আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭

শূণ্য রাজার প্রধানমন্ত্রী- গল্প দুই

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

গল্প লিংক এক

বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? আশাকরছি অনেক অনেক ভালো আছো! গতকালের গল্পটি নিয়ে ভেবেছো কিছু? বলতো কেমন মানুষ ছিলেন এই প্রধানমন্ত্রী? আচ্ছা থাক! থাক! এখন নয়; আজকের গল্পটি শোনার পর নাহয় একসাথেই মতামত দেবে, কি বলো? আগে গল্প-পরে আলোচনা!

শূন্য রাজার প্রধানমন্ত্রী সবকিছু দখল করে নিতে ভালবাসতেন, তিনি তার অনুসারীদের লোভ দেখাতেন তার কথা মেনে চললে অনেক কিছু সহজে পাওয়া যাবে; বেঁচে থাকলে মিলবে সুখ ও সম্পদ! আর মৃত্যুর পর মিলবে অনেক অনেক সুখ! তাই অনুসারীরা তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতেন এবং তাকে খুশী করতে সবকিছুই করতেন!

এই প্রধানমন্ত্রী যে শহর থেকে সব পরিচালনা করতেন, সেটা কিন্তু তার নিজের শহর ছিলো না; তার জন্ম শহরের মানুষ তার ফাঁকিবাজীটা বুঝতো, আর তাই সে শহরে তার থাকা হয়নি! নতুন শহরে এসে প্রধানমন্ত্রী ধীরে ধীরে সব দখল করতে শুরু করলেন (ঠিক কুরা শহরের মত) এবং তা তিনি নিজে নিতে থাকলেন ও তার অনুসারীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে থাকলেন। এ কারণে তার অনুসারীরাও তার জন্য জীবন দিতে দ্ধিধাবোধ করতো না।

তো হলো কি, এই নতুন শহরে একজন মহিলা কবি ছিলেন; তিনি ছিলেন এই শহরের অনেক পুরাতন বাসিন্দা, চোখের সামনে এক ভীনদেশী মানুষ প্রধানমন্ত্রী হয়ে সব দখল করে নিচ্ছে ভেবে তার খুব কষ্ট হতো; তিনি কবিতায় এবং নিকট লোকজনের কাছে এই কষ্টের কথা ক্ষোভের সাথে বলতেন! বন্ধুরা, যদি একজন বাইরের লোক তোমাদের বাসায় এসে তোমাদের সব জায়গা, জমি, টাকা, পয়সা নিজের দখলে নেয় এবং বলে, তোমাদের কেবল তার কথাই শুনতে হবে; তাতে তোমার যেমন লাগবে, এই মহিলার তেমনটাই লাগতো! মনে করো এই মহিলার নাম ছিলো “আসমা”


বলতে পারবে বন্ধুরা এরপরে কি হতে পারে? হ্যাঁ তোমরা হয়ত বুঝতে পারছো, প্রথম গল্পের বৃদ্ধা মহিলার মত তাকেও হত্যা করা হবে! কিন্তু বন্ধুরা তোমরা যেমন ভাবছো এবার হবে তার থেকেও খারাপ কিছু! এমন কিছু, তাতে পৃথিবীর প্রতিটি মায়ের বুক কেঁপে উঠতে বাধ্য, তুমি যদি তোমার মাকে ভালবাসো তবে তোমারও খারাপ লাগবে অবশ্যই!

আসমার একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলো, মায়ের দুধই ছিলো তার বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়! প্রধানমন্ত্রীর এক অন্ধ (আসলেই চোখে দেখতো না সে!) অনুসারী ঠিক করলেন তিনি এই মহিলাকে হত্যা করে প্রধানমন্ত্রীর মন জয় করবেন! তো তিনি এক রাতে মহিলার ঘরে ঢুকলেন; গিয়ে দাঁড়ালেন বিছানার পাশে; অন্ধকারে তিনি হাত দিয়ে হাতরে হাতরে দেখলেন মহিলার দুগ্ধপোষ্য শিশুটি তখনও মায়ের দুধ খাচ্ছে; আর মহিলাটি গভীরভাবে ঘুমিয়ে আছেন! প্রধানমন্ত্রীর অনুসারী এই শিশুটিকে বুক থেকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিলেন, তারপর তার বড় তলোয়ারটি দিয়ে মহিলার বুক বিদ্ধ করে দিলেন; এমন ভাবে তলোয়ারটি চাপ দিলেন, যাতে এই মহিলা কবির মৃত্যু নিশ্চিত হয়! বন্ধুরা ভাবতে পারছো কতটা নিষ্ঠুর আর পাষাণ হৃদয়ের মানুষ হলে এভাবে মায়ের বুক থেকে সন্তানকে সরিয়ে দিয়ে শিশুটির মাকে হত্যা করা সম্ভব!

এভাবেই হত্যা করা হয়েছিলো দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা আসমাকে!

পরের দিন সকালে আলোচনা শুরু হয়ে গেলো এলাকায়; খবর পৌছালো প্রধানমন্ত্রীর কাছে, তিনি তার এই অনুসারীকে ডাকলেন। তোমরা কি ভাবছো তিনি তাকে বকবেন, শাস্তি দেবেন! না তা কখনই না, কারণ যার অনুসারী এতটা নিষ্ঠুর, তিনি আর কতটা ভালো হতে পারেন, তাই না?

অনুসারী মাথা নিচু করে বললেন; হে প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে নিয়ে যে সমালোচনা করবে, কটু কথা বলবে, এই মহিলা কবিতো দুরের কথা, সে যদি আমার জন্মদাতা পিতা হয়; তবুও তাকে আমি হত্যা করতে দ্ধিধা করবো না! এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী খুব খুশী হলেন; এই অনুসারীর জন্য উপহারের ব্যবস্থা করলেন; এবং এও বললেন শূণ্য রাজাকে বলে তিনি তাকে অনেক বড় সুখের ব্যবস্থা করে দিবেন! তিনি তার এই নিষ্ঠুর অনুসারীকে বললেন “তুমি কোনো ভুল করোনি, মানুষ তো দুরের কথা এমনকি দুটো ছাগলও এ বিষয়ে সেই মহিলার পক্ষ নিয়ে ঝগড়া করবে না!”

তো বন্ধুরা আজকের গল্পটি তো শেষের পথে, এবার তোমাদের কাছে আমার প্রশ্নের উত্তর নেবার পালা; গতকালের গল্প ও আজকের গল্পটি শোনার পর এই শূণ্য রাজার প্রধানমন্ত্রীকে তোমাদের কেমন মানুষ মনে হয়? দশ মিনিট সময় দিলাম ভাববার জন্য, তারপর আমি সবার কাছ থেকেই শুনতে চাইবো! এই দশ মিনিটে তোমাদের আন্টির জন্য আনা ঔষধগুলো ভেতরে দিয়ে আসি; ভুলে যাবে না কিন্তু, সবাই উত্তর দিলেই আগামীকাল নতুন গল্পটি বলবো, তা না হলে কিন্তু বলবো না!  

চলেবে..!
 

1 টি মন্তব্য: