই যখন একটা ভ্রান্ত দাবি শুনে আসবো, তখন নিজের অজান্তেই সেটা স্বাভাবিক বলে মনে হবে, বিচারবুদ্ধি লোপ পেয়ে যাবে। আর বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়ার কারণেই আমরা বিনা যুক্তিতে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই যে, হনুমান আকাশে উড়তে পারে কিংবা আমাদের মাথার ওপর সাত আসমান রয়েছে, যা গাধার পিঠে চড়ে পাড়ি দেয়া যায়! 

-- আমাদের সমাজের উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিমান মানুষগুলো ঠিক এই কারণেই ধর্ম পালন করে যায়। আর, তাদের বেশির ভাগই ধর্ম সম্পর্কে ভালো করে জানেই না। তাদের কয়জন কুরান/বাইবেল/বেদ পড়েছেন বুঝে বুঝে? জীবনেও পড়েননি, সযত্নে আলমিরাতেই সাজিয়ে রেখেছেন।

এমন অনেকে আছেন, যাঁরা একটু আধটু স্টাডি করেছেন ধর্ম নিয়ে, তাদের মনে জন্ম নিয়েছে ধর্ম সম্পর্কে সন্দেহ। আর সন্দেহের ফলে মনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা ধর্ম নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁদের অবস্থানটা এরকম যে, যদি ঈশ্বর আর পরকাল না থাকে, তাহলে ভালো। বেঁচে গেলাম। কিন্তু যদি থাকে, তাহলে কী করবো? বিপদ তো! জাহান্নামে যেইভাবে গরম তেলে ফ্রাই করার কথা আছে! ওরে আল্লারে! তাই আমরা সেইফ সাইডে থাকি। ধর্মকে যুক্তি দিয়ে আঘাত না করে সারা জীবন পালন করে যাই। এটাই ভালো হবে।

এই গণ্ডি যারা মেধা আর সাহস দিয়ে ভেঙে ফেলতে পারে, তারাই নাস্তিক হয়। এর জন্যে চাই সরল যুক্তি ব্যবহার, ধর্ম নিয়ে স্টাডি ও সাহস।

* লেখাটা একটা ভিডিওকে ভিত্তি করে। ভিডিওটিতে আরও সুন্দরভাবে ও গুছিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কার্টুনের সাহায্য। দেখলেই মনে গেঁথে যাবে। লিঙ্কটা এখানে: https://youtu.be/Y201QzDdzbg

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন