আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ২৯

লিখেছেন নীল নিমো

ফুরফুরে মেজাজে আছি। নাস্তিকদের প্রশ্নের উত্তর দিবার জন্য নতুন একখানা বই হাতে পেয়েছি। বইটার নাম হল - প্যারডক্সিকাল সাজিদ। কোরান হাদিস সব কিছুই নাস্তিকদের কাছে ফেল খাইছে, এখন প্যারডক্সিকাল সাজিদ সাহেবই ভরসা।

আজকে এক নাস্তিকের সাথে দেখা হওয়া মাত্রই প্যারডক্সিকাল সাজিদ বইটা খুলে নাস্তিককে দাঁতভাঙা প্রশ্ন করলাম:
- ওহে জাহান্নামি নাস্তিক, আপনার বাবা-মা যে আপনার জন্মদাতা বাবা-মা, এর প্রমাণ কী? আপনি অন্ধভাবে আপনার বাবা-মাকে বিশ্বাস করেছেন। ঠিক তেমনিভাবেই অন্ধভাবেই আল্লাহকে বিশ্বাস করতে দোষ কী?

নাস্তিক উত্তর দিল:
- আমার বাবা-মা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে দাবি করেছে যে, তারা আমার বাবা-মা। আপনার আল্লাহকে বলেন, আমার সামনে এসে দাড়িয়ে নিজেকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে দাবি করতে।

নাস্তিকের প্রশ্ন শুনে ভাবাচ্যাকা খাইলাম। বুঝলাম, প্যারডক্সিকাল সাজিদ ধরা খাইছে। নাস্তিককে সেটা বুঝতে না দিয়ে নিজে বুদ্ধি করে পাল্টা প্রশ্ন করলাম:
- আল্লাহপাক তো কোরানে দাবি করেছেন, তিনি সৃষ্টিকর্তা। সামনে আসার দরকার কী? নাস্তিকদের সামনে আসতে আল্লাহ কম্ফোর্ট ফিল করেন না। আপনার বাবা-মা সামনে এসে দাঁড়িয়ে দাবি করলেও তো আপনাকে বিশ্বাস করে নিতে হবে, ঠিক কি না?

নাস্তিক উত্তর দিল:
- বর্তমানে DNA এবং ব্লাড টাইপ ম্যাচ করে বাবা-মা সহজেই নির্নয় করা যায়। আল্লাকে বলেন, তার DNA স্যাম্পল পাঠিয়ে দিতে।

আমি বলিলাম:
- DNA, ব্লাড টাইপ বুঝি না, সহজ করে বলেন।

নাস্তিক উত্তর দিল:
- আপনি তো মাদ্রাসার ছাত্র, তাই DNA, ব্লাড টাইপ বুঝবেন না। তাই আপনার জন‍্য আরেকটা যুক্তি দিচ্ছি। আপনার মা যখন আপনাকে জন্ম দিয়েছিল, তখন চারপাশে লোকজন সাক্ষী হিসাবে ছিল। তাই কে আপনার মা, এটা জানা খুবই সহজ ব্যাপার। কোনো মা লোকচক্ষুর অন্তরালে হেরা গুহা কিংবা মিরাজে গিয়া চুপিচুপি বাচ্চা জন্ম দেয় না।

এইবার বাবার বিষয়ে আসুন। ধরেন, আপনার ১ লক্ষ টাকা চুরি হয়ে গেছে। আপনি চোরকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। হঠাৎ এক লোক চুরির দায়িত্ব স্বীকার করে আপনাকে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিল। আপনি কি তাকে জিজ্ঞাস করবেন, সে আসল চোর কি না? আপনি কখনোই জিজ্ঞাস করবেন না, কারণ আপনি আপনার টাকা ফেরত পেয়েছেন, এতেই আপনি খুশি। কে টাকা চুরি করেছিল, সেটা গুরুত্বহীন ব্যাপার। ঠিক তেমনি জন্ম দিলেই বাবা হওয়া যায় না। বরং যে বাবার দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়, সেই আসল বাবা। আপনার জন্মদাতা বাবা যদি আপনাকে জন্ম দিয়েই পালিয়ে যায়, তাহলে সেই বাবা থাকা বা না-থাকা একই কথা। পুরুষ মানুষের শুক্রাণু তো আজকাল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

তাছাড়া, আপনাদের মহানবীর (সঃ) জন্মদাতা বাবা আবদুল্লাহ বাবার দায়িত্ব পালন করতে পারে নাই, তাই নবীজি শেষ বয়সে এসে বখে গিয়েছিল। বখাটে চরিত্রহীন মুহাম্মদ (সঃ) একে একে ১১ টা বিয়ে করে ফেলেছিল, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। আবদুল্লাহ যদি বেঁচে থাকতেন, এবং সঠিকভাবে বাবার দায়িত্বপালন করতেন, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না, মুহাম্মদ নিজেকে নবী দাবি করতে পারত না। তাই মুহাম্মদ (সঃ) নিজের পিতা সম্পর্কে বলে গেছেন, কাফের আবদুল্লাহ কখনো বেহেশতে যাবে না। জন্মদাতা বাবা কাফের, একটা কতটা কষ্টকর, সেটা নবীজি ছাড়া কেউই বুঝবে না। আপনি এখন বুঝতে পারছেন, দায়িত্বহীন বাবার পরিচয় জানাটা যেমন জরুরি নয়, ঠিক তেমনি দায়িত্বহীন সৃষ্টিকর্তার পরিচয় জানাটাও নাস্তিকদের জন্য জরুরি নয়।

নাস্তিকের উত্তর শুনে নিঃশব্দে আমার ওযু নষ্ট হয়ে গেল। আমি হাম্মামখানার দিকে গেলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন