আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৭

ধর্ম ও নৈতিকতা: আত্মীয়তার সম্পর্কহীন দু'টি ধারণা

লিখেছেন Amber Ainen

“নৈতিকতার জন্ম দেয় মানবতা এবং ধর্ম তা চুরি করে নিজের কাজে লাগায়।” 
- ক্রিস্টোফার হিচেন্স।

ধর্ম এবং নৈতিকতার সম্পর্ক নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বহু তর্ক হয়েছে। জগতে পরম ভালো-খারাপ বলতে আসলে কিছুর অস্তিত্ব নেই। মানুষ তার জীবনকে নিরাপত্তা দিতে, সমাজে বাসের জন্য কিছু কাজকে ভালো বা নৈতিক এবং কিছু কাজকে খারাপ বা অনৈতিক চিহ্নিত করেছে। ধার্মিকদের কাছে ধর্মই নৈতিকতার প্রধান বাহন হলেও প্রকৃতপক্ষে তাকে নৈতিকতা বলা যাবে না। আবার নৈতিক গুণাবলী অর্জনের জন্য ধর্ম প্রয়োজনীয় নয়। 

প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই কিছু নির্দিষ্ট কাজকে স্বীকৃতি আর কিছু কাজকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ধার্মিকরা ঠিকই চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জোচ্চোরি চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্ম মানুষকে তার প্রবৃত্তি থেকে ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা পালন করে বলে মনে হয় না।

আসলে এসব কাজে মানুষ ছাড়া কাউকে দায়ী করা যাবে না – স্বার্থরক্ষার তাগিদের পেছনে পরকালের শাস্তি খুব একটা বড় বিষয় নয়।

আর তারা যদি পাপ হতে বিরত থাকেও বা, তাও পরকালে “ছ্যাঁকা” খাওয়ার ভয়ে। খারাপ কাজ করলে ওপরওয়ালা নাখোশ হবেন, গুনাহ দেবেন – তাই ওটা করা যাবে না। অনেকটা বাচ্চারা যেভাবে স্যারের মারের ভয়ে হোমওয়ার্ক করে থাকে – ব্যাপারটা সেরকম।

আবার দেখা যায়, ধর্মের কিছু নিষেধ যৌক্তিক বিচারে অত্যন্ত হাস্যকর এবং অপ্রয়োজনীয়। ইসলামে শূকরের মাংস না খাওয়া, হিন্দু ধর্মে গোমাংস না খাওয়া প্রভৃতি।

এজন্য আমি বলি, ধর্ম যে শুধু অনৈতিকতা ঠেকাতে পারছে না, তা-ই নয়, বরং মানুষকে নৈতিকতা শেখাতেই পারছে না। উল্টো সৃষ্টি করছে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা। উগ্রতা ছাড়া কোনো ধর্মের অস্তিত্ব নেই।

আমরা নৈতিকতা শিখি সমাজকে, পরিবারকে লক্ষ্য করার মাধ্যমে, তাদের আচরণ অনুশীলনের মাধ্যমে। তারপর নিজের অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা ও সময়ের বিবর্তন সব মিলিয়ে আমরা এ ব্যাপারে নিজস্ব একটা তত্ত্ব দাঁড় করাই। এ কারণে দেখা যাবে, অনেক সময়ই ভালো-খারাপের সার্বজনীন সংজ্ঞা দেওয়া যায় না।

তবে এখানে ধর্মের স্থানটি কোথায়? মানুষের স্বভাব হলো ঝামেলা দূরীকরণ। কারো কষ্ট, দুর্দশা সমাজের স্বাভাবিক গতি রোধ করে – তাই আমরা খারাপ কাজের বদলে ভালো কাজটি করতে চাই – অন্তত যা আমাদের দৃষ্টিতে ভালো। খুনোখুনির বদলে একটু মিলেমিশে থাকলে সেটা সবার জন্যই মঙ্গলদায়ক, সেটা বুঝি। আমরা অন্যের দুঃখকে উপলব্ধি করতে পারি, we can feel empathy।

এটাই নৈতিকতা। এজন্যই নাস্তিকের মরালিটি থাকে, আস্তিকেরও মরালিটি থাকে। আর সেই নৈতিকতা কোনো যুক্তিতেই ধর্মজাত নয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন