আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

লিখেছেন নীল নিমো

আজকে ওয়াজ করছিলাম:
- পহেলা বৈশাখ চলে আসলো। নাস্তিকরা মেয়েদের ওড়না, শাড়ি ধরে টানাটানি করবে, মদ খাবে, অশ্লীলতায় মেতে উঠবে…



কথা শেষ করতে পারলাম না, এক জাহান্নামি নাস্তিক বাম হাত ঢুকিয়ে দিল:
- হুজুর, নাস্তিকরা নয়। বরং মুমিন্সরা এই কাজ করে। তাছাড়া তাহারাশ (Taharrush) হল অ্যারাবিক কালচারের অংশ।

আমি বলিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ, এগুলি কী বলেন?

নাস্তিক বলিল:
- একজন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ তিন উপায়ে যৌনচাহিদা পূরণ করতে পারে।

১. মাস্টারবেশন (হস্তমৈথুন) করে।
২. গার্লফ্রেন্ড বা মেয়েবন্ধুর সাথে সেক্স করে।
৩. বউয়ের সাথে সেক্স করে।

যৌনচাহিদা পূরণের প্রথম এবং দ্বিতীয় উপায় ইসলামে সম্পূর্ণ নিশিদ্ধ। বাকি রইল বিবাহ করা। বিবাহ করতে হলে স্বাবলম্বি হওয়া লাগে, চাকরি-ব্যবসা করা লাগে। আর এগুলোর জন্য চাই প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা। মাদ্রাসায় পড়ে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা পাওয়া যায় না। তাই তিনটি উপায়ই মুমিন্সদের নাগালের বাহিরে। তাই অতৃপ্ত বুভুক্ষ তৃষ্ণার্ত মুমিন্সরা সারা বছর লুতি করে। আর বছরে দুইবার (পহেলা বৈশাখ ও থার্টিফাষ্ট) মেয়েদের ওড়না-শাড়ি ধরে টানাটানি করে, তাহারাশ করে।

নাস্তিকের কথা শুনে আমি তব্দা খাইলাম। তব্দা খাইলে বা জ্ঞান হারালে ওযু করতে হয়, এইটা রাসুল্লাহর আদেশ। আমি ওযু করতে গেলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন